সোমবার, ১২ মার্চ, ২০১৮ ০০:০০ টা

পদক জয়ের স্বপ্ন শিরিনের

ক্রীড়া প্রতিবেদক

পদক জয়ের স্বপ্ন শিরিনের

কমনওয়েলথ গেমস আসলে দুই ক্রীড়াবিদের ছবি চোখে ভাসে। ১৯৯০ সালে নিউজিল্যান্ডের অকল্যান্ডে অনুষ্ঠিত এই গেমসে বাংলাদেশকে তারা এনে দিয়েছিলেন বিরল সম্মান। যেখানে পৃথিবীর বিখ্যাত বিখ্যাত খেলোয়াড়রা অংশ নিয়েছিলেন। সেই গেমসেই কিনা বেজেছিল ৩০ লাখ শহীদের রক্তের বিনিময়ে পাওয়া ‘আমার সোনার বাংলা’ বাংলাদেশের জাতীয় সংগীত। আতিকুর রহমান ও আবদুস সাত্তার নিনির যৌথ প্রচেষ্টায় শুটিংয়ে বাংলাদেশ সোনা জিতেছিল। কমনওয়েলথ গেমসের ইতিহাসে এটিই ছিল বাংলাদেশের প্রথম সোনা জয়।

সোনা জয়ের পর দুজনার সেকি হাসি। তখনকার দৈনিকগুলোর আতিক ও নিনির বিশাল আকৃতির ছবি দিয়ে সোনা জয়ের কাহিনী প্রথম পৃষ্ঠায় লিড নিউজ করে। দেশে ফেরার পর তাদের সংবর্ধনা জানানো হয়। কমনওয়েলথ গেমসের ইতিহাসের সঙ্গে তাদের নামটি জড়িয়ে যায়। এক যুগ পর কমনওয়েলথ গেমসে আবারও বাংলাদেশের সোনা জয়। তা আসে শুটিং থেকেই। ২০০২ সালে ম্যানচেস্টারে অনুষ্ঠিত গেমসে সোনা জেতেন তরুণ শুটার আসিফ হোসেন খান। ব্যস এরপর পদক জেতাটা অধরাই থেকে যাচ্ছে। আগামী মাসে অস্ট্রেলিয়ার গোল্ডকোস্টে বসছে কমনওয়েলথ গেমস। বাংলাদেশ বেশ কটি ডিসিপ্লিনে অংশ নেবে। তবে আলোচনা হচ্ছে কুস্তিকে ঘিরে। গেমস ইতিহাসে এবারই প্রথম বাংলাদেশের মহিলা কুস্তিগীর অংশ নিচ্ছেন। শিরিন সুলতানাকে আবার বিখ্যাত কুস্তিগীরদের সঙ্গে লড়তে হবে। শিরিন বাংলাদেশের ক্রীড়াঙ্গনে এখন তারকা মহিলা ক্রীড়াবিদ। উশুতে এক সময়ে দাপটের স্বাক্ষর রেখেছেন। খেলেছেন কাবাডিতেও। যোগ্যতা প্রমাণ করেই কমনওয়েলথের মতো বড় গেমসে সুযোগ পেয়েছেন তিনি।

নিজেকে ভাগ্যবান মনে করছেন শিরিন। আবেগআপ্লুত কণ্ঠে বললেন, ‘যখন খেলা শুরু করি তখন থেকেই স্বপ্ন ছিল কমনওয়েলথ গেমসে দেশের হয়ে খেলব। আল্লাহর অশেষ রহমতে সেই স্বপ্ন পূরণ হতে চলেছে। ওস্তাত হাজী মো. আশরাফের তত্ত্বাবধানে অক্টোবর থেকে অনুশীলন করেছি। প্রস্তুতিটা ভালোই হয়েছে।’ তাহলে কি পদক জেতার স্বপ্ন দেখছেন? শিরিন বললেন, ‘একজন খেলোয়াড় যখন বড় গেমসে অংশ নেয় তখন তার টার্গেট থাকে দেশকে পদক উপহার দেওয়ার। ৬৮ কেজি ইভেন্টে লড়বো। জানি পদক জেতাটা কঠিন। তারপরও যে প্রস্তুতিটা নিয়েছি তাতে আমি আশাবাদী। পদক জেতার স্বপ্ন নিয়েই গেমসে নামবো।’ শিরিন কুস্তিতে এসএ গেমসে অল্পের জন্য সোনা জিততে পারেননি। শেষ মুহূর্তে ইনজুরির কারণে রূপা নিয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হয়। ইসলামি সলিডারিটি গেমসে তামা ও ইন্দো-বাংলা গেমসে তার সোনা জেতার গৌরব রয়েছে। ২০০৯ থেকে ২০১৬ পর্যন্ত জাতীয় চ্যাম্পিয়নশিপে সোনা জিতে বিরল রেকর্ড গড়েছেন। বায়োডাটা ও পারফরম্যান্সই বলে দিচ্ছে কমনওয়েলথ গেমসে বাংলাদেশের একজন যোগ্য মহিলা কুস্তিগীরই অংশ নেবেন। এখন তিনি করবেন কী সেটাই অপেক্ষা।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর