সোমবার, ১৬ এপ্রিল, ২০১৮ ০০:০০ টা

ঘোড়দৌড়ে আনন্দে মাতোয়ারা

সৈয়দ নোমান, ময়মনসিংহ

ঘোড়দৌড়ে আনন্দে মাতোয়ারা

পয়লা বৈশাখের একদিন পরও মহুয়া-মলুয়া-মদিনা-লীলা-চন্দ্রাবতীর আদি ও অকৃত্রিম লীলাভূমির ময়মনসিংহ মেতেছিল প্রাণের উচ্ছ্বাসে। গতকাল বিকালে ঘোড়দৌড় প্রতিযোগিতা উপভোগের মাধ্যমে যেন বৈশাখের ষোল আনাই পূরণ করে নেয় শিক্ষা ও সংস্কৃতির নয়া এই বিভাগীয় নগরী।

গ্রাম-বাংলার মানুষের চিত্তবিনোদনের প্রধান আকর্ষণ এ ঘোড়দৌড় দেখতে ঐতিহ্যবাহী সার্কিট হাউস মাঠে সমাগম ঘটে ৫০ হাজার  মানুষের। সময়ের আগেই দলবেঁধে মাঠে সমবেত হয় শিশু-কিশোর থেকে শুরু করে বৃদ্ধা-যুবা পর্যন্ত। গাছের ডালে ও উঁচু জায়গায় দাঁড়িয়ে এই দৌড় প্রতিযোগিতা সবাইকেই দিয়েছে বাড়তি উম্মাদনা। ছিল উত্তেজনাও। সহীসদের উৎসাহ দিতে দুপাশের মানুষগুলোও উৎসাহ দিচ্ছিল গলা ফাটিয়ে। আর ঘোড়া নিয়ে ক্ষিপ্র গতিতে এগিয়ে চলা ঘোড়সওয়ারদের যুদ্ধে জয়ী হবার অদম্য চেষ্টা মুগ্ধ করেছে সবাইকে। 

প্রতিবছরই বৈশাখে ময়মনসিংহবাসীকে আনন্দের খোরাক দিতে বাংলার ঐতিহ্যবাহী এ ঘোড়দৌড়ের আয়োজন করে ময়মনসিংহ পৌরসভা। মেয়র ইকরামুল হক টিটুর সভাপতিত্বে এ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিভাগীয় কমিশনার জিএম সালেহ উদ্দিন, রেঞ্জ ডিআইজি নিবাস চন্দ্র মাঝি, জেলা প্রশাসক ড. ইভাষ চন্দ্র বিশ্বাস, পুলিশ সুপার সৈয়দ নুরুল ইসলাম, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ইউসুফ খান পাঠান এবং ময়মনসিংহ পৌরসভার কাউন্সিলরসহ প্রমুখ।  সভাপতির বক্তব্যে মেয়র ইকরামুল হক টিটু বলেন, যান্ত্রিকতার কারণে নগরবাসী মাঠের বিনোদন থেকে দিনকে দিন দূরে সরে যাচ্ছে। এমন চেতনা থেকেই বৈশাখে ঐতিহ্যবাহী বিনোদন দিতে পৌরসভার পক্ষ থেকে এই আয়োজন করা হয়েছে।

ঘোড়দৌড়ে আগত শিমু আক্তার নামের আনন্দমোহন কলেজের এক শিক্ষার্থী জানান, ইট কাঠের এই নগরীতে এমন আয়োজন সত্যিই অসাধারণ। শুধু বিনোদনই নয় আমরা গ্রাম-বাংলার স্বাদও পেয়েছি আজ।

আয়োজনের সমন্বয়কারী শরীফুল ইসলাম সঞ্জু জানান, তিনটি কদম ও তিনটি দাপট দৌড়ে ময়মনসিংহ, জামালপুর, সরিষাবাড়ি, মাদারগঞ্জ, টাঙ্গাইল, শেরপুর, গাজীপুর, সিরাজগঞ্জসহ বিভিন্ন এলাকার ঘোড়সওয়াররা অংশ নেন। ৫৩ টি ঘোড়া জয়ের লক্ষ্য নিয়ে এ লড়াইয়ে অবতীর্ণ হয়। পরে বিজয়ীদের মধ্যে পুরস্কার তুলে দেওয়া হয়।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর