শিরোনাম
সোমবার, ২৮ মে, ২০১৮ ০০:০০ টা

স্প্যানিশ ক্লাবগুলোর আধিপত্য

২০১৭/১৮ মৌসুম পর্যন্ত যে ৬৩টি ফাইনাল হয়েছে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের, সর্বোচ্চ ১৩ বার শিরোপা জিতেছে রিয়াল মাদ্রিদ

ক্রীড়া প্রতিবেদক

ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো, না মোহাম্মদ সালাহ- ইউয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগের চ্যাম্পিয়ন ট্রফিটি কে তুলে ধরবেন? সৃজনশীল ও শৈল্পিক ফুটবল খেলে কিয়েভের রাতের আকাশকে আলোকিত করবেন কে- এমন আলোচনায় গত কয়েকদিন নির্ঘুম রাত পার করেছেন ফুটবলপ্রেমীরা। তবে মন খারাপ হয়নি ফুটবলপ্রেমীদের। টানটান উত্তেজনায় ঠাসা শৈল্পিক একটি ফাইনালে ফুটবলপ্রেমীরা দেখেছেন গ্যারেথ বেলের দুর্দান্ত স্কিল ও চোখ ধাঁধানো গোল এবং সালাহ’র কান্না। দুরন্ত ফাইনালে ট্যাকটিক্যাল ফুটবল খেলে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ১৩ নম্বর শিরোপা জিতেছে রিয়াল মাদ্রিদ এবং অ্যাজাক্স ও বায়ার্ন মিউনিখের পর তৃতীয় দল হিসেবে হ্যাটট্রিক শিরোপাও জিতেছে স্প্যানিশ ক্লাবটি। জিদানের ট্যাকটিক্যাল ফুটবলের বিপক্ষে তালগোল হারিয়ে ১১ বছরের শিরোপা বন্ধ্যত্ব ঘোচাতে পারেনি জার্গেন ক্লপের লিভারপুল। রিয়ালের রেকর্ড গড়ার দিনে ইউয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগের পরিসংখ্যান বলছে শিরোপা জয়ের আধিপত্য শুধুই স্প্যানিশ ক্লাবদের। ২০১৭/১৮ মৌসুম পর্যন্ত যে ৬৩টি ফাইনাল হয়েছে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের, সর্বোচ্চ ১৩ বার শিরোপা জিতেছে রিয়াল মাদ্রিদ। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৭ শিরোপা এসি মিলানের। ৫ বার করে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে লিভারপুল, বার্সেলোনা ও বায়ার্ন মিউনিখ। সব মিলিয়ে স্প্যানিশ দুই ক্লাব রিয়াল মাদ্রিদ ও বার্সেলোনা চ্যাম্পিয়ন হয়েছে ১৮ বার। তিনবার করে শিরোপা জেতা দল ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড ও ইন্টার মিলান। দু’বার শিরোপা জুভেন্টাস, নটিংহাম ফরেস্ট, বেনফিকা ও পোর্তোর। আশ্চর্য হলেও সত্যি, ইংলিশ ফুটবলে এখন আর নাম নেই নটিংহাম ফরেস্টের। পরশু রাতে স্প্যানিশ জায়ান্টরা নেমেছিল হ্যাটট্রিক শিরোপা জিততে। দলটি অবশ্য ১৯৫৫-৫৬ থেকে ১৯৫৯-৬০ মৌসুম পর্যন্ত টানা পাঁচবার শিরোপা জিতেছিল চ্যাম্পিয়ন্স লিগের। তখন অবশ্য নাম ছিল ইউরোপিয়ান ক্লাব কাপ।

চ্যাম্পিয়ন্স লিগে স্প্যানিশ ও ইংলিশ ক্লাবগুলোর ফাইনাল হয়েছে পাঁচবার। সাফল্য স্প্যানিশ ক্লাবগুলোর। দুই দেশের ক্লাবগুলো প্রথম ফাইনালে মুখোমুখি হয় ১৯৮১ সালে। লিভারপুল ১-০ গোলে রিয়ালকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল। এবার প্রতিশোধ নিল রিয়াল। সেটা আবার ৩৭ বছর পর। দুই দলের প্রথম ফাইনালে লিভারপুলকে উচ্ছ্বাসে মাতিয়েছিলেন অ্যালান কেনেডি। ১৯৮১ সালের পর দুই দেশের ক্লাব ফের ফাইনালে মুখোমুখি হয় ২০০৬ সালে। ২৫ বছর পর ওই লড়াইয়ে বার্সেলোনা ২-১ গোলে হারিয়েছিল আর্সেনালকে। ফ্রাঙ্ক রাইকার্ডের বার্সেলোনার গোলদাতা ছিলেন স্যামুয়েল ইতো ও জুলিয়ানো বেলোত্তি। তিন বছর পর ২০০৯ সালে বার্সেলোনা ২-০ গোলে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডকে হারিয়ে জিতে নেয় শিরোপা। রোমের ফাইনালে পেপ গার্ডিওলার বার্সেলোনাকে চ্যাম্পিয়ন করতে গোল দুটি করেন স্যামুয়েল ইতো ও লিওনেল মেসি। ২০১১ সালে চতুর্থবারের মতো ফাইনালে মুখোমুখি হয়। এবারও স্যার অ্যালেক্স ফার্গুসনের ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড শিরোপা জিততে পারেনি। ৩-১ গোলে হেরে যায় বার্সেলোনার কাছে। বার্সার গোল তিনটি করেছিলেন পেদ্রো, মেসি ও ডেভিড ভিয়া। পরশু রাতের ফাইনালে বেলের দুই দুটি দুর্দান্ত গোলে ৩-১ গোলে ম্যাচ জিতে নতুন ইতিহাস লিখেছে রিয়াল মাদ্রিদ।

সর্বশেষ খবর