আশির দশকে ঢাকা মোহামেডানে দাপটের সঙ্গে খেলে যান নাইজেরিয়ার এমেকা। এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছিলেন নাইজেরিয়ান এমন এক জাতি মরার আগে শত্রুকে মেরে মরতে চায়। আসলে সুপার ঈগলখ্যাত দেশটি যে বিপদের সময় জ্বলে উঠতে পারে তার প্রমাণ পাওয়া গেল শুক্রবারের ম্যাচে। এবার বিশ্বকাপে ‘ডি’ গ্রুপে প্রথম ম্যাচে ক্রোয়েশিয়ার কাছে হার মানে। দ্বিতীয় ম্যাচে আইসল্যান্ডের সঙ্গে ড্র করলেই তাদের মিশন শেষ হয়ে যেত।
আশা বাঁচিয়ে রাখতে হলে ম্যাচ জেতা ছাড়া বিকল্প কোনো পথ ছিল না নাইজেরিয়ার। নতুন হিসেবে খেলতে এসেও প্রথম ম্যাচে ফেবারিট আর্জেন্টিনাকে রুখে দিয়ে ড্র করে। অনেকে তাই ধরে নিয়েছিলেন নাইজেরিয়ার বিপক্ষে আরও দুর্দান্ত খেলবে বরফের দেশটি। কিন্তু সবার ধারণাকে মিথ্যা প্রমাণিত করে উল্টোটাই ঘটিয়েছে সুপার ঈগলরা। দুর্দান্ত খেলে আইসল্যান্ডকে ২-০ গোলে হারিয়েছে তারা।
পুরো দলই ভালো খেলেছে। তবে আলাদাভাবে নজর কেড়েছেন ইংলিশ লিগে লিস্টারসিটিতে খেলা আহমেদ মুসা। তারই জোড়া গোলে পুরো পয়েন্ট পেয়েছে নাইজেরিয়া। সুপার ঈগলদের সুপার পারফরম্যান্সে আইসল্যান্ডরা ছিল দিশাহারা। দুই গোল দিয়ে আহমেদ মুসা নজর কেড়েছেন সবার। বিশেষ করে তার দ্বিতীয় গোলটি বিশ্বকাপে অন্যতম সেরা গোল হিসেবে চিহ্নিত হয়ে থাকবে। এই জয়ের পরও নাইজেরিয়ার ভাগ্য ঝুলছে। ২৬ মার্চ তারা গ্রুপের শেষ ম্যাচে খেলবে আর্জেন্টিনার বিপক্ষে। একই দিন আবার একই সময়ে ক্রোয়েশিয়া-আইসল্যান্ড মুখোমুখি হবে। ম্যাচ যদি ক্রোয়েশিয়া ড্র করে তখন নাইজেরিয়া বা আর্জেন্টিনার মধ্যে যেকোনো এক দল নকআউট পর্বে জায়গা করে নেবে। ড্র করলেই নাইজেরিয়া চলে যাবে। আর্জেন্টিনাকে জিততেই হবে।মুসারা যে গতিময় খেলা উপহার দিয়েছেন তাতে এখনই প্রশ্ন উঠেছে বিপর্যয়ে থাকা আর্জেন্টিনা পারবে কি? মুসা-মেসির লড়াইয়ে কি হবে সেটাই এখন দেখার অপেক্ষা।