শিরোনাম
রবিবার, ২৪ জুন, ২০১৮ ০০:০০ টা
আসলামের কলাম

জিতলেও মন ভরাতে পারেনি ব্রাজিল

জিতলেও মন ভরাতে পারেনি ব্রাজিল

ব্রাজিল জিতেছে। এই জয়ে সমর্থকরা খুশি। তবে ম্যাচ জিতলেও আমি বলবো ব্রাজিল মন ভরাতে পারেনি। ফুটবল গোলের খেলা। ব্রাজিল গোল পেয়েছে এবং পুরো পয়েন্ট পেয়েছে। এখন তাদের সমালোচনা করা মানেই সমর্থকরা বিরক্ত হবেন। কিন্তু ফুটবল যারা বোঝেন বা জানেন তারা একটাই কথা বলবেন, জয় পেলেও ব্রাজিলকে ব্রাজিলরূপে দেখা যায়নি। প্রথম ম্যাচে সুইজারল্যান্ডের বিপক্ষে ড্র করার পর কোস্টারিকাকে হারানো        ছাড়া ব্রাজিলের বিকল্প কোনো পথ ছিল না।

যেখানে বাঁচা-মরার প্রশ্ন জড়িয়েছিল। শুরু থেকে ব্রাজিল কি তাদের চেনা রূপটা দেখাতে পেরেছিল? দল যতই বড় হোক ম্যাচ গোছাতে একটু সময় নেবেই। কিন্তু প্রথমার্ধে নেইমারদের অপরিকল্পিত খেলা দেখে মনে হচ্ছিল এই ম্যাচেও তারা পয়েন্ট হারিয়ে মাঠ ছাড়বে। মধ্যমাঠ ও আক্রমণভাগের মধ্যে সমন্বয় ছিল না। ভুল পাস, অযথা শট নেওয়া দেখে বেশ বিরক্তিই লাগছিল। কোস্টারিকা আগের ম্যাচ হারলেও ব্রাজিলকে চেপে ধরেছিল। কাউন্টার অ্যাটাকে তারা যেভাবে ব্রাজিলের ডি-বক্সে ঢুকে পড়ছিল তাতে গোল হওয়াটা অসম্ভব কিছু ছিল না। অভিজ্ঞতার অভাবে তারা ব্রাজিলকে বিপাকে ফেলতে পারেনি।

দ্বিতীয়ার্ধে ধীরে ধীরে ম্যাচটি নিয়ন্ত্রণে নিয়ে নেয় ব্রাজিল। তারপরও নেইমারকে চেনারূপে দেখা যাচ্ছিল না। মনে হচ্ছিল তিনি ভিড়ের মধ্যে দৌড়াদৌড়ি করছেন। বরং কটিনহো, জেসুস, ফিরমিনো এমনকি মার্সেলো পেছন থেকে এসে আক্রমণ চালাচ্ছিলেন। নেইমার যে পেনাল্টির দাবিটি করেন তা ছিল সত্যিই হাস্যকর। রেফারি প্রথমে পেনাল্টির বাঁশিও বাজান, পরে রিভিউতে বাতিল করেন। নেইমারের মতো উঁচুমানের খেলোয়াড়ের এমন অভিনয় কি মানায়? রেফারির সঙ্গে উত্তেজিত আচরণের জন্য হলুদ কার্ড দেখেন নেইমার। এরপরও অবশ্য পাল্টে যায় ব্রাজিলের চেহারা। সময় গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে কোস্টারিকার সবাই উপরে উঠে এলে সুযোগটা কাজে লাগায় ব্রাজিল।

একের পর এক আক্রমণ করে প্রতিপক্ষকে দিশাহারা করে রাখে। নেইমারও জ্বলে ওঠেন। তবু শিডিউল টাইমে গোল করতে পারেনি। অতিরিক্ত ৬ মিনিটই ব্রাজিলিয়ানদের ভাগ্য খুলে দেয়। কটিনহো অসাধারণ গোল করেন। এরপর নেইমার। আমি বলবো, শেষ ছয় মিনিটেই ব্রাজিলকে দেখা গেছে ব্রাজিলরূপেই। এই জয়ের পরও ব্রাজিলের নকআউট পর্ব নিশ্চিত হয়নি। সুইজারল্যান্ডের সঙ্গে তারা চার পয়েন্ট নিয়ে যৌথভাবে শীর্ষে রয়েছে। সার্বিয়ার সঙ্গে ব্রাজিলের শেষ ম্যাচ। ড্র করলেই নকআউট পর্ব নিশ্চিত। হারলে বিদায় ঘণ্টা বেজে যাবে। এটা অবশ্য নির্ভর করছে সুইজারল্যান্ড-ক্রোয়েশিয়া ম্যাচের উপর। সুতরাং নেইমারদের ভাগ্য নির্ভর করছে গ্রুপের শেষ ম্যাচের ওপর।

ব্রাজিলের মতো আর্জেন্টিনাকেও শেষ ম্যাচ পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। বলা যায়, দুই চ্যাম্পিয়ন একই জায়গায় দাঁড়িয়ে। ক্রোয়েশিয়া যদি আইসল্যান্ডের সঙ্গে ড্র বা জিতে যায় তখন আর্জেন্টিনার শেষ ষোলোর রাস্তা তৈরি হবে।

নাইজেরিয়াকে তখন শেষ ম্যাচে হারাতেই হবে। ড্র করলে গ্রুপ পর্ব খেলেই মেসিদের মিশন শেষ হবে। কী আছে ব্রাজিল-আর্জেন্টিনার কপালে তা সময়ই বলে দেবে।

সর্বশেষ খবর