২০১০ বিশ্বকাপ ফুটবলে নতুন দেশ হিসেবে ফাইনাল খেলার যোগ্যতা পেয়েছিল স্পেন। এবার একুশতম আসরে নতুন এক দেশের দেখা মিলল। সুযোগ ছিল দুই নতুন দেশেরই ফাইনালে সাক্ষাৎ করার। কিন্তু প্রথম সেমিফাইনালে ফ্রান্সের কাছে বেলজিয়াম হেরে যাওয়ায় তা আর সম্ভব হয়নি। এই কৃতিত্ব পেয়েছে ক্রোয়েশিয়া। ইংল্যান্ডকে হারিয়ে বিশ্বকাপের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো ফাইনালে জায়গা করে নিয়েছে ক্রোয়েটরা। এ এক বিরল রেকর্ডই বলা যায়। যে দেশটির বিশ্বকাপে অভিষেক ঘটে ১৯৯৮ সালে। সেই ক্রোয়েশিয়াই কিনা ২০ বছরের মাথায় ফাইনালে উঠে চমক দেখাল। ফ্রান্সকে হারালেই বিশ্বকাপে নবম দেশ হিসেবে চ্যাম্পিয়ন হবে তারা।
১৯৩০ সালে বিশ্বকাপ মাঠে গড়ানোর পর ১২টি দেশ ফাইনাল খেলেছিল। ক্রোয়েশিয়াকে নিয়ে সংখ্যা দাঁড়াল ১৩তে। প্রথম ফাইনালে মুখোমুখি হয় উরুগুয়ে ও আর্জেন্টিনা। কাপ জিতে ইতিহাসের পাতায় চিরতরে ঠাঁই করে নেয় উরুগুয়ে। কেননা প্রথম বিশ্ব জয়ের গৌরবই আলাদা। এরপর ফাইনাল খেলে ইতালি, চেকোস্লোভাকিয়া, হাঙ্গেরি, জার্মানি, ব্রাজিল, সুইডেন, ইংল্যান্ড, নেদারল্যান্ডস, ফ্রান্স ও স্পেন। এবার নতুনভাবে যোগ হলো ক্রোয়েশিয়ার নাম।
আনলাকি থার্টিন হিসেবে বিশ্বকাপের ফাইনাল খেলছে। আনলাকি সংখ্যা ক্রোয়েটদের লাকি হয়ে দাঁড়াবে কিনা সেটাই দেখার বিষয়। আটটি দেশের বিশ্বকাপ জয়ের রেকর্ড রয়েছে। ২০ আসরে সর্বোচ্চ পাঁচবার ব্রাজিল, চারবার জার্মানি ও ইতালি, দুবার উরুগুয়ে ও আর্জেন্টিনা এবং ইংল্যান্ড, ফ্রান্স ও স্পেন একবার করে। ১৫ জুলাই ফাইনালে ক্রোয়েশিয়া জিতে গেলে নবম চ্যাম্পিয়নের দেখা মিলবে। সবচেয়ে দুর্ভাগ্য বলতে হয় নেদারল্যান্ডসের। তিনবার ফাইনালে উঠলেও রানার্স আপ হয়ে থাকতে হয় তাদের। চেকোস্লোভাকিয়া ও হাঙ্গেরি দুবার ফাইনাল খেলেও চ্যাম্পিয়ন হতে পারেনি। সুইডেনও রানার্স হয় একবার ফাইনালে খেলে। স্বাগতিক হিসেবে বিশ্বকাপ জেতার রেকর্ড রয়েছে উরুগুয়ে, ইতালি, জার্মানি, ইংল্যান্ড, আর্জেন্টিনা ও ফ্রান্সের।
ফাইনাল খেলা দেশ
১. উরুগুয়ে
২. আর্জেন্টিনা
৩. ইতালি
৪. চেকোস্লোভাকিয়া
৫. হাঙ্গেরি
৬. ব্রাজিল
৭. জার্মানি
৮. সুইডেন
৯. ইংল্যান্ড
১০. নেদারল্যান্ডস
১১. ফ্রান্স
১২. স্পেন
১৩. ক্রোয়েশিয়া