সোমবার, ১৬ জুলাই, ২০১৮ ০০:০০ টা

মাঠের বদলে ফাইনালে তারা ছিলেন দর্শক!

ক্রীড়া প্রতিবেদক

মাঠের বদলে ফাইনালে তারা ছিলেন দর্শক!

শেষ হয়ে গেল দুনিয়া কাঁপানো বিশ্বকাপ। ফাইনালে খেলল ইউরোপের দুই দেশ ফ্রান্স ও ক্রোয়েশিয়া। ফ্রান্সকে না হয় শুরু থেকেই ফেবারিট ধরা হয়েছিল। তাই তাদের ফাইনালে খেলাটা প্রত্যাশার বাইরে ছিল না। কিন্তু ক্রোয়েশিয়া ফাইনাল তো দূরের কথা দ্বিতীয় রাউন্ডে খেলতে পারবে কিনা তা নিয়ে সংশয় ছিল। সেই ক্রোয়াটরাই  দেখিয়ে দিল তাদের সামর্থ্য। একে একে ফেবারিটদের পেছনে ফেলে ফাইনালে জায়গা করে নিল। বিশ্ব ফুটবলে দুই জনপ্রিয় দেশ ব্রাজিল ও আর্জেন্টিনা। বিশ্বকাপ এলে বাংলাদেশ যেন ব্রাজিল বা আর্জেন্টিনায় পরিণত হয়ে যায়।

কালো মানিকখ্যাত পেলের নৈপুণ্যের কারণে ব্রাজিলকে নিয়ে আগে থেকেই উন্মাদনায় মেতে উঠতো বাংলাদেশ। কিন্তু ১৯৮৬ সালে ম্যারাডোনার নেতৃত্বে আর্জেন্টিনা চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পর বাংলাদেশে আর্জেন্টিনার সমর্থক হু হু করে বেড়ে যায়। ম্যারাডোনার কারণেই বাংলাদেশের ফুটবলপ্রেমীরা আর্জেন্টিনা বলতে অজ্ঞান। কোনো সন্দেহ নেই তুলনামূলকভাবে বাংলাদেশে আর্জেন্টিনার সমর্থক সংখ্যা অনেক এগিয়ে। বাংলাদেশের প্রত্যাশা থাকে হয় আর্জেন্টিনা না হয় ব্রাজিল বিশ্বকাপ জিতুক। মনে-প্রাণে চায় স্বপ্নের ফাইনালে দুই দেশ মুখোমুখি হোক। না হলে একটা দল ফাইনাল খেলে বিশ্বকাপ জিতুক এই আশায়। ২০১৪ বিশ্বকাপে ব্রাজিল সেমিফাইনালে বিদায় নিলেও লিওনেল মেসির আর্জেন্টিনা ঠিকই ফাইনালে উঠেছিল। তবে আশা পূরণ হয়নি। জার্মানির কাছে হেরে রানার্সআপ হয়ে সন্তুষ্ট থাকতে হয়। এবারও প্রত্যাশা ছিল আর্জেন্টিনা বা ব্রাজিলের বিশ্ব জয়ের। না, এবারও স্বপ্ন ভঙ্গ। ফ্রান্সের কাছে হেরে দ্বিতীয় রাউন্ড থেকে বিদায় নেয় আর্জেন্টিনা। ব্রাজিল কোয়ার্টার ফাইনালে বিদায় নেয় বেলজিয়ামের কাছে হেরে। যেখানে প্রত্যাশা ছিল মেসি বা নেইমাররা ফাইনাল খেলবেন সেখানে কিনা মাঠে নামার বদলে তারা সাধারণ দর্শক হয়ে ফ্রান্স ও ক্রোয়েশিয়ার লড়াই উপভোগ করলেন। এ এক ট্র্যাজেডিই বলা যায়। ফাইনালের বদলে মেসি বা নেইমার ফাইনালে দর্শক হয়ে খেলা দেখবে তা দুই দলের সমর্থকরা কোনোভাবেই মেনে নিতে পারেননি। কিন্তু কী আর করার বাস্তবতা তো মেনে নিতে হবে। এখন চেয়ে থাকতে হবে আগামীর দিকে।

সর্বশেষ খবর