শুক্রবার, ৩ আগস্ট, ২০১৮ ০০:০০ টা

জাকার্তায় কী করবেন মাবিয়া

ক্রীড়া প্রতিবেদক

জাকার্তায় কী করবেন মাবিয়া

মাবিয়া আক্তার সীমান্ত

মাবিয়া আক্তার সীমান্ত ক্রীড়াঙ্গনে এখন আলোচিত নাম। ২০১৬ সালে এস এ গেমসে ভারোত্তোলনে সোনা জিতে আলোড়ন তোলেন। মহিলা ৬৩ কেজি ওজনে সোনার পদক গলায় ঝুলানোর সময় আবেগে কেঁদেই ফেলেছিলেন মাবিয়া। সেই দৃশ্য এখনো চোখে ভাসে। অল্প বয়সে সাফল্য পাওয়ার পর তাকে নিয়ে অনেকে আশাবাদী হয়ে উঠেন। মাবিয়াও বলেছিলেন দেশকে তিনি বড় ধরনের সাফল্য এনে দিতে চান।

মাবিয়ার যে সামর্থ্য আছে তার স্বাক্ষরও রয়েছে। কমনওয়েলথ গেমসে প্রথমবারের মতো অংশ নিয়ে পদক প্রায় জিতেই ফেলেছিলেন। দুর্ভাগ্য বলতে অল্পের জন্য তামার বদলে তাকে ৬ষ্ঠ হয়ে দেশে ফিরতে হয়। গোলকোস্ট কমনওয়েলথের পর মাবিয়ার এবারের মিশন এশিয়ান গেমস। যা চলতি মাসেই জাকার্তায় শুরু হতে যাচ্ছে।

কমনওয়েথের চেয়ে এশিয়ান গেমস আরও বড়। এখানে এশিয়ার বিখ্যাত ভারোত্তোলকরা অংশ নেন। সেখানে মাবিয়ার কাছে পদকের আশা করা যায় কি? পদকের প্রশ্ন উঠলে উঠে আসবে প্রস্তুতির কথা। এশিয়ান গেমসে নামমাত্র প্রস্তুতি নিয়ে পদক জেতার আশা করাটা হাস্যকরই বলা যায়। কথা হচ্ছে মাবিয়া সে ধরনের প্রস্তুতি নিয়ে ইন্দোনেশিয়ায় উড়ে যেতে পারবেন কি?

বিষয়টি নিয়ে মাবিয়ার সঙ্গে আলোচনা করা যায়নি। তবে ভারোত্তোলনে ট্রেনিং অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট কমিটির সদস্য সচিব দেশের খ্যাতনামা ভারোত্তোলক কাজল দত্ত বলেন, ফেডারেশনকে ধন্যবাদ জানাতেই হয় এশিয়ান গেমসে ভারোত্তোলনে খেলোয়াড় পাঠানোর ব্যবস্থা করেছে।  গেমসে মাবিয়াই শুধু লড়বেন। পদক নয় ভালো করার জন্য যে ধরনের প্রস্তুতি দরকার তা মাবিয়ার হচ্ছে না। দেড় মাস বলা হচ্ছে বাস্তবে ওর প্রশিক্ষণ চলছে বড় জোর ২০ দিন ধরে। এশিয়ান গেমসে এই অনুশীলন কোনোভাবেই পর্যাপ্ত নয়।

কাজল প্রশিক্ষক নিয়েও প্রশ্ন তোলেন। মাবিয়ার প্রশিক্ষণের দায়িত্বে আছেন ফিরোজা পারভীন। কাজলের মতে এখানে আরও দক্ষ কোচ দেওয়া দরকার ছিল। ফিরোজা তো এখনো খেলোয়াড়। কোচিং দেওয়ার মতো তার কি অভিজ্ঞতা হয়েছে? কাজলের কাছে প্রশ্ন ছিল অনুশীলন ও কোচ বাছাই এটাতো ট্রেনিং ডেভেলপমেন্ট কমিটির দায়িত্ব। তাহলে কমিটি সদস্য সচিব হয়েও অভিযোগ তুলছেন কেন? এ ব্যাপারে তার বক্তব্য অভিযোগ নয়, যা সত্য তাই বললাম। ভারোত্তোলন ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক লে. কর্নেল মো. নজরুল ইসলাম বলেন, যতটুকু সম্ভব সেভাবে মাবিয়ার অনুশীলনের ব্যবস্থা করা হয়েছে। এশিয়ান গেমসে তার কাছে পদক জয়ের আশাও করি না। কেননা সে ধরনের উন্নতমানের ট্রেনিং দেওয়া সম্ভব হয়নি। তবে মাবিয়া হতাশ করবে না এতটুকু বলতে পারি। কোচ নিয়োগের ব্যাপারে নজরুল বলেন, পুরো ব্যাপারটি আমরা ছেড়ে দিয়েছিলাম ট্রেনিং অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট কমিটির ওপর। তারাই তো ভালো জানেন কাকে নিলে ভালো হয়। তাছাড়া যোগ্যতা না থাকলে কাউকে কি কোচ হিসেবে এশিয়ান গেমসে পাঠানো যায়। তিনি বলেন, যারা মাবিয়ার প্রস্তুতি নিয়ে কথা তুলেছে তাদেরই বলি এশিয়ান গেমসে পদক জেতার মতো কয়টা ফেডারেশন উপযুক্ত ট্রেনিংয়ের ব্যবস্থা করেছে। তাছাড়া এখানে তো ফেডারেশনের হাত নেই। পুরো ব্যাপারটি তদারকি করছে অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশন।

সর্বশেষ খবর