শিরোনাম
শনিবার, ১৫ সেপ্টেম্বর, ২০১৮ ০০:০০ টা

অন্ধকারে বিশ্বকাপের স্টেডিয়াম!

ক্রীড়া ডেস্ক

অন্ধকারে বিশ্বকাপের স্টেডিয়াম!

ব্রাজিল বিশ্বকাপের জন্য অবকাঠামোগত উন্নয়নে খরচ করেছিল ১৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। সেই তুলনায় রাশিয়ার খরচ অনেক কম। ১১ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের কিছু বেশি। বিশ্বকাপের জন্য দৃষ্টিনন্দন এসব স্টেডিয়াম বানিয়ে সেগুলো কী পরবর্তীতে ঠিকভাবে কাজে লাগাতে পারছে আয়োজক দেশগুলো! ব্রাজিল বিশ্বকাপের এক বছর যেতে না যেতেই খবর বেরিয়েছিল ব্রাসিলার গারিঞ্চা স্টেডিয়ামটি ট্রাক-বাসের গ্যারেজ হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে। ব্রাজিলের পক্ষে স্টেডিয়ামগুলোর রক্ষণাবেক্ষণই কঠিন থেকে কঠিনতর হয়ে উঠছে। রাশিয়া অবশ্য ব্রাজিলের মতো নয়। বিশেষ করে পুতিনের মতো প্রেসিডেন্ট থাকায় আরও সুবিধা হয়েছে রাশানদের। কিন্তু বিশ্বকাপের জন্য তৈরি করা স্টেডিয়ামগুলো রক্ষণাবেক্ষণ করতে রাশিয়াকেও কঠিন সমস্যার মুখোমুখি হতে হচ্ছে। বিশ্বকাপ শেষ হয়েছে দুই মাসও হয়নি। এরই মধ্যে অন্ধকারে ডুবে গেল বিশ্বকাপের স্টেডিয়াম।

সামারা অ্যারিনার গঠনশৈলী দেখলে সত্যিই অবাক হতে হয়। পুরো তাতার দুর্গের আদলে গড়া এই স্টেডিয়ামটি দূর থেকে দেখলে অনেকটা স্পেসশিপের মতো মনে হয়। যেন মহাকাশ থেকে নেমে এসেছে কোনো ইউএফও। অ্যালিয়েনদের নামিয়ে দিয়ে অপেক্ষায় আছে আকাশে উড়ে যেতে। যে কোনো সময় প্রবল ঘূর্ণিঝড় তুলে উড়ে যাবে। অসাধারণ সুন্দর এই স্টেডিয়ামটিই অন্ধকারে ডুবে গিয়েছিল। বিদ্যুৎ বিল না দেওয়ায় লাইন কেটে দিয়েছিল কর্তৃপক্ষ। ৪২ হাজার আসনবিশিষ্ট এই স্টেডিয়ামের দেখাশোনা করে পিএসও কাজান নামক এক কোম্পানি। তারা ৯২ লাখ ১৬ হাজার রুবল (প্রায় ১ কোটি ১৪ লাখ টাকা) বিদ্যুৎ বিল দেয়নি। এই কারণেই সামারার বিদ্যুৎ নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ স্টেডিয়ামটির আলো নিভিয়ে দিয়েছিল। বিদ্যুৎ লাইন কেটে দিয়েছিল। অবশ্য পরবর্তীতে দীর্ঘ বৈঠকের পর রাশিয়ান প্রিমিয়ার লিগের খেলা চালানোর জন্য বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়া হয়েছে। কিন্তু বিদ্যুৎ বিল বকেয়া থাকার কারণে সবকিছুই অনিশ্চিত হয়ে গেছে। বিশ্বকাপের স্টেডিয়াম অন্ধকারে ঢেকে যাওয়ায় সন্দেহ দেখা দিয়েছে। রাশিয়াতেও কী ব্রাজিলের মতোই ঘটনা ঘটতে যাচ্ছে!

সর্বশেষ খবর