সোমবার, ২৪ সেপ্টেম্বর, ২০১৮ ০০:০০ টা

আর কত পথ দেখাবে মেয়েরা?

ক্রীড়া প্রতিবেদক

আর কত পথ দেখাবে মেয়েরা?

ফুটবলে মেয়েরাই সাফল্যের পতাকা উড়াচ্ছে। গতকালও আরেকটি শিরোপা নিজেদের করে রেখেছে মারিয়ারা। এএফসি অনূর্ধ্ব-১৬ নারী বাছাই পর্বে বাংলাদেশ ২-০ গোলে ভিয়েতনামকে হারিয়ে দ্বিতীয় রাউন্ডে উঠেছে বাংলাদেশের  মেয়েরা। এই পর্ব পেরুতে পারলেই মারিয়ারা চূড়ান্ত পর্বে জায়গা করে নেবে। গতবার এএফসি-১৬ ফুটবলে চূড়ান্ত পর্বে খেলেছিল বাংলাদেশ। এবার পথটা কঠিন হয়ে পড়েছিল। গ্রুপের টানা তিন ম্যাচে বড় ব্যবধানে জিতলেও পয়েন্ট ও গোল পার্থক্য সমান হয়ে যায় ভিয়েতনামের সঙ্গে। সবকিছু সমান হলেও কম কার্ড দেখার সুবাদে ভিয়েতনাম টেবিলে শীর্ষে অবস্থান নেয়। গতকাল যদি ম্যাচ ড্র হতো তাহলে কম কার্ড অর্থাৎ শৃঙ্খলার বিবেচনায় ভিয়েতনামই গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হতো। বাংলাদেশকে তখন অপেক্ষা করতে হতো বেস্ট গ্রুপ রানার্সআপ হয় কিনা। এখন চ্যাম্পিয়ন হয়েই বাংলাদেশ দ্বিতীয় রাউন্ডে খেলবে। কচি বয়সের মেয়েরা ৯০ মিনিটের ম্যাচ খেলেছে। কী দম ও গতি দেখলে চোখ জুড়িয়ে যায়। গত এক বছরে মেয়েরা হয় চ্যাম্পিয়ন হচ্ছে না হয় রানার্সআপ। কোনোভাবেই ব্যর্থ নয় তারা। অপ্রতিরোধ্য গতিতে এগিয়ে চলেছে। অন্যদিকে পুরুষ জাতীয় দল ব্যর্থতার বৃত্তে বন্দী। এশিয়ান গেমসে দ্বিতীয় রাউন্ডে উঠে কি কি আলো দেখালেও তা নিভে যায় ঘরের মাঠে সাফে ব্যর্থতায়। টানা চার আসরে মামুনুলরা সাফে সেমিফাইনাল খেলতে পারছে না। এর চেয়ে বড় হতাশা আর কী হতে পারে। একটা ব্যাপার লক্ষণীয় যে পুরুষ জাতীয় দলের কোনো টুর্নামেন্টে ভরাডুবি ঘটলে মেয়েরাই শিরোপা জিতে জামালদের জ্বলে উঠার পথ দেখিয়ে দেয়। কিন্তু কোনো কিছুতেই লাভ হচ্ছে না। কিছুদিন পরই ঘরের মাঠে বাংলাদেশ বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপে অংশ নেবে। সাফে ব্যর্থতার পর স্বাভাবিকভাবে মনোবলে চির ধরেছে। এখন অনুপ্রেরণা হিসেবে মারিয়াদের সাফল্য ভালো কিছু করার পথ দেখাতে পারে। কিন্তু পুরুষ ফুটবল ঘিরে আশা ছেড়েই দিয়েছে ক্রীড়াপ্রেমীরা। যত আশা ও ভরসা মারিয়াদের নিয়েই। ৯০ মিনিটে অর্ধেক লড়াইয়ে মামুনুলরা যেখানে দম বন্ধ হওয়ার উপক্রম। সেখানে কিনা মেয়েদের লড়াকু মনোভাব দেখে মনে হয় ১৮০ মিনিটও তাদের দমাতে পারবে না। অন্ধকারে পড়ে থাকা পুরুষদের বার বার আলোর পথ দেখাচ্ছে মারিয়ারা। কিন্তু লাভ হচ্ছে না। তাহলে বাংলাদেশের ফুটবল কি এখন পুরোপুরি মেয়েদের ওপর নির্ভরশীল হয়ে পড়ছে? এটা কী সুসংবাদ হতে পারে। যত কথাই বলি না কেন ফুটবলে পুরুষ জাতীয় দল জ্বলে না উঠলে সেই দেশের ক্রীড়াঙ্গনের ভবিষ্যৎ অন্ধকারই বলা যায়।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর