শনিবার, ২৯ সেপ্টেম্বর, ২০১৮ ০০:০০ টা

দুবাইয়েও টিকিটের জন্য হাহাকার

ক্রীড়া প্রতিবেদক, দুবাই থেকে

দুবাইয়েও টিকিটের জন্য হাহাকার

দুবাই গ্যালারিতে লাল-সবুজের পতাকার ছড়াছড়ি —এএফপি

আগের দুবার ফাইনাল খেলেছে ঘরের মাঠে। এবারই প্রথম এশিয়া কাপের ফাইনাল খেলছে দেশের বাইরে, সুদূর দুবাইয়ে। এশিয়ার শ্রেষ্ঠত্বের মুকুট মাথায় পরতে গতকাল ‘মরু শহরে’ স্বপ্নের ক্রিকেট খেলেছেন মাশরাফিরা। অথচ হাজার হাজার মাইল দূরে টগবগ করে ফুটেছে বাংলাদেশের ১৬ কোটি ক্রিকেটপ্রেমী। ছুটির দিন বলে সব কাজকর্ম শিকেয় তুলে টেলিভিশনের পর্দায় চোখ রেখেছেন সবাই। পিছিয়ে ছিল না দুবাইয়ের প্রবাসী বাঙালিরাও। এখানেও শুক্রবার ছুটির দিন। কাজের চাপ কম। সবাই চেয়েছেন মাঠে উপস্থিত থেকে প্রিয় বাংলাদেশকে অহর্নিশ সমর্থন জোগাতে। কিন্তু গুটিসংখ্যক বাঙালি ছাড়া বাকি সবাইকে দলের সাফল্য কামনা করতে হয়েছে মাঠের বাইরে থেকে। এদিক-ওদিক ধরনা দিয়েও টিকিট সংগ্রহ করতে পারেনি। একটি টিকিটের জন্য কেউ কেউ দ্বারস্থ হয়েছেন টিম হোটেলে। আবার টুর্নামেন্ট কাভার করতে আসা মিডিয়া কর্মীদের কাছেও ধরনা দিয়েছেন। কিন্তু কোথাও কোনো লাভ হয়নি। ঐতিহাসিক ফাইনাল দেখতে বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপনসহ অধিকাংশ পরিচালকই উপস্থিত হয়েছেন মাঠে। বিসিবির এক প্রভাবশালী পরিচালক আবার কর্মস্থলের কর্মকর্তাদের টিকিট দিতে ক্রিকেট দলের সব টিকিট হস্তগত করে নেন। ইতিহাস গড়ার ফাইনাল। ৩০ হাজার আসনের দুবাই স্টেডিয়াম ছিল ভরপুর। ৭০-৭৫ শতাংশ দর্শক ছিল ভারতের তেরঙা পতাকার সমর্থক। বাকি ছিল লাল-সবুজ বাংলাদেশের। খেলা দেখতে ঢাকা থেকে উড়ে আসেন কয়েকশ দর্শক। শাহীন, গার্মেন্ট ব্যবসায়ী।

প্রিয় বাংলাদেশের খেলা দেখতে সারা পৃথিবী চষে বেড়ান। বিশ্বকাপ দেখতে অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড, চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি দেখতে ইংল্যান্ড, নিদাহাস ট্রফি দেখতে শ্রীলঙ্কা গেছেন। হয়েছেন ইতিহাসের সাক্ষী। এবারও প্রথম শিরোপা জয়ের স্বপ্ন নিয়ে দুবাই এসেছেন, ‘বাংলাদেশের খেলা বিশ্বের যেখানেই হোক না কেন, আমি চেষ্টা করি উপস্থিত থাকতে। এবারও উপস্থিত হয়েছি ইতিহাসের সাক্ষী হতে।’ শুধু শাহীন নন, ‘টাইগার’ খ্যাত মিলনসহ বাংলাদেশের হাজার হাজার ক্রিকেটপ্রেমী ৪৫ ডিগ্রি তাপমাত্রা উপেক্ষা করে উপস্থিত হন শহরের এক কোনায় অবস্থিত স্টেডিয়ামে। দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ভারত ও পাকিস্তান ফাইনাল খেলবে বিবেচনায় অনেক আগেই ৪০ থেকে শুরু করে ১৫০০ দিরহামের সব টিকিট বিক্রি হয়ে গেছে। দল ফাইনালে না ওঠায় পাকিস্তানিরা পরিচিতজনদের দিয়ে টিকিট বিক্রয় করেছেন চড়া দামে। ৪০ দিরহামের টিকিট কোথাও কোথাও ১৫০ দিরহামেও বিক্রি হয়েছে। বার দুবাইয়ে ইম্পেরিয়াল হোটেল অ্যান্ড রেস্টুরেন্টে কাজ করেন ফয়সাল হোসেন সবুজ। ১৫০ দিরহাম বা বাংলাদেশি টাকায় প্রায় সোয়া দুই হাজার টাকায় টিকিট কিনে খেলা দেখতে আসেন, ‘ছুটি ছিল না। ২০০ দিরহাম জরিমানা গুনে ছুটি নিয়ে খেলা দেখতে এসেছি। টিকিট কিনেছি ১৫০ দিরহাম দিয়ে। ভারতকে হারিয়ে প্রথম শিরোপার সাক্ষী হতেই ছুটে এসেছি স্টেডিয়ামে।’

সর্বশেষ খবর