শিরোনাম
শুক্রবার, ৫ অক্টোবর, ২০১৮ ০০:০০ টা

এবার যুবাদের আক্ষেপের গল্প

ক্রীড়া প্রতিবেদক

এবার যুবাদের আক্ষেপের গল্প

দুবাইয়ের পর মিরপুরেও বেদনাভঙের গল্প লিখল বাংলাদেশ। এশিয়া কাপের ফাইনালে ভারতের কাছে শেষ বলে হেরেছিল টাইগাররা। এবার যুব এশিয়া কাপের সেমিফাইনালে সেই ভারতের কাছেই হারল টাইগার যুবারা —সৌজন্যে

এশিয়া কাপের ফাইনালে শেষ বলে হারের বেদনায় এখনো ডুবে আছে বাংলাদেশের ক্রিকেটপ্রেমীরা। দুবাইয়ের ফাইনালে হারের কষ্ট ভোলার সুযোগ এসেছিল গতকাল। কিন্তু সেটা হয়নি। দুবাইয়ের মতো মিরপুরেও তীরে এসে তরী ডুবে যায়। অনূর্ধ্ব-১৯ যুব এশিয়া কাপের সেমিফাইনালে মাত্র ২ রানে ভারতের কাছে হেরে বিদায় নিয়েছে বাংলাদেশ। সিনিয়রদের পর জুনিয়ররাও এবার আক্ষেপের গল্প লিখলেন। আজ দ্বিতীয় সেমিফাইনালে মুখোমুখি হবে শ্রীলঙ্কা ও আফগানিস্তান। জয়ী দল রবিবার ফাইনালে মুখোমুখি হবে ভারতের।

ছোট-বড় যে কোনো আসরেই বাংলাদেশ-ভারত ম্যাচ মানে রুদ্ধশ্বাস প্রতিদ্বন্দ্বিতা। বিশ্বকাপ ক্রিকেট, টি-২০ বিশ্বকাপ, এশিয়া কাপে সিনিয়রদের হারজিত নির্ধারিত হচ্ছে শেষ বলে। গতকাল যুবাদের লড়াইয়ে মিরপুর শেরেবাংলা জাতীয় স্টেডিয়ামে সেটা হয়নি। কিন্তু উত্তেজনার কমতি ছিল না। ১৭৩ রান চেজ করতে নেমে ১৭০ রানে থমকে যায় টাইগার যুবারা। হেরে যায় মাত্র ২ রানে। প্রথমে ব্যাট করে ভারতীয় ৪৯.৩ ওভারে ১৭২ রানে গুটিয়ে যায়। টস জিতে ব্যাট করতে নেমে শুরুতে ধাক্কা খায় প্রতিবেশীরা। ওপেনার দেবদত্ত পাদিক্কালের বিদায়ের পর জুটি বাধেন যশ্বসী জয়সওয়াল ও অনুজ রাওয়াত। দুজনে দলকে ৬৯ রানে নিয়ে যেয়ে বিচ্ছিন্ন হন। অনুজ ৩১ রানের ইনিংস খেলেন ৬৫ বলে। এক পর্যায়ে দলটি ৭৭ রানে হারিয়ে ফেলে ৫ উইকেট।  সেখান থেকে বিপর্যয় সামাল দেন আয়ুশ বাদানি ও সমীর চৌধুরী। ষষ্ঠ উইকেট জুটিতে দুজনে যোগ করেন ৫৯ রান। বাদানি সাজঘরে ফিরেন ৩৯ বলে ২৮ রান করে। সমীর সর্বোচ্চ ৩৬ রান করেন। শরিফুল আঁটোসাঁটো বোলিং করে ১৬ রানের খরচে তুলে নেন ৩ উইকেট। ২টি করে উইকেট নেন রিশাদ, মৃত্যুঞ্জয়। ১৭৩ রানের টার্গেটে খেলতে নেমে জয়ের আশা জাগিয়েছিল টাইগার যুবারা। এক পর্যায়ে শেষ ১৫ ওভারে জয়ের জন্য ৩৪ রান দরকার ছিল স্বাগতিকদের। হাতে ছিল ৫ উইকেট। কিন্তু সেই কাজটি করতে পারেননি তাড়াহুড়া করে। ২২ বল হাতে রেখে ১৭০ রানে গুটিয়ে যায় বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯। ৬৫ রানে ৫ উইকেট হারানো দলকে নিয়ে ঘুরে দাঁড়ান শামীম-আকবর জুটি। ষষ্ঠ উইকেটে দুজনে যোগ করেন ৭৪ রান। আকবর ৬৩ বলে খেলেন ৪৫ রানের প্রত্যয়ী ইনিংস। সতীর্থের বিদায়ের পর শামীম একাই দলকে টানতে চেষ্টা করেন। খেলেন ৮০ বলে ৫৯ রানের নান্দনিক ইনিংস। কিন্তু তার ইনিসংসটি শেষ পর্যন্ত কোনো কাজে লাগেনি।

সর্বশেষ খবর