মাঠে ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো আছেন স্বরূপে। জুভেন্টাসে এসে প্রথম দিকে গোল না পেলেও এখন পাচ্ছেন। তার জাদুকরি নৈপুণ্যই জুভেন্টাস একের পর এক ম্যাচে জিতে ইতালিয়ান লিগে শীর্ষে অবস্থান করছে। রিয়াল মাদ্রিদ ছাড়ার পরও পর্তুগিজ এই তারকা পারফরম্যান্স ধরে রেখেছেন ঠিকই। এরপরও কী তিনি সুখে আছেন? ফুটবলের যারা খোঁজখবর রাখেন তারা এক বাক্যে না বলে দেবেন। কারণ নারীঘটিত কেলেঙ্কারি ক্যাথরিন মরোরগার ধর্ষণের অভিযোগই সামলাতে পারছেন না রোনালদো। নিজেকে নির্দোষ দাবি করে যাচ্ছেন বিশ্ব ফুটবলের সুপার স্টার। কিন্তু ক্যাথরিন জোর গলায় আদালতে বলেছেন তার কাছে সব রকম প্রমাণও রয়েছে। আদালত চাইলে তিনি ভিডিও ফুটেজ দেখাতে পারেন।
ক্যাথরিনের মামলায় রোনালদো হিমশিম খেয়ে যাচ্ছেন। এরপর আবার ‘মড়ার উপর খাঁড়ার ঘা’ হিসেবে নতুন করে অভিযোগ তুলেছেন আরও তিন সুন্দরী। ক্যাথরিনের আইনজীবী লেসনি স্ট্রোভান জানিয়েছেন, তিন নারী রোনালদোর বিরুদ্ধে একই রকম অভিযোগ করে তাকে ফোন করেছেন। স্টোভান এখন এসব অভিযোগের সত্যতা যাচাইয়ে ব্যস্ত। যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক মডেল ক্যাথরিনের ধর্ষণের অভিযোগ দুনিয়াজুড়ে হৈচৈ পড়ে গেছে। ২০০৯ সালে লাসভেগাসে এক ডিস্কোতে এই মডেল কন্যার সঙ্গে রোনালদোর পরিচয়। পরে ফ্রেন্ডশিপের সুযোগ নিয়ে রোনালদো তাকে ভয় দেখিয়ে ধর্ষণ করেন। পুলিশ এই অভিযোগের তদন্ত শুরু করেছে। প্রশ্ন উঠেছে ক্যাথরিনের এই অভিযোগ সাজানো কিনা? জুভেন্টাসে যোগ দেওয়ার পরই তার বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ উঠল কেন? কেউ কি ক্যাথরিনকে মোটা অঙ্কের উেকাচ দিয়ে এই ধর্ষণের নাটক সাজিয়েছেন। সন্দেহ উঠেছে রিয়াল মাদ্রিদকে ঘিরেই। কেননা রোনালদো চলে যাওয়ার পর দলটি বিপদে পড়ে গেছে। তাই রোনালদোর ক্যারিয়ার শেষ করে দিতে রিয়াল মাদ্রিদ এই নোংরা ষড়যন্ত্রের পথ বেছে নিয়েছে। ইতালির এক ক্রীড়া সাংবাদিক সামাজিক যোগাযোগে লিখেছেন শুধু রিয়াল কেন এর সঙ্গে ইতালির কোনো ক্লাবও জড়িয়ে থাকতে পারে। ফুটবলে কিছু মাফিয়া শ্রেণির কর্মকর্তা আছেন যাদের কাজই হচ্ছে পছন্দ না হলে কোনো ফুটবলারকে বিপদে ফেলা। ইতিমধ্যে জুভেন্টাসও নড়েচড়ে বসেছে। তারাও যাচাই করছে রোনালদো সত্যিই ধর্ষণের সঙ্গে জড়িত না কোনো ষড়যন্ত্রের শিকার?
