প্রশ্ন : কোন ইনিংসটা বেশি গুরুত্বপূর্ণ, এশিয়া কাপের ফাইনালে সেঞ্চুরি নাকি এনসিএলের ডাবল সেঞ্চুরি?
লিটন কুমার দাস : অবশ্যই আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের সেঞ্চুরি বেশি গুরুত্বপূর্ণ। আপনারাও ভালো জানেন, আমি অনেক দিন ধরেই ব্যাকফুটে ছিলাম। পারফর্ম করাটা আমার জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ ছিল। একই সঙ্গে আমার জীবনের প্রথম আন্তর্জাতিক সেঞ্চুরি, এটা আমার জন্য অনেক বড় ব্যাপার।প্রশ্ন : নিদাহাস ট্রফি, ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফর ও এশিয়া কাপের পর জিম্বাবুয়ে সিরিজে ধারাবাহিকতা ধরে রাখাই কি লক্ষ্য?
লিটন : হ্যাঁ, আমার মূল লক্ষ্য এটাই। আমার মনে হয় আমি যখন ঘরোয়া ক্রিকেটে খেলি, তখন ধারাবাহিক পারফরমেন্স দিয়ে থাকি। ওই জিনিসটাই ঘাটতি ছিল আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে। আমি চেষ্টা করছি, আন্তর্জাতিক ক্রিকেটেও ধারাবাহিকভাবে পারফর্ম করে যাওয়ার।
প্রশ্ন : ব্যাটিং পাওয়ার-প্লেতে সাফল্যের পেছনে রহস্য কি?
লিটন : আমার খেলার ধরনই এমন। রহস্য কি সেটা কিভাবে বলবো বুঝতে পারছি না। আমার ন্যাচারাল খেলার ধরনটাই এমন।
প্রশ্ন : এশিয়া কাপের আগে বলেছিলেন, বড় ইনিংস খেলে বড় প্লেয়াররা। এখন নিজেকে কিভাবে মূল্যায়ন করেন?
লিটন : এখনো বড় প্লেয়ার হইনি (হাসি)। কিন্তু আমি চেষ্টা করব, ধারাবাহিকতা বজায় রেখে নিয়মিত পারফর্ম করার।
প্রশ্ন : বার বার ব্যর্থতার পর এশিয়া কাপের ফাইনালে সেঞ্চুরি, এটা কি আত্মবিশ্বাস বাড়াচ্ছে?
লিটন : আমি বলবো না যে পূর্ণ আত্মবিশ্বাস আছে। তবে আগে থেকে একটু চাপ মুক্ত অবস্থায় আছি, এটা বলতে পারেন। আর নিজের প্রতি একটু আত্মবিশ্বাস এসেছে। যখন ভালো কিছু করে তখন নিজের ভিতর এই জিনিসটা আসে।
প্রশ্ন : এশিয়া কাপের ইনিংস কি ক্যারিয়ার বদলে দিল?
লিটন : আমার কাছে এতটা মনে হয় না। আমার কাছে মনে হয় প্রতিদিন প্রতিটা ম্যাচ অনেক গুরুত্বপূর্ণ। এটা সত্যি, একটি ম্যাচ অনেকের ক্যারিয়ারে অনেক প্রভাব ফেলতে পারে। কিন্তু আমাকে পরের ম্যাচে কিন্তু আবার শূন্য থেকেই শুরু করতে হবে। আমার চেষ্টা শূন্য থেকে বড় কিছু করা। ওটা নিয়ে এখন আশা করে বা চিন্তা করে কোনো লাভ নেই।
প্রশ্ন : এশিয়া কাপের পর বাংলাদেশে এসেই জাতীয় লিগে ডাবল সেঞ্চুরি...
লিটন : আমি ওইটাই বললাম, একজন ক্রিকেটার পারফর্ম করলে মাথা থেকে সেই জিনিসটা সরে যায়। ক্রিকেট তো সম্পূর্ণ মানসিকতার খেলা। মানুষ বলে, মন যত পরিষ্কার থাকবে তত ভালো খেলবেন। যেহেতু পারফর্ম করিনি, তখন মনে নিজের সামর্থ্যে একটু প্রশ্ন থাকেই। আর পারফর্ম করার পর মানসিকভাবে একটু চাপ মুক্ত হওয়া যায়। এই জন্য হয়তো ভালো হয়েছে।
প্রশ্ন : পূজার ছুটিতে ক্যাম্প করতে কেমন লাগছে?
লিটন : এক্সিলেন্ট, খুব ভালো (হাসি)। না, তেমন না। গত দুই বছর ধরে তো মাঠেই ছিলাম। এখন দেশে, দুই বছর দেশের বাইরে ছিলাম। এটা নিয়ে বলার কিছু নেই। পেশাদার প্লেয়ারদের একটু ছাড় দিতেই হবে।