শিরোনাম
মঙ্গলবার, ২৩ অক্টোবর, ২০১৮ ০০:০০ টা

পয়মন্ত ভেন্যুতে টাইগাররা

মুহাম্মদ সেলিম, চট্টগ্রাম

পয়মন্ত ভেন্যুতে টাইগাররা

এখনো পুরোপুরি সেরে উঠেনি আঙ্গুল। কবে মাঠে নামবেন, তারও কোনো নিশ্চয়তা নেই। পরিস্থিতি যখন এমন জটিল, তখন আরব আমিরাতে একটি টি-২০ টুর্নামেন্ট খেলার অনুমতি চেয়ে বিসিবি বরাবর আবেদন করেছেন বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান। বিশ্বসেরা অলরাউন্ডারের এমন আবেদনে বিস্মিত ক্রিকেটাঙ্গন। সাকিবের আবেদনের দিনে বাংলাদেশের ক্রিকেটপাড়া তোলপাড় আল জাজিরার রিপোর্টে। কাতারভিত্তিক টেলিভিশন চ্যানেলটি গতকাল ১৫টি ম্যাচকে পাতানোর সন্দেহের তালিকায় রেখে রিপোর্ট করেছে। তাতে রয়েছে ২০১১ সালের বিশ্বকাপে বাংলাদেশ-ইংল্যান্ড ম্যাচটিও। দুই দুটি আলোড়িত ঘটনার দিনে জিম্বাবুয়েকে হোয়াইটওয়াশের স্বপ্ন বুকে নিয়ে মাশরাফির নেতৃত্বে বাংলাদেশ ক্রিকেট দল চট্টগ্রামে। প্রতিপক্ষ জিম্বাবুয়েকে নিয়ে গতকাল সন্ধ্যায় বন্দরনগরীতে পা রেখেছে টাইগাররা। সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচ আগামীকাল।

বাংলাদেশের ক্রিকেট ও বন্দরনগরীর চট্টগ্রাম যেন একে অপরের পরিপূরক। দেশের ক্রিকেটের ‘পয়মন্ত’ ভেন্যুতে যখনই টাইগাররা এসেছে তখনই দু হাতে উজাড় করে দিয়েছে বার আউলিয়ার পুণ্য ভূমি চট্টগ্রাম। বন্দর নগরীর মাটিতে টাইগারদের অর্জনগুলোর কারণে দেশের ক্রিকেট সমৃদ্ধ হয়েছে বার বার। আরেকটা সিরিজ জয়ের লক্ষ্যে গতকাল বিকালে চট্টগ্রাম এসেছে মাশরাফি বাহিনী। আগামীকালে জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে দ্বিতীয় একদিনের ম্যাচ জিতলেই দেশের মাটিতে ২৩তম শিরোপা জিতবে বাংলাদেশ। একই সঙ্গে এটি হবে জিম্বাবুয়ের বিরুদ্ধে ১০ সিরিজ জয়।

এক সময় বাংলাদেশের অন্যতম কঠিন প্রতিপক্ষ ছিল জিম্বাবুয়ে। ২০০৪ সালের মার্চের আগে টানা ১০টি হারের লজ্জাজনক রেকর্ড রয়েছে জিম্বাবুয়ের বিরুদ্ধে। কিন্তু ২০০৪ সালে হারারে স্পোর্টস ক্লাব মাঠে আশরাফুলের সেই ইনিংসের কাছে প্রথমবারের মতো বাংলাদেশের কাছে হারের স্বাদ পায় জিম্বাবুয়ে। পরপর থেকে চিত্রনাট্যের ‘স্কিপ্ট’ পাল্টাতে থাকে। এক সময় জিম্বাবুয়ের বিরুদ্ধে হারের বৃত্তে ছিল বাংলাদেশ। সেই জিম্বাবুয়েই এখন উল্টো বাংলাদেশের বিরুদ্ধে হারের বৃত্তে ঘুরপাক খাচ্ছে। ২০১৪ সালের নভেম্বর থেকে শুরু হয়েছে জিম্বাবুয়ের বিরুদ্ধে বাংলাদেশের জয় রথ। এরপর জিম্বাবুয়ের বিরুদ্ধে প্রত্যেক ম্যাচেই জয়ের হাসি নিয়েই মাঠ থেকে ফিরেছে টাইগাররা। বাংলাদেশের বিরুদ্ধে সর্বশেষ ১১ টি একদিনের আন্তর্জাতিক ম্যাচে টানা হেরেছে জিম্বাবুয়ে। সর্বশেষ হারের স্বাদ গ্রহণ করে এ সিরিজের প্রথম ম্যাচে ঢাকায়। ইমরুলের ব্যাটের উপর ভর করে জিম্বাবুয়েকে এক প্রকার হেসে খেলেই হারিয়েছে মাশরাফিরা।

সেই ২০০১ সালে সবশেষ বাংলাদেশের মাটিতে কোনো ওয়ানডে সিরিজ জিতেছিল জিম্বাবুয়ে। এরপর থেকে দেশের মাটিতে তাদের বিপক্ষে টানা সাতটি সিরিজে জিতেছে বাংলাদেশ। যার শেষ দুটিতে হোয়াইটওয়াশ করেছে অতিথিদের। আগামীকাল চট্টগ্রামে জিতলে এটি হবে জিম্বাবুয়ের বিরুদ্ধে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে টানা অষ্টম সিরিজ জয়। সর্বোপরি দেশের ২৩তম সিরিজ জয়।

বাংলাদেশের প্রথম টেস্ট  জয়ের সুতিকাগার চট্টগ্রামের রেকর্ডই বলছে বাংলাদেশের হয়ে। চট্টগ্রাম জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত সর্বশেষ একদিনের ম্যাচে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে ম্যাচে দুঃখজনকভাবে ৪ উইকেটে হারলেও রেকর্ড বলছে টাইগারদের হয়ে। এ মাঠে অনুষ্ঠিত ১৭ ম্যাচের মধ্যে ১০টিই জিতেছে টাইগাররা। সর্বশেষ অনুষ্ঠিত ১০ ম্যাচের মধ্যে ৮টি জিতে টাইগাররা। এক সময় হারের মধ্যে থাকা টাইগাররা শক্তিশালী প্রতিপক্ষগুলোর বিরুদ্ধে জিতেছে এ ভেন্যুতেই। তখন ইংল্যান্ড, শ্রীলঙ্কা, দক্ষিণ আফ্রিকা, ওয়েস্ট ইন্ডিজের মতো দলগুলো হারের স্বাদ নিয়েছে  টাইগারদের কাছে।

জিম্বাবুয়ে-বাংলাদেশ সিরিজের দ্বিতীয় ও তৃতীয়  ম্যাচ দুটি আগামীকাল ২৪ অক্টোবর ও ২৬ অক্টোবর গড়াবে চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে। আজ টিকিট পাওয়া যাবে নগরীর এমএ আজিজ স্টেডিয়ামে। ম্যাচের দিন স্টেডিয়ামে টিকিট পাওয়া যাবে, যদি এমএ আজিজের বুথে কোনো টিকিট অবিক্রীত থাকে এমন হিসেবে। চট্টগ্রামের দুই ওয়ানডের টিকিট বিক্রি হবে ছয়টি ভিন্ন ক্যাটাগরিতে। সেগুলো হলো- গ্র্যান্ড স্ট্যান্ড, রুফ টপ হসপিটালিটি, ইন্টারন্যাশনাল স্ট্যান্ড, ক্লাব হাউজ, ওয়েস্টার্ন স্ট্যান্ড ও ইস্টার্ন স্ট্যান্ড। এই ছয় ক্যাটাগরির টিকিটের দাম যথাক্রমে ১০০০, ১০০০, ৫০০, ৩০০, ১৫০ ও ১০০ টাকা করে।

 

 

 

সর্বশেষ খবর