সোমবার, ৫ নভেম্বর, ২০১৮ ০০:০০ টা

ব্যাটসম্যানদের ব্যর্থতার দিনে উজ্জ্বল তাইজুল

ক্রীড়া প্রতিবেদক

ব্যাটসম্যানদের ব্যর্থতার দিনে উজ্জ্বল তাইজুল

খেলছেন না বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান। তার ব্যাটিংয়ের অভাব পূরণ করতে অভিষেক হয়েছে সিমিং অলরাউন্ডার আরিফুল হকের। স্পিনিং ক্যারিশমা পূরণ করতে অভিষেক হয়েছে নাজমুল ইসলাম অপুর। আরিফুল ব্যাট হাতে চেষ্টা করেছেন অভাব পূরণের। চাপ সামাল দিয়ে আলো ছড়াতে পারেননি নাজমুল ইসলাম অপু। দুই অভিষিক্তর দিনে পুরোপুরি ব্যর্থ ছিলেন ব্যাটসম্যানরা। ইমরুল, লিটন, মুশফিক, মাহমুদুল্লাহদের আসা যাওয়ার দিনে স্বপ্রতিভায় উজ্জ্বল তাইজুল ইসলাম। বাংলাদেশকে টেস্টে টিকিয়ে রাখার নায়ক বাঁ হাতি স্পিনার তাইজুল। সফরকারী জিম্বাবুয়ে ২৮২ রানে বেঁধে ফেলতে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়ে তুলে নিয়েছেন ৬ উইকেট। যা তার ২০ টেস্ট ক্যারিয়ারে চতুর্থবার। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষেই দ্বিতীয়বার। বাঁ হাতি স্পিনারের বাঁ হাতের ঘূর্ণিতে ২১ রানে হারিয়েছে ৫ উইকেট। চারটিই তাইজুলের শিকার।

চার বছর আগে ওয়েস্ট ইন্ডিজের কিংসটাউনে অভিষেক। ক্যারিবীয়দের বিপক্ষে অভিষেক ইনিংসেই আলো ছড়ান বাঁ হাতি স্পিনার ৫ উইকেট নিয়ে। বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার সাকিব নিয়মিত খেললেও নিজেকে আলাদাভাবে মেলে ধরেন তাইজুল। বিশেষ করে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ওই বছরেই বাজিমাত করেন ৩ টেস্ট সিরিজে ১৭ উইকেট নিয়ে। যার একটি বাংলাদেশের টেস্ট ক্রিকেট ইতিহাসের সেরা বোলিং পারফরম্যান্স। ৩৯ রানে নিয়েছিলেন ৮ উইকেট। মিরপুরের ওই টেস্টের প্রথম ইনিংসে অবশ্য ৬ উইকেট নিয়েছিলেন সাকিব। বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার খেলছেন নিয়মিত। তার সঙ্গী হিসেবে খেলছেন তাইজুলও। কিন্তু পারফরম্যান্স করতে যেয়ে আড়ালে ঢাকা পড়েননি কখনো। বরং উজ্জ্বল ছিলেন সব সময়। সিলেটের অভিষেক টেস্টে বাংলাদেশের বোলিং বিভাগের সবচেয়ে অভিজ্ঞ ও সিনিয়র বোলার ছিলেন তাইজুলই। সাকিব, ‘কাটার মাস্টার’ মুস্তাফিজ নেই। সিলেটের অভিষেক টেস্টে জয় নিয়ে স্মরণীয় করে রাখতে টিম ম্যানেজমেন্ট একাদশ সাজায় এক বিশেষজ্ঞ পেসার দিয়ে। ঠাঁই পান তিন স্পিনার। তাইজুলের সঙ্গী বাঁ হাতি স্পিনার নাজমুল অপু ও অফ স্পিনার মেহেদী হাসান মিরাজ। ম্যানেজমেন্টের সিদ্ধান্ত যে ভুল ছিল না, সেটার প্রমাণ দেন স্পিনাররা। প্রতিপক্ষ জিম্বাবুয়ের ১০ উইকেটের ৯০ শতাংশ, অর্থাৎ ৯ উইকেটই স্পিনারদের শিকার।

ফর্মের তুঙ্গে রয়েছেন তাইজুল। ঘরের মাটিতে সর্বশেষ খেলা টেস্ট ম্যাচগুলোতে পারফরম্যান্স ছিল আলোকিত। জানুয়ারিতে ঘরের মাঠে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে দুই টেস্টের তিন ইনিংসে তার শিকার ছিল ১২ উইকেট। তিন ইনিংসের প্রতিটিতে নিয়েছেন ৪টি করে উইকেট। সেই ধারাবাহিকতা ধরে রেখে আলো ছড়িয়েছেন সিলেটে। ২০০০ সালে বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামের অভিষেক টেস্টের প্রথম ইনিংসে ৬ উইকেট নিয়েছিলেন বাংলাদেশের প্রথম টেস্ট অধিনায়ক নাইমুর রহমান দুর্জয়। এবার প্রথম অধিনায়কের পাশে নাম লেখান ২০ টেস্ট ক্যারিয়ারে ৭৫ উইকেট নেওয়া তাইজুল। উইকেট শিকারে তিনি এখন বাংলাদেশের চার নম্বর বোলার। তার চেয়ে উপরে সাকিব (১৯৬), মোহাম্মদ রফিক (১০০) ও মাশরাফি বিন মর্তুজা (৭৮)।

সর্বশেষ খবর