মঙ্গলবার, ৬ নভেম্বর, ২০১৮ ০০:০০ টা

আবাহনীকে হারিয়ে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন শেখ রাসেল

ক্রীড়া প্রতিবেদক

আবাহনীকে হারিয়ে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন শেখ রাসেল

শেখ রাসেলের জয়ের নায়ক আজিজভ আলিসার —বাংলাদেশ প্রতিদিন

কোয়ার্টার ফাইনাল আগেই নিশ্চিত করেছে শেখ রাসেল ও ফেডারেশন কাপের বর্তমান চ্যাম্পিয়ন ঢাকা আবাহনী। গতকাল সন্ধ্যার ম্যাচটির হারজিত তাই কোনো বাধা হয়ে দাঁড়ায়নি দুই দলের সেরা আটে ওঠার। সমস্যা না করলেও ম্যাচটি ছিল মর্যাদার, আধিপত্য বিস্তারের এবং সর্বোপরি গ্রুপ শীর্ষ হওয়ার। সেই লড়াইয়ে শেষ হাসি হেসেছে ২০১২ সালের ফেডারেশন কাপ চ্যাম্পিয়ন শেখ রাসেল। উজবেকিস্তানের স্ট্রাইকার আজিজভ আলিসারের গোলে আবাহনীকে হারিয়ে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়েছে শেখ রাসেল ক্রীড়া চক্র। দিনের প্রথম ম্যাচে ব্রাদার্স ইউনিয়নকে ৫-০ গোলে বিধ্বস্ত করে গ্রুপ শীর্ষ হয়ে সেরা আটে উঠেছে সাইফ স্পোর্টিং। টানা দুই ম্যাচ হেরে বিদায় নিয়েছে ব্রাদার্স এবং গ্রুপ থেকে সেরা আটে জায়গা নেওয়া আরেক দল টিম বিজেএমসি।

প্রথম ম্যাচে মুক্তিযোদ্ধা সংসদকে ২-০ গোলে হারিয়ে গ্রুপ থেকে সবার আগে সেরা আট নিশ্চিত করে সাইফুল বারী টিটুর দল। আবাহনীও হারিয়েছিল ফেডারেশন কাপের তিনবারের চ্যাম্পিয়ন মুক্তিযোদ্ধাকে। দুই দলই একটি করে জয় নিয়ে গতকাল সন্ধ্যায় ফ্লাড লাইটের আলোয় মুখোমুখি হয় বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামের সবুজ গালিচায়। মর্যাদার লড়াইয়ে দুই দলই একাদশ সাজায় বিদেশি দিয়ে। শেখ রাসেল খেলায় উজবেকিস্তানের আজিজভ আলিসার, নাইজেরিয়ার এনডুকাকু উদোয়া অ্যালিসন ও ব্রাজিলের অ্যালেক্স রাফায়েল দ্য কস্টাকে। ঘরোয়া ফুটবলের সবচেয়ে সফল আবাহনীর একাদশে খেলেছেন নাইজেরিয়ার সানডে চিজোবা, আফগানিস্তানের মাশিহ সাইঘানি ও কারভেন্স ফ্লিস বেলফোর্ট। দুই দলের ছয় বিদেশির সঙ্গে স্থানীয় তারকা ফুটবলাররাও খেলেছেন নির্ভার ফুটবল। কোয়ার্টার ফাইনাল নিশ্চিত হওয়ায় দুই দলই খেলেছে আক্রমণাত্মক ফুটবল। আক্রমণ-পাল্টা আক্রমণের ম্যাচের একমাত্র গোলটি হয় প্রথমার্ধে। ৩০ মিনিটে কাউন্টার অ্যাটাক থেকে গোলে এগিয়ে যায় শেখ রাসেল। মাঝ মাঠ থেকে বল পেয়ে আবাহনীর ডি বক্সে ঢুকে পড়েন মেজবাহ উদ্দীন। এরপর বাঁ পায়ে ক্রস করেন মেজবাহ। বল ভেসে আসতেই লাফিয়ে হেড করেন শেখ রাসেলের আজিজভ আলিসার। বলটি আবাহনীর গোলরক্ষক শহীদুল আলমকে বোকা বানিয়ে দ্বিতীয় বার দিয়ে জালে ঠাঁই নেয় (১-০)। ম্যাচের এটিই একমাত্র গোল। পিছিয়ে পড়ে গোল শোধের জন্য মরিয়া হয়ে ওঠে আবাহনী। আক্রমণের পর আক্রমণ চালিয়ে যায়। কিন্তু গোল শোধ করতে পারেনি। ৪৪ মিনিটে অবশ্য নিশ্চিত গোলের সুযোগ পেয়েও নাবিব নেওয়াজ জীবন সমতা আনতে ব্যর্থ হন। প্রথমার্ধ শেষ হয় ১-০ ব্যবধানে। দ্বিতীয়ার্ধে আবাহনী মরিয়া হয়ে ওঠে। বিপরীতে শেখ রাসেল রক্ষণভাগ দৃঢ় করে ফেলে। ফলে আবাহনীর আক্রমণগুলো গতিশীল হলেও ফিনিশ হচ্ছিল না। ৫৪ মিনিটে বেলফোর্টেও পাসে শট নেন সানডে চিজোবা। কিন্তু চিজোবার শট শেখ রাসেলের গোলরক্ষক আশরাফুল ইসলাম রানাকে পরাস্ত করতে পারেনি। ৫৭ মিনিটে নিশ্চিত গোল থেকে শেখ রাসেলকে বাঁচিয়ে দেয় সাইড পোষ্ট। এভাবেই শেষ হয় ম্যাচ।

সর্বশেষ খবর