বুধবার, ৭ নভেম্বর, ২০১৮ ০০:০০ টা

অলিম্পিক মিশনেও কিশোরীরা

ক্রীড়া প্রতিবেদক

অলিম্পিক মিশনেও কিশোরীরা

বিশ্বকাপ ফুটবল খেলার স্বপ্নটাই এখন স্বপ্নে পরিণত হয়েছে বাংলাদেশের কাছে। অলিম্পিক গেমসেও একই দশা। এশিয়া কাপেও বাছাই পর্বে পাড়ি দিতে পারছে না। এশিয়ান গেমসে যদি ফুটবলে বাছাই পর্ব থাকত তাহলে বাংলাদেশের না খেলারই সম্ভাবনা বেশি ছিল। আসলে পুরুষ ফুটবলে এসব কথা অপ্রাসঙ্গিকই বলা যায়। জাতীয় দল যেখানে সামান্য সাফ চ্যাম্পিয়নশিপে গত চার আসর ধরে সেমিফাইনালেই খেলতে পারছে না সেখানে বিশ্বকাপ ও অলিম্পিক নিয়ে কথা বলাটা কী হাস্যকর নয়।

প্রসঙ্গটা এসেছে মূলত বাংলাদেশের নারী ফুটবলকে নিয়েই। ২০২০ সালে জাপানের টোকিওতে অলিম্পিক গেমস অনুষ্ঠিত হবে। সেই মিশনকে সামনে রেখে সাবিনা খাতুনরা ৮ নভেম্বর মাঠে নামছে। অলিম্পিকে পুরুষ ফুটবল ২৩ বয়সের খেলোয়াড়রা অংশ নিয়ে থাকে। এক সময় জাতীয় দল খেললেও ১৯৯২ সাল থেকে ফিফা নতুন নিয়ম করে দিয়েছে। মেয়েদের ইভেন্টে অবশ্য এখনো দেশগুলোর জাতীয় দলই অংশ নিয়ে থাকে।

বাংলাদেশ অলিম্পিক বাছাই পর্বে খেলতে মিয়ানমারে গেছে। তবে ব্যতিক্রমী হচ্ছে জাতীয় দল নয়। ঘুরে ফিরে সেই কিশোরীরাই খেলবে। ফুটবলে মেয়েদের অগ্রগতি হলে এখন পর্যন্ত জাতীয় দল গঠন করতে পারেনি। সিনিয়র বা জুনিয়র টুর্নামেন্ট বলি না কেন বয়সভিত্তিক দলই অংশ নিচ্ছে। গ্রুপে প্রতিপক্ষ স্বাগতিক মিয়ানমার, ভারত ও নেপাল। তিনটি দলই শক্তিশালী। যতই সাফল্য পাক না কেন বাংলাদেশের মেয়েরা অলিম্পিক খেলতে পারবে না। মিয়ানমারে বাছাই পর্ব চ্যাম্পিয়ন হলেও আরও চারধাপ পেরুতে হবে।

বাছাই পর্বে যদি চ্যাম্পিয়ন হয় তা হবে বড় প্রাপ্তি। মিয়ানমার বিপক্ষে খেলার অভিজ্ঞতা নেই বলে তাদের শক্তি সম্পর্কে সাবিনাদের জানা নেই। মিয়ানমারকেই ফেবারিট ধরা হচ্ছে। ভারত ও নেপালের শক্তিও কম নয়। দীর্ঘ সময় ধরে টানা ম্যাচ খেলে যাচ্ছে মেয়েরা। একটা দল বলেই সব কিছুতেই তারা। কিন্তু নারী ফুটবলে এই অবস্থা আর কতদিন?

সর্বশেষ খবর