বৃহস্পতিবার, ৮ নভেম্বর, ২০১৮ ০০:০০ টা
অলিম্পিক বাছাই পর্ব

সাবিনাদের সামনে অচেনা মিয়ানমার

ক্রীড়া প্রতিবেদক

সাবিনাদের সামনে অচেনা মিয়ানমার

মিয়ানমারে বাংলাদেশের নারী দল —বাফুফে

আবারও মাঠে নামছে বাংলাদেশ নারী ফুটবল দল। মিশন এবার অলিম্পিক। ২০২০ সালে জাপানের টোকিওতে অলিম্পিক গেমস অনুষ্ঠিত হবে। এখন থেকেই শুরু হয়ে গেছে মহিলা ফুটবলে বাছাই পর্ব। পুরুষ দলে অনূর্ধ্ব ২৩-এর মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকলেও মহিলা আবার জাতীয় দল অংশ নিয়ে থাকে। বাংলাদেশে তো এখনো মেয়েদের জাতীয় দল গঠন হয়নি। তাই ঘুরে ফিরে কিশোরীরা সব টুর্নামেন্টে অংশ নিচ্ছে। অলিম্পিক বাছাইপর্বে ২/৩ জন ছাড়া বয়সভিত্তিক মেয়েদেরই প্রাধান্য।

মিশন অলিম্পিক। তবে টোকিওতে বাংলাদেশের মেয়েরা খেলার সুযোগ পাবে না এটা শতভাগ নিশ্চিত। সেই সামর্থ্য বা যোগ্যতা মেয়েদের নেই। পুরুষদের কথাতো বাদই দিলাম। ফুটবলে মেয়েরা যতটুকু এগিয়েছে তা বয়সভিত্তিক সাফ টুর্নামেন্ট ঘিরেই। এএফসি ১৪ বা ১৬ বয়সী বাছাইপর্বেও জ্বলে উঠছে। এরপর আর কুলিয়ে উঠতে পারছে না। অলিম্পিকে নারী ফুটবলে এশিয়া থেকে শক্তিশালী দলগুলোই সুযোগ পাবে। বাংলাদেশ কেন দক্ষিণ এশিয়ার কোনো দেশেরই সম্ভাবনা নেই। চোখ থাকবে মিয়ানমারে বাছাইপর্বে মেয়েরা কতটা জ্বলে উঠবেন। মিয়ানমারে বাংলাদেশ আজই মাঠে নামছে। প্রতিপক্ষ স্বাগতিকরা। ১১ নভেম্বর ভারত ও ১৩ নভেম্বর নেপালের বিপক্ষে গ্রুপের শেষ ম্যাচ খেলবেন সাবিনা খাতুনরা। ভারত ও নেপাল চেনা প্রতিপক্ষ হলেও মিয়ানমার বাংলাদেশের মেয়েদের কাছে অচেনাই বলা যায়। কাগজে-কলমে এই টুর্নামেন্টে ফেবারিট মিয়ানমার। তাদেরকেই প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী ভাবছে বাংলাদেশ। অচেনা প্রতিপক্ষ তাই সাবিনারা কতটুকু সুবিধা করতে পারবেন সেটাই দেখার বিষয়। মেয়েরা টুর্নামেন্টে আছে বলেই অনুশীলন নিয়ে কথা তোলাটা অপ্রাসঙ্গিক। ঢাকা ছাড়ার আগে কোচ গোলাম রব্বানী ছোটন বলে যান, আমরা অলিম্পিক খেলার স্বপ্ন দেখাতে পারি না। লক্ষ্য বাছাইপর্বে ভালো খেলা উপহার দেওয়া। মিয়ানমারকে তিনি আলাদা চোখে দেখছেন না। সব প্রতিপক্ষই আমাদের কাছে সমান। চেষ্টা করব প্রতিটি ম্যাচ জেতার। নারী ফুটবলে বাংলাদেশের সফল তারকা সাবিনা খাতুন। দেশ ছাড়িয়ে মালদ্বীপ ও ভারতীয় ঘরোয়া আসরে তিনি মাঠ কাঁপিয়েছেন। টুর্নামেন্টে তিনিই দেশকে নেতৃত্ব দেবেন। মাঠে নামার আগে সকালে মেয়েরা হাল্কা অনুশীলনও করেছেন। সাবিনা বলেন, যে কোনো টুর্নামেন্টে শুরুটাই গুরুত্বপূর্ণ। মিয়ানমার শক্তিশালী প্রতিপক্ষ এনিয়ে সংশয় নেই। তবে আমরা চাইব নিজেদের সেরাটা দিতে। কি করব বলা মুশকিল। তবে এতটুকু বলব হতাশ করব না দেশবাসীকে। সাফ বয়সভিত্তিক টুর্নামেন্টে ভারত ও নেপালের বিপক্ষে বাংলাদেশের রেজাল্ট সুখকর। তাই চেষ্টা থাকবে মিয়ানমারের কাছে হারলেও দুটি ম্যাচ জিততে। যদি বাছাইপর্বে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হতে পারে তা হবে গৌরবের। বাছাইপর্ব সেরা হলেও অলিম্পিকের স্বপ্ন পূরণ হবে না। আরও চারধাপ লড়াই করতে হবে এশিয়ান সেরাদের বিপক্ষে। অসম্ভব বলেই চোখ থাকবে শুধু মিয়ানমারের বাছাইপর্বে।

সর্বশেষ খবর