বুধবার, ১৪ নভেম্বর, ২০১৮ ০০:০০ টা

আলী নেওয়াজের পর কলিনড্রেস

ঢাকার মাঠে দ্রুততম হ্যাটট্রিক

ক্রীড়া প্রতিবেদক

আলী নেওয়াজের পর কলিনড্রেস

বসুন্ধরা কিংসের বিশ্বকাপ খেলা ফুটবলার ড্যানিয়েল কলিনড্রেস বিরল এক রেকর্ড গড়েছেন। ফেডারেশন কাপ কোয়ার্টার ফাইনালে টিম বিজেএমসির বিপক্ষে ১৫ মিনিটের মধ্যেই হ্যাটট্রিক করেছেন তিনি। স্বাধীনতার পর ঢাকার মাঠে এটিই দ্রুততম হ্যাটট্রিকের রেকর্ড। ১৯৭৬ সালে ঢাকা প্রথম বিভাগ লিগে মোহামেডানের অধিনায়ক হাফিজ উদ্দিন আহমেদ শান্তিনগরের বিপক্ষে ২১ মিনিটের মধ্যে হ্যাটট্রিক পূরণ করেন। ওই সময় নিয়ম ছিল টানা তিন গোলে হ্যাটট্রিক। অর্থাৎ ৪২ বছর পর তার দ্রুততম হ্যাটট্রিকের রেকর্ডটি ভেঙে ফেললেন কলিনড্রেস। কাজী সালাউদ্দিন আবার স্বাধীনতার পর ঢাকার মাঠে দ্রুততম ডাবল হ্যাটট্রিকের মালিক। ৪৯ মিনিটের মধ্যেই ১৯৭৩ সালে দিলকুশার বিপক্ষে ডাবল হ্যাটট্রিক করেন তিনি। অবশ্য স্বাধীনতার পর প্রথম ডাবল হ্যাটট্রিকের কৃতিত্ব হাফিজ উদ্দিন আহমেদের। ১৯৭৩ সালে ফায়ার সার্ভিসের বিপক্ষে তিনি ডাবল হ্যাটট্রিক করেন। প্রশ্ন হচ্ছে ঘরোয়া ফুটবল ইতিহাসে কলিনড্রেসই কি দ্রুততম হ্যাটট্রিকটি করলেন? না এর চেয়েও কম সময়ের মধ্যে ঢাকার মাঠে দ্রুততম হ্যাটট্রিক করার রেকর্ড রয়েছে। ১৯৬৯ সালে ঢাকা প্রথম বিভাগ লিগে মোহামেডানে খেলতে আসেন তৎকালীন পশ্চিম পাকিস্তানের ফুটবলার আলী নেওয়াজ। অভিষেক ম্যাচেই তিনি করেন করেন ডবল হ্যাটট্রিক। সেদিনকার ম্যাচের স্মৃতিচারণ করে প্রতাপ শংকর হাজরা বললেন, ‘আমি নিশ্চিত ওটাই ঢাকার মাঠে দ্রুততম হ্যাটট্রিক।’ এরপর তথ্য নিশ্চিত করতে সময় নিলেন। নিজেই ফোন করে জানালেন, ‘হ্যাঁ সেই ম্যাচে আজাদ স্পোর্টিংয়ের বিপক্ষে আলী নেওয়াজ ১১ মিনিটের মধ্যেই হ্যাটট্রিক পূরণ করেছিল। ডাবল হ্যাটট্রিক করে ৪৭ মিনিটের মধ্যে। অর্থাৎ হ্যাটট্রিক বা ডাবল হ্যাটট্রিকে অল্প সময়ের কৃতিত্ব আলী নেওয়াজেরই। ষাট দশকে ভিক্টোরিয়ার মাকরানী ফুটবলার ২২ মিনিটে হ্যাটট্রিক করেছিলেন রেলওয়ের বিপক্ষে।

বসুন্ধরা কিংসের কলিনড্রেসই ঢাকার মাঠে দ্রুততম হ্যাটট্রিক করার দ্বিতীয় রের্কডধারী ফুটবলার। সালাম মুর্শেদী ১৯৭৯ সালে লিগে ব্রাদার্স ইউনিয়নের বিপক্ষে ২৫ মিনিটের মধ্যে হ্যাটট্রিক করেন। সালাম তখন খেলতেন বিজেএমসিতে। ১৯৮১ সালে ফেডারেশন কাপ সেমিফাইনালে রহমতগঞ্জের বিপক্ষে সালাম হ্যাটট্রিক করেন ৩২ মিনিটে। ১৯৭৯ সালে লিগে ধানমন্ডির বিপক্ষে বাদল রায় হ্যাটট্রিক করেন ৩২ মিনিটে। ২০০৮ পেশাদার লিগে মোহামেডানের বুকালো হ্যাটট্রিক করেন ৩৬ মিনিটের মধ্যে। সেবার তিনি ডাবল হ্যাটট্রিকও করেছিলেন। দুর্ভাগ্য এনায়েত হোসেন ও প্রতাপ শংকর হাজরার। ১৯৭৯ সালে মোহামেডানের পক্ষে লিগে ওয়ান্ডারার্সের বিপক্ষে ১২ মিনিটের মধ্যেই হ্যাটট্রিক পূরণ করেন এনায়েত। বৃষ্টি নামায় ৩০ মিনিটের ম্যাচ পরিত্যক্ত ঘোষণা করেন রেফারি মুনীর হোসেন। ১৯৭২ সালে প্রতাপ আজদের বিপক্ষে শেষ পাঁচ মিনিটে হ্যাটট্রিক করেন। তার দেওয়া টানা তিনটি গোলই হয় সরসরি কর্নার থেকে। ওই বছর লিগ মাঝ পথে পণ্ড হয়ে যায়। তাই এনায়েত ও প্রতাপের রেকর্ডটি ইতিহাসে পাতায় ঠাঁই পায়নি।

সর্বশেষ খবর