শনিবার, ১৭ নভেম্বর, ২০১৮ ০০:০০ টা

রুনির কান্না ভেজা বিদায়

ক্রীড়া ডেস্ক

রুনির কান্না ভেজা বিদায়

লন্ডনের ওয়েম্বলি স্টেডিয়ামে খেলা চলছে ইংল্যান্ড বনাম যুক্তরাষ্ট্রের। ম্যাচের ৫৮ মিনিটে লিনগার্ডের বদলি হিসেবে মাঠে নামেন ইংল্যান্ডের সর্বোচ্চ গোলদাতা ওয়েইন রুনি (৫৩ গোল)। সঙ্গে সঙ্গেই ওয়েম্বলিতে ‘রুনি, রুনি’ গর্জন ওঠে। বিদায়ী তারকাকে অভিবাদন জানাতে থাকেন ইংলিশ সমর্থকরা। ম্যাচের মধ্যেই মাঠে ছুটে আসে ভক্ত। জড়িয়ে ধরে রুনিকে। ম্যাচ শুরুর আগেই ইংল্যান্ড ও যুক্তরাষ্ট্রের ফুটবলাররা ‘গার্ড অব অনার’ দেন ইংলিশ তারকাকে।

ক্যারিয়ারের শেষ আন্তর্জাতিক ম্যাচে গোল করতে পারেননি রুনি। তবে রুনি গোল না পেলেও সতীর্থরা দারুণ এক জয় উপহার দিয়েছেন তাকে। ৩-০ গোলে যুক্তরাষ্ট্রকে হারিয়েছে ইংল্যান্ড। দলের পক্ষে একটি করে গোল করেছেন লিনগার্ড (২৫), আলেক্সান্ডার আর্নল্ড (২৭) এবং উইলসন (৭৭)। বিদায়ী ম্যাচে ওয়েইন রুনিই ছিলেন অধিনায়ক। শেষবারের মতো তাকে অধিনায়কত্ব করার সুযোগ করে দেন কোচ সাউথগেট। ম্যাচ শেষে ওয়েইন রুনি বলেন, ‘আমার মতে, ইংল্যান্ড এখন খুব যোগ্য একজন কোচের অধীনে আছে। যেভাবে তিনি কোচিং করাচ্ছেন তা সত্যিই অসাধারণ। এই তরুণ দলটার ভবিষ্যৎ অনেক ভালো বলেই আমার মনে হয়।’ এই দলটাই একদিন ইংল্যান্ডে বিশ্বকাপ ট্রফি ফিরিয়ে আনবে বলে মনে করেন রুনি। আর নিজের বিদায়ী ম্যাচ নিয়ে তিনি বলেন, ‘এটা আমার মনে থাকবে দীর্ঘ সময়। এই বিষয়টা নিয়ে (ফেয়ারওয়েল ম্যাচ) অনেক বিতর্ক হয়েছে। তবে আমার কাছে মনে হয় ইংল্যান্ডের হয়ে কেউ কিছু অর্জন করলে তাকে এভাবেই বিদায় জানানো উচিত।’ ম্যাচটা শুরুর আগে রুনিকে সোনার থ্রি লায়ন ব্যাজ উপহার দেন বর্তমান অধিনায়ক হ্যারি কেইন। রুনির অনুরোধেই কেইনের হাত দিয়ে উপহারটা তুলে দেয় ইংল্যান্ড। এর কারণ হিসেবে রুনি বলেন, ‘আমিই অনুরোধ করেছিলাম হ্যারি কেইনকে। কারণ, আমার মনে হয় একদিন গোলের রেকর্ডটা কেইনই ভেঙে দেবে।’

ওয়েইন রুনি ২০০৩ সালের ফেব্রুয়ারিতে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে অভিষিক্ত হন ইংল্যান্ডের জার্সিতে। এরপর থেকে নিয়মিত ছিলেন তিনি দলে। ২০১৫ সালে তিনি ববি চার্লটনকে (৪৯) ছাড়িয়ে ইংল্যান্ডের সর্বোচ্চ গোলদাতা হন। সর্বশেষ ২০১৬ সালের নভেম্বরে স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে ইংল্যান্ডের জার্সি গায়ে মাঠে নেমেছিলেন তিনি। ২০১৭ সালেই আন্তর্জাতিক ফুটবলকে বিদায় জানান এই ইংলিশ গ্রেট। তবে চলতি মাসের শুরুর দিকে ইংল্যান্ডের জার্সি গায়ে ক্যারিয়ারের শেষ ম্যাচ খেলার ব্যাপারে সম্মত হন রুনি। যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে এই প্রীতি ম্যাচটার নামই হয়ে গিয়েছিল ‘দ্য ওয়েইন রুনি ফাউন্ডেশন ইন্টারন্যাশনাল’।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর