রবিবার, ১৮ নভেম্বর, ২০১৮ ০০:০০ টা

সুবিধাবঞ্চিতদের ক্রিকেট উৎসব

ক্রীড়া প্রতিবেদক

সুবিধাবঞ্চিতদের ক্রিকেট উৎসব

সুবিধাবঞ্চিত কিশোর-কিশোরীদের স্মরণীয় একদিন। মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় স্টেডিয়ামে দেশের খ্যাতনামা ক্রিকেটার হাবিবুল বাশারের সঙ্গে ফটোসেশনে অংশ নেয় তারা —বাংলাদেশ প্রতিদিন

সুবিধাবঞ্চিত শিশু, কিশোর-কিশোরীদের সঙ্গে ক্রিকেট খেললেন জাতীয় দলের সাবেক ও বর্তমান (দলের বাইরে থাকা) তারকা ক্রিকেটাররা। গতকাল ‘হোম অব ক্রিকেট’ মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে ১০ ওভারের ম্যাচে অংশ নিয়েছিলেন জাতীয় ক্রিকেট দলের নির্বাচক ও সাবেক অধিনায়ক হাবিবুল বাশার, জাতীয় দলের সাবেক তারকা হান্নান সরকার।

বর্তমানে জাতীয় দলের বাইরে থাকা গতি তারকা তাসকিন আহমেদও খেলেছেন এই ম্যাচে। অংশ নিয়েছেন জাতীয় নারী ক্রিকেট দলের সদস্য সুরাইয়া। মাঠে খেলেছেন কয়েকজন, আর গ্যালারিতে বসে খেলা দেখেছেন কয়েক হাজার শিশু কিশোর।

আগামী পরশু ২০ নভেম্বর ‘বিশ্ব শিশু দিবস’কে সামনে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের সহযোগিতায় এবং ইউনিসেফ বাংলাদেশ এই ক্রিকেট উৎসবের আয়োজন করে।

এই ক্রিকেট উৎসব সম্পর্কে ইউনিসেফ বাংলাদেশের প্রতিনিধি এডুয়ার্ড বেগবেদার বলেন, ‘এই ধরনের পেশাদার ও সফল ক্রিকেটাদের সঙ্গে খেলার যে সাহস এই শিশুরা দেখিয়েছে তা পরিষ্কারভাবে এই দেশকে সব শিশুর জন্য উপযোগী করে গড়ে তুলতে ভবিষ্যতের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করা এবং দেশকে নেতৃত দেওয়ার ক্ষেত্রে তাদের মধ্যে থাকা সম্ভাবনারই প্রমাণ।’

বিসিবির এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, বিশ্ব শিশু দিবসে পুরো বিশ্ব শিশুদের অধিকার ও প্রয়োজনগুলোকে সামনে আনবে, সিদ্ধান্ত গ্রহণে সক্রিয় অংশগ্রহণকারী হিসেবে শিশু ও তরুণ জনগোষ্ঠীর কথা গুরুত্বের সঙ্গে তুলে ধরবে এবং শিশুদের সহায়তায়, বিশেষ করে সবচেয়ে অসহায় ও সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের সহায়তায় কর্মরত ব্যক্তি, করপোরেট প্রতিষ্ঠান এবং সরকারের সংখ্যা বাড়াতে সহায়তা করবে।

এই উদ্যোগের অংশ হিসেবে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) সহযোগিতায় ইউনিসেফ বাংলাদেশ একটি বন্ধুত্বপূর্ণ ক্রিকেট ম্যাচের আয়োজন করে, যেখানে জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামের গ্যালারিতে কয়েক হাজার শিশু দর্শকের উল্লাসের মধ্যে ইউনিসেফের সহযোগী বেসরকারি সংস্থা (এনজিও) ব্র্যাক, অপরাজেয় বাংলা ও সুরভীর সুবিধাবঞ্চিত শিশু ও কিশোর-কিশোরীরা রোমাঞ্চকর এই ক্রিকেট প্রতিযোগিতায় অংশ নেয়।

‘বিশ্ব শিশু দিবস’ হচ্ছে ‘শিশুদের জন্য এবং শিশুদের দ্বারা’ ইউনিসেফের বার্ষিক বৈশ্বিক কার্যক্রমের দিন। এ বছর পুরো বিশ্ব একত্রিত হবে এমন একটি পৃথিবী গড়ে তোলার জন্য যেখনে প্রতিটি শিশু স্কুলে যাবে, ক্ষতির হাত থেকে নিরাপদ থাকবে এবং তাদের সম্ভাবনার বিকাশ ঘটাতে পারবে।

সর্বশেষ খবর