শিরোনাম
মঙ্গলবার, ২০ নভেম্বর, ২০১৮ ০০:০০ টা

সানডের হ্যাটট্রিকে ফাইনালে আবাহনী

ক্রীড়া প্রতিবেদক

সানডের হ্যাটট্রিকে ফাইনালে আবাহনী

ঘরোয়া ফুটবলের পরিচিত মুখ সানডে চিজোবা। দুর্দান্ত স্কিল, গতি ও ফিনিশিংয়ের জন্য প্রতিপক্ষের রক্ষণব্যুহের ত্রাস ২৯ বছর বয়স্ক গাম্বিয়ান এই স্টাইকার। বক্সের মাথায়, কিংবা যে কোনো অ্যাঙ্গেল থেকে গোল করার উস্তাদ সানডে। মুক্তিযোদ্ধা, শেখ জামাল ও আবাহনীর হয়ে খেলা সানডে পেশাদার লিগের গত মৌসুমের সেরা গোলদাতা। গত মৌসুমের সেই ধারাবাহিকতা ধরে রেখেছেন এবারও। শুধু কি তাই, আবাহনীর ১০ নম্বর জার্সি গায়ে প্রতিপক্ষের রক্ষণভাগকে ভেঙেচুরে দুর্দান্ত সব গোলও করছেন। গতকাল হ্যাটট্রিক করেছেন ফেডারেশন কাপের প্রথম সেমিফাইনালে। বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে তার হ্যাটট্রিকে আবাহনী ৪-২ গোলে তিনবারের চ্যাম্পিয়ন শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাবকে হারিয়ে টানা তৃতীয়বারের মতো ফাইনালে উঠল। সব মিলিয়ে ধানমন্ডি পাড়ার দলটি ফাইনাল খেলবে ১৮ বারের মতো। আকাশী-হলুদ শিবির ২০১৬ ও ২০১৭ সালের আবার ফেডারেশন কাপ চ্যাম্পিয়ন। ফাইনালে উঠায় এখন শিরোপার হাতছানি দিচ্ছে ঘরোয়া ফুটবলের সবচেয়ে সফল দলটিকে। আজ দ্বিতীয় সেমি ফাইনালে মুখোমুখি হবে ঘরোয়া ফুটবলের আলোচিত দল বসুন্ধরা কিংস ও শেখ রাসেল ক্রীড়া চক্র।

প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ ম্যাচটির ৬ গোলের সবগুলোই হয়েছে দ্বিতীয়ার্ধে। অথচ প্রথমার্ধে আবাহনীর গোলরক্ষক নিশ্চিত গোল বাঁচিয়েছে দুই দুটি। ৩৪ মিনিটে ছোট বক্সে থেকে শেখ জামালের আর্জেন্টাইন স্ট্রাইকার লুইসিয়ানো এমানুয়েল পেরেজের শট ঠেকিয়ে দেন ফাস্ট বারে। ৩৯ মিনিটে সলোমন কিংয়ের ফ্রি কিকে শওকত রাসেলের হেড গোলবারে ঢোকার মুখে ডান প্রান্তে লাফিয়ে রক্ষা করেন সোহেল। প্রথমার্ধে উল্লেখ করার মতো আক্রমণ করতে পারেনি আবাহনী। তবে বলের নিয়ন্ত্রণে ছিল ফেডারেশন কাপের বর্তমান চ্যাম্পিয়নদের।

দ্বিতীয়ার্ধে দুই দলই ফাইনালে খেলার জন্য একাদশে পরিবর্তন আনে। দুই দলই আক্রমণাত্মক ফুটবল খেলতে থাকে। ৫২ মিনিটে আবাহনীর ফরোয়ার্ড কারভেন্স ফিলস বেলফোর্টের দূরপাল্লার শট সাইডবারের বাইরে দিয়ে যায়। তিন মিনিট পর ৫৫ মিনিটে শেখ জামালের গাম্বিয়ান স্ট্রাইকার সাইনি বোজাং মিস করেন গোল। পরের মিনিটেই এগিয়ে যায় ১০ বারের চ্যাম্পিয়নরা। ৫৬ মিনিটে বাঁ প্রান্ত থেকে রুবেল মিয়ার ফ্রি কিক ডি বক্সে পড়ার পর রক্ষণভাগের ফুটবলাররা বিপদমুক্ত করতে পারেননি। ফাঁকায় দাঁড়ানো আফগান ফুটবলার মাসিহ সাইঘানি গোল করে এগিয়ে নেন আবাহনীকে (১-০)। আট মিনিটে পর গোল সংখ্যা দ্বিগুণ হয় পেনাল্টিতে। ৬৪ মিনিটে ডি বক্সে সানডে চিজোবাকে ফেলে দেন শেখ জামালের শ্যামল মিয়া। রেফারি পেনাল্টি নির্দেশ দেন। ঠাণ্ডা মাথায় ব্যবধান ২-০ করেন সানডে। দুই গোলে এগিয়ে কিছুটা গা ছাড়া দেয় আবাহনী। সেই সুযোগকে কাজে লাগায় শেখ জামাল। ৭৯ মিনিটে ব্যবধান ১-২ করেন বদলি খেলোয়াড় দিদারুল আলম। গোল উৎসব শেষ করার আগেই ফের গোল খেয়ে বসে শেখ জামাল। ৮১ মিনিটে ওয়ালী ফয়সালের কর্নারে হেডে ব্যবধান ৩-১ করেন সানডে। তিন মিনিট পর ৮৪ মিনিটে নাটকীয়ভাবে ব্যবধান ২-৩ করেন দিদারুল। ৫ মিনিটে তিন গোলে ম্যাচে উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। ৮৬ মিনিটে হ্যাটট্রিক পূর্ণ করেন সানডে চিজোবা। ডি বক্সের মাথা থেকে ডান পায়ের আড়াআড়ি শটে ব্যবধান ৪-২ করেন। ওই গোলের পরই নিশ্চত হয়ে যায় দ্বিতীয়বারের হ্যাটট্রিক শিরোপা জয়ের দ্বারপ্রান্তে দাঁড়িয়েছে আবাহনী। এর আগে ১৯৯৭, ১৯৯৯ ও ২০০০ সালে আবাহনী টানা তিন শিরোপা জিতেছিল ফেডারেশন কাপের।

সর্বশেষ খবর