মঙ্গলবার, ১১ ডিসেম্বর, ২০১৮ ০০:০০ টা

তারকার সন্ধানে তারকারা

সোনালী অতীতের প্রশংসনীয় উদ্যোগ

ক্রীড়া প্রতিবেদক

তারকার সন্ধানে তারকারা

দেশে নতুন ফুটবলারের সন্ধান মিলছে না। অবস্থা এত ভয়াবহ যে জাতীয় দল গড়াটা মুশকিল হয়ে পড়েছে। তারকা শব্দটি বাংলাদেশের ফুটবল থেকে এখন বিলীন হতে চলেছে। অথচ এক সময়ে তারকার কমতি ছিল না। বাংলাদেশের ফুটবলে প্রথম সুপারস্টার কাজী সালাউদ্দিন, মনোয়ার হোসেন নান্নু, শামসুল আলম মঞ্জু, অমলেশ সেন, আশরাফ উদ্দিন আহমেদ চুন্নু, খোরশেদ বাবুল, কাজী আনোয়ার, গোলাম রব্বানী হেলাল, বাদল রায়, আবুল হোসেন, সালাম মুর্শেদী, আবদুল গাফ্ফার, হাসানুজ্জামান খান বাবলু, স্ট্রাইকার মহসিন, শেখ মো. আসলাম, গোলরক্ষক মহসিন, মোনেম মুন্না, রুম্মন ওয়ালি বিন সাব্বির, রুমি, ছাইদ হাসান কানান, সম্রাট হোসেন এমিলি সত্তর ও আশি দশকে কত তারকারই না দেখা মিলেছিল। মাঠে তাদের নৈপুণ্য দেখে দর্শকরা মুগ্ধ হতে যেত। ওই সময়ে ফুটবলেই ছিল জমজমাট অবস্থা। পরবর্তীতে জুয়েল রানা, মাসুদ রানা, হাসান আল মামুন, মামুন জোয়ার্দার, আলফাজ, বরুণ, নকিব, জাকির ও জয়রা তারকারখ্যাতি পান। এরপর গোলরক্ষক আমিনুল, বিপ্লব ভট্টচার্য, মামুনুল ও জাহিদ হোসেন এমিলিদের নৈপুণ্য চোখে পড়লেও এখন মানসম্পন্ন ফুটবলার নেই বললেই চলে। নতুন ফুটবলারের সন্ধান মিলছে না। তবু ফুটবলের অভিভাবক সংস্থা বাফুফের নীরবতা ভাঙছে না। বিষয়টি ক্রীড়ামোদীদের শঙ্কিত করে তুলে। নতুন দল বসুন্ধরা কিংসই এই ক্ষেত্রে প্রথম এগিয়ে আছে। ক্লাবের নিজ উদ্যোগে ১৭ বছর বয়সে সীমাবদ্ধ খেলোয়াড়দের নিয়ে ট্রেনিংয়ের ব্যবস্থা করে। বাছাইকৃত খেলোয়াড়দের নিয়ে করা হয় টুর্নামেন্টও। প্রশ্ন উঠেছিল দেশে এত খ্যাতনামা ফুটবলার থাকার পরও তারা কেন নীরব রয়েছে। শেষ পর্যন্ত নীরবতা ভেঙে সেসব তারকা ফুটবলাররাই তৃণমূল থেকে ফুটবলারের সন্ধানে নেমেছে। সাবেক ফুটবলারদের সংগঠন সোনালী অতীত নিয়েছে প্রশংসনীয় উদ্যোগ। শেখ মো. আসলামের উদ্যোগে সোনালী অতীত আয়োজন করেছিল বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের টুর্নামেন্টে। দুটি আয়োজন ব্যাপকভাবে সাড়া ফেলে।

শুধু টুর্নামেন্ট করে বসে নেই সাবেক তারকারা। অনূর্ধ্ব-১৭ বয়সে ছেলেদের নিয়ে প্রশিক্ষণের কর্মসূচি শুরু করেছে। প্রথম পর্যায়ে ১০০ জন নিয়ে অনুশীলনের যাত্রা। এরপর ৬০ জন। এখন চূড়ান্তভাবে ২৩ জনকে বাছাই করে একটি দলও গড়া হয়েছে। যার প্রশিক্ষণের দায়িত্বে থাকবেন সাবেক তিন ফুটবলার আবু ইউসুফ, মনি ও শামীম। ২০১৬ সালে গুলশান হলি আর্টিসানে সন্ত্রাসীদের হাতে নিহত কিশোর ফারাজের নামকরণে দলটির নাম ফারাজ আন্তঃবিশ্ববিদ্যালয় দল। আসলাম, বাবলু ও রফিকদের মতো সাবেক তিন নন্দিত ফুটবলার আশা প্রকাশ করেন সোনালী অতীত যে কর্মসূচি নিয়েছে তাতে এই দল থেকেই আগামীতে দেশের তারকা ফুটবলারের দেখা মিলবে। তারকারা নেমেছেন নতুন তারকার খোঁজে। যা সত্যিই প্রশংসনীয় উদ্যোগ। সোনালী অতীত ফুটবলে হারানো গৌরব ফেরাতে চায়। ফারাজ আন্তঃবিশ্ববিদ্যালয় ভারতে দুই টুর্নামেন্টে খেলতে যাচ্ছে জলপাইগুড়িতে মেয়র কাপ ও শিলিগুড়িতে খেলবে নাইন-এ সাইড ফুটবল।

 

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর