কুমিল্লার সিহান লন্ডন ক্রিকেটে সের প্লেয়ারের হ্যাটট্রিক করেছেন। ২০১৬, ২০১৭ এবং ২০১৮ টানা তিনবার লন্ডন ক্রিকেট লিগে সেরা খেলোয়াড় নির্বাচিত হন। ধারাবাহিকতা বজায় রেখে ২০১৮ মৌসুমে নিও ক্রিকেট ক্লাবের হয়ে প্লেয়ার অব দ্য ইয়ার অ্যাওয়ার্ড পান। হ্যারল্ড উড ক্রিকেট ক্লাবের হয়ে ব্যাটসম্যান অব দ্য ইয়ার হন। ২০১৬, ২০১৭ সালের লিগ সেরা উইকেট কিপার এবং বাম হাতি ব্যাটসম্যান মো. আমিনুল ইসলাম সিহান নিও ক্রিকেট ক্লাব এবং হ্যারল্ড উড ক্রিকেট ক্লাবের হয়ে ২০১৮ মৌসুমে ও সাফল্যের ধারাবাহিকতা বজায় রাখেন। এ মৌসুমে তিনি সর্বমোট ৩৩ ইনিংসে ১ হাজার ১৭৮ রান করেন। যার মধ্যে ছিল ২ টি শতক এবং ৭ টি অর্ধশতক। গ্লাভস হাতে করেন অসাধারণ উইকেট কিপিং। ২৫টি স্ট্যাম্পিং এবং ১৭টি ক্যাচ। ন্যাশনাল ক্রিকেট লিগে নিও ক্রিকেট ক্লাবের হয়ে ১৫ ইনিংসে  রান করেন ৬০১। যেখানে ছিল ১টি শতক এবং ৪ টি অর্ধশতক। হ্যারল্ড উড ক্রিকেট ক্লাবের হয়ে ১৮ ইনিংসে করেন ৫৭৭ রান। যেখানে ছিল ১টি শতক এবং ৩টি অর্ধশতক। পরবর্তীতে নিও ক্রিকেট ক্লাবের ম্যানেজমেন্ট কমিটিতে সোশ্যাল মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেসন সেক্রেটারি পদে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি এখনো এই পদে দায়িত্বরত। কুমিল্লা মহানগরীর উত্তর গাংচর এর বাসিন্দা ও কুমিল্লা সিডি প্যাথ অ্যান্ড হাসপাতালের প্রশাসনিক কর্মকর্তা মো. হাসান ও জোহরা বেগম এর ২য় পুত্র। মো. আমিনুল ইসলাম সিহান ২০১১ সালে উচ্চ শিক্ষার জন্য ইংল্যান্ড যান। তিনি ইংল্যান্ডে লেখাপড়ার পাশাপাশি ক্রিকেট খেলার প্রতিও মনোযোগী হন। উল্লেখ্য যে, মো. আমিনুল ইসলাম সিহান বাংলাদেশে অবস্থানকালে লেখাপড়ার পাশাপাশি ক্রিকেট খেলার প্রতি মনযোগ ছিল বেশি। তখনকার সময়ে তার বাবা ক্রিকেটপ্রেমিক মো. হাসান, তার ছেলের আগ্রহ দেখে কুমিল্লার কৃতী সন্তান বাংলাদেশ টেস্ট ক্রিকেট প্লেয়ার সাবেক ক্রিকেটার এনামুল হক মনির এর বড় ভাই, এমদাদুল হক ইমদু ভাইয়ের স্মরণাপন্ন ক্যাম্পে ভর্তি করিয়ে দেন। সিহান বাংলাদেশেও বিভিন্ন টিমে খেলে ভালো পারফরম্যান্স অর্জন করেছিলেন। তিনি চট্টগ্রাম ডিভিশনের হয়ে অনুর্ধ ১৩, ১৫, ১৭, ১৯ দলের নিয়মিত খেলোয়াড় ছিলেন।

 তার এ অর্জনে কুমিল্লার জেলা ক্রীড়া সংস্থা, সামাজিক, রাজনৈতিক, ডাক্তার, ব্যবসায়ী, বন্ধু মহল ও বিভিন্ন পেশাজীবীসহ কুমিল্লাবাসী গর্বিত। এ ব্যাপারে তার মা গৃহিণী জোহরা বেগম জানান-আমার ছেলে ছোটবেলা থেকেই ক্রিকেটপ্রেমী ছিল। উচ্চ ডিগ্রির জন্য তাকে ইংল্যান্ডে পাঠাই। সেখানে ইউনিভার্সিটি অফ সান্ডারল্যান্ড থেকে গ্রাজুয়েশন করে। তার সাফল্য অর্জনে এলাকাবাসী কুমিল্লাবাসীর কাছে আমরা দোয়া চাই। সে যেন আরও ভালো খেলোয়াড় হতে পারে।