বুধবার, ২ জানুয়ারি, ২০১৯ ০০:০০ টা

এবারও গ্রুপ পর্বে বাংলাদেশ

ক্রীড়া প্রতিবেদক

এবারও গ্রুপ পর্বে বাংলাদেশ

ক্রিকেট অভিজাত খেলা। টি-২০ বিশ্বকাপের ফরম্যাটেও আভিজাত্যের (পড়ুন বৈষম্য) ছোঁয়া! ২০২০ টি-২০ বিশ্বকাপে অংশ নেবে মোট ১৬ দল। আইসিসি টি-২০ র‌্যাঙ্কিংয়ের প্রথম ১০ দলের সঙ্গে খেলবে বাছাইপর্বের গন্ডি পার হয়ে আসা ছয় দল। র‌্যাঙ্কিংয়ের ১০ দলের মধ্যে প্রথম ৮ দলকে গ্রুপ পর্ব খেলতে হবে না। তারা সরাসরি খেলবে বিশ্বকাপের সুপার-১২ রাউন্ডে। আর বাছাই পর্বের ৬ দলের সঙ্গে র‌্যাঙ্কিংয়ের নবম ও দশম দল মিলে দুই গ্রুপে বিভক্ত হয়ে খেলবে গ্রুপ পর্ব।

বাংলাদেশ টি-২০ র‌্যাঙ্কিংয়ের ১০ নম্বরে থাকায় এবারও খেলতে হবে গ্রুপ পর্ব। বছরের প্রথম দিনে দুঃসংবাদ শুনতে হয়েছে ২০১৪ সালের বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন শ্রীলঙ্কাকেও। তারাও সরাসরি সুপার-১২ রাউন্ড খেলতে পারবে না। কারণ র‌্যাঙ্কিংয়ের নয় নম্বরে রয়েছে দলটি। সেরা আটে থাকার সুবাদে আফগানিস্তান এবার সরাসরি পরের রাউন্ডে খেলার সুযোগ পাচ্ছে। এছাড়া র‌্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষ সাতে থাকা পাকিস্তান, ভারত, ইংল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া, দক্ষিণ আফ্রিকা, নিউজিল্যান্ড ও ওয়েস্ট ইন্ডিজ।

২০২০ সালে (১৮ অক্টোবর থেকে ১৫ নভেম্বর) টি-২০ বিশ্বকাপ ক্রিকেট অনুষ্ঠিত হবে অস্ট্রেলিয়ায়। এই বিশ্বকাপের জন্য বাছাই পর্ব খেলে চূড়ান্ত পর্ব নিশ্চিত করেছে স্কটল্যান্ড, জিম্বাবুয়ে, নেদারল্যান্ডস, হংকং, ওমান ও আয়ারল্যান্ড। এই ছয় দলের সঙ্গে বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কা মিলে আট দল দুই গ্রুপে বিভক্ত হয়ে গ্রুপ পর্ব খেলবে। দুই গ্রুপের সেরা দুই দল সুপার-১২তে খেলার সুযোগ পাবে।

গতকাল এই খবরে হতাশা প্রকাশ করেছেন শ্রীলঙ্কার অধিনায়ক লাসিথ মালিঙ্গা। তিনি বলেছেন, ‘সরাসরি সুপার-১২তে খেলতে না পারাটা কিছুটা হতাশার। তবে আমি আত্মবিশ্বাসী বিশ্বকাপে আমরা ভালো করব। তবে এতে সুবিধাও আছে। আমরা গ্রুপ পর্বে বাড়তি কিছু ম্যাচ খেলার সুযোগ পাব।’ তবে হতাশ নন বাংলাদেশের অধিনায়ক সাকিব আল হাসান। তিনি বলেন, ‘আমরা আত্মবিশ্বাসী গ্রুপ পর্বে ভালো খেলে পরের রাউন্ডে ওঠার ব্যাপারে। আমি মনে করি, নিজেদের সেরাটা উজাড় দিয়ে খেলতে পারলে কঠিন হওয়ার কথা নয়। তাছাড়া আমরা চলতি বছরে বিশ্বচ্যাম্পিয়ন ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে তাদের মাটিতে টি-২০তে সিরিজ জিতেছি। টি-২০ বিশ্বকাপে ভালো করার সামর্থ্য আমাদের আছে।’

২০১৬ সালে ভারতে অনুষ্ঠিত টি-২০ বিশ্বকাপেও গ্রুপ পর্ব খেলতে হয়েছিল বাংলাদেশকে। হিমাচল প্রদেশের ধর্মশালায় অনুষ্ঠিত গ্রুপ পর্বে নেদাল্যান্ডস ও ওমানকে হারিয়ে পরের রাউন্ড নিশ্চিত করেছিল টাইগাররা। তবে গত আসরের চেয়ে এবার পরের রাউন্ডে যাওয়া অনেকটা সহজই হবে। কেননা গত আসরে গ্রুপ পর্ব থেকে নেওয়া হয়েছিল দুই দল। সেবার পরের রাউন্ড ছিল সুপার-১০। এবার দুই দল বেশি নেওয়া হচ্ছে। সে কারণে এবার গ্রুপ পর্ব থেকে সুপার-১২তে যাওয়ার সুযোগ পাবে চার দল।

ওয়ানডে ক্রিকেটে বাংলাদেশের যতটা দাপট ততটা নয় টি-২০তে। সে কারণে র‌্যাঙ্কিংয়ে সুবিধা করতে পারেনি টাইগাররা। তবে ধীরে ধীরে টি-২০তেও ভালো করছে বাংলাদেশ। চলতি বছরে ক্যারিবীয়দের বিরুদ্ধে তাদের হোমে সিরিজ জয়ই তার বড় প্রমাণ। তবে ঘরের মাঠে সিরিজে হেরে গেলেও এক ম্যাচে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে বড় জয় তুলে নিয়েছিল সাকিবরা। তাই ওয়ানডের মতো টি-২০তেও আত্মবিশ্বাস বাড়ছে।

তা ছাড়া সরাসরি সুপার-১২তে খেলার সুযোগ না পাওয়ায় হতাশার হওয়ার কিছু নেই।

বরং গ্রুপ পর্বে খেলাটা বাংলাদেশের জন্য শাপেবরও হতে পারে। কেন না বিশ্বকাপের আগে কন্ডিশনের সঙ্গে মানিয়ে নিতে বেশি সময় পাবে টাইগাররা। সুপার-১২তে লড়াইয়ের সম্মুখীন হওয়ার আগে ওয়ার্ম আপের (গ্রুপ পর্ব) সুযোগ পাচ্ছেন সাকিবরা।

সর্বশেষ খবর