বৃহস্পতিবার, ১০ জানুয়ারি, ২০১৯ ০০:০০ টা

মিরাজের হাফসেঞ্চুরিতে রাজশাহীর জয়

ক্রীড়া প্রতিবেদক

মিরাজের হাফসেঞ্চুরিতে রাজশাহীর জয়

হাফসেঞ্চুরির পর দর্শকদের অভিনন্দনের জবাব দিচ্ছেন মেহেদী হাসান মিরাজ -বাংলাদেশ প্রতিদিন

প্রথম ম্যাচে ব্যাটিং ব্যর্থতায় ঢাকা ডায়নামাইটসের কাছে বড় ব্যবধানে হেরেছিল রাজশাহী কিংস। সেই ধাক্কা সামলে নিতে অধিনায়ক মেহেদী হাসান মিরাজ নিজের ব্যাটিং অর্ডার পরিবর্তন করে উপরে নিয়ে আসেন। ওয়ান ডাউনে দারুণ ব্যাটিং করে দলকে উপহার দেন ৭ উইকেটের বড় জয়। বিপিএলের চলতি আসরে দ্বিতীয় ম্যাচে রাজশাহীর এটা প্রথম জয় এবং খুলনা টাইটান্সের এটা টানা তৃতীয় হার। সিদ্ধান্ত সঠিক প্রমাণিত করে চলতি আসরে বাংলাদেশের প্রথম ক্রিকেটার হিসেবে হাফসেঞ্চুরি করেছেন মেহেদী হাসান মিরাজ। মিরাজের ম্যাচে মুস্তাফিজুর রহমান দারুণ বোলিং করে টি-২০ ক্রিকেটের ১০০ উইকেটে ক্লাবে নাম লিখেছেন। বিপিএলের গত আসরের এলিমিনেটর পর্বে খেলেছিল মাহমুদুল্লাহ রিয়াদের খুলনা। এবারও শক্তিশালী দল গড়েছে। কিন্তু প্রথম তিন ম্যাচে ছায়া হয়েই খেলছে দলটি। মাহেলা জয়বর্ধনের কোচিংয়ে মেলে ধরতে পারছে না নিজেদের। প্রথম ম্যাচে গত আসরের চ্যাম্পিয়ন রংপুর রাইডার্সের বিপক্ষে সমানে সমান লড়েও হেরেছিল মাত্র ৫ রানে। দ্বিতীয় ম্যাচে ঢাকা ডায়নামাইটসের বিপক্ষে দাঁড়াতেই পারেনি। হেরে যায় ৮৩ রানের পর্বতসমান ব্যবধানে। গতকাল ফ্লাড লাইটের আলোয় তৃতীয় ম্যাচ খেলতে নামে রাজশাহীর বিপক্ষে। মেহেদী হাসান মিরাজের রাজশাহীর এটা দ্বিতীয় ম্যাচ। প্রথম ম্যাচে হেরেছিল দলটি। আগের দুই ম্যাচে ধাক্কা সামলে নিতে গতকাল নেমেছিলেন মাহমুদুল্লাহরা। কিন্তু ফের ব্যর্থ হয়েছেন দলটির ব্যাটসম্যানরা। ২০ ওভারের পুরোটা ব্যাটিং করে সংগ্রহ করেছে ৯ উইকেটে ১১৭ রান। যদিও দুই ওপেনার পল স্টার্লিং ও জুনায়েদ সিদ্দিকী ৪০ রানের ভীত দেন। কিন্তু পরবর্তী ব্যাটসম্যানরা সেই সুবিধাকে কাজে লাগিয়ে বড় স্কোর গড়তে ব্যর্থ হন। দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ২৩ রান করেন সাবেক টেস্ট ওপেনার জুনায়েদ। ২৩ রান করেন মাত্র ১৮ বলে চার চারে। আগের ম্যাচগুলোতেও রান করেছিলেন জুনায়েদ। রংপুরের বিপক্ষে ৩৩ ও ঢাকার বিপক্ষে ৩১ রান করেছিলেন বাঁ হাতি ওপেনার। স্টার্লিং প্রথম ম্যাচে ৬১ রান করলেও পরের দুই ম্যাচে ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে পারেননি। ঢাকার বিপক্ষে ১ রানের পর গতকাল করেন ১৬ রান। শেষ দিকে খুলনাকে শয়ের ঘর পেরোতে সাহায্য করেন ডেভিড মালান ১৬ রান করে। অধিনায়ক মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ ১১ রান করেন। আগের দুই ম্যাচে ৮ ও ২৪ রান করেছিলেন। রাজশাহীর সফল বোলার ছিলেন মুস্তাফিজুর রহমান। ৪ ওভারের স্পেলে ১৮ রানের খরচে নেন ২ উইকেট। অধিনায়ক মাহমুদুল্লাহকে লেগ বিফোরের ফাঁদে ফেলে টি-২০ ক্যারিয়ারের ১০০ উইকেটের ক্লাবে নাম লিখেন ‘কাটার মাস্টার’।

টি-২০ ক্রিকেটের বিবেচনায় ১১৮ রান, মামুলী টার্গেট। তবে মিরপুরের ধীরগতির এই রানই অনেক! গতকাল দ্বিতীয় ম্যাচের জয়ের খোঁজে খেলতে নেমে সিলেটের দুই ওপেনার মোহাম্মদ হাফিজ ও মুমিনুল হক বড় জুটি গড়তে ব্যর্থ হন। পাকিস্তানি ক্রিকেটার হাফিজ সাজঘরে ফিরেন দলীয় ১১ রানে। এরপর দ্বিতীয় উইকেটে মুমিনুলের সঙ্গে জুটি গড়েন অধিনায়ক মিরাজ। আগের ম্যাচে ৬-এ ব্যাট করা মিরাজ গতকাল তিনে ব্যাটিং করেন। মুমিনুলকে নিয়ে দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে যোগ করেন ৮৯ রান। মুমিনুল সাজঘরে ফিরেন ব্যক্তিগত ৪৪ রানে। ৭ বল হাতে রেখে জয় পাওয়া ম্যাচে মিরাজ আউট হন ৫১ রানে। ৪৫ বলের ইনিংসটিতে ছিল ৬ চার ও এক ছক্কা।

সংক্ষিপ্ত স্কোর

সিলেট : ১৬৮/৫ (২০ ওভার) চিটাগং : ১৬৩/৭ (২০ ওভার)

খুলনা : ১১৭/৯ (২০ ওভার) রাজশাহী : ১১৮/৩ (১৮.৫ ওভার)

সর্বশেষ খবর