বৃহস্পতিবার, ২৪ জানুয়ারি, ২০১৯ ০০:০০ টা

ছেঁড়া কার্পেটে জাতীয় অ্যাথলেটিক্স!

ক্রীড়া প্রতিবেদক

ছেঁড়া কার্পেটে জাতীয় অ্যাথলেটিক্স!

বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে অ্যাথলেটিক্স ট্র্যাকের বেহাল দশা -সংগৃহীত

বর্তমান প্রজন্মের কাছে বিষয়টি রূপকথার কাহিনীই মনে হবে। কিন্তু এক সময়ে ঘাসের মাঠে জাতীয় অ্যাথলেটিক্স দেখতে তৎকালীন ঢাকা স্টেডিয়ামে প্রচুর দর্শকের সমাগম ঘটত। যদিও বিনা টিকিটের ব্যবস্থা ছিল। এখনো তাই, দর্শক কি দেখা যায়? অবশ্য প্রশ্ন উঠতে পারে যেখানে ফুটবলেই গ্যালারি খাঁ খাঁ করছে। সেখানে অ্যাথলেটিক্সে দর্শক হবে কিভাবে?

যাক সেই সোনালি দিন ম্লান হয়ে গেলেও জাতীয় অ্যাথলেটিক্স যে মাঠে গড়াচ্ছে এটাই বড় প্রাপ্তি। আজ থেকে ৪২তম জাতীয় অ্যাথলেটিক্স ট্র্যাকে গড়াচ্ছে। স্বাধীনতার পর ১৯৭৩ সাল থেকেই জাতীয় অ্যাথলেটিক্স শুরু হয়েছে। ৪৫ বছরের ইতিহাসে ৪২টি আসর করা অবশ্যই কৃতিত্বের। সত্যি বলতে কি অন্য ফেডারেশন যা পারেনি তা করে দেখাচ্ছে অ্যাথলেটিক্স ফেডারেশন।

ঘাস ছেড়ে ট্রাকে অ্যাথলেটিক্স গড়িয়েছে অনেক আগেই। বনানী আর্মি, মিরপুর ছাড়িয়ে এখন দেশের বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে অ্যাথলেটদের শ্রেষ্ঠত্বের লড়াই হচ্ছে। বিকেএসপিতে অনুশীলনের জন্য ট্র্যাক তো আছেই, আশি দশকেই বনানী আর্মি স্টেডিয়ামে ট্র্যাক বসানো হয়। নব্বই দশকে বসানো হয় মিরপুর শেরেবাংলা জাতীয় স্টেডিয়ামে।  মিরপুরকে পুরোপুরি ক্রিকেটকে দেওয়ার পরই অ্যাথলেটিক্স ফিরে আসে পুরনো ঠিকানা বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে। ২০০৪ সালে এখানে অ্যাথলেটিক্সের ট্র্যাক বসানো হয়। চকচকে ট্র্যাক দেখে অ্যাথলেটরা সে কি খুশি। কিন্তু চকচক করলেই সোনা হয় না তার প্রমাণ মিলল অল্প দিনেই। মূল্য বেশি অথচ নিম্নমানের ট্র্যাক বসানোয় বিভিন্ন জায়গায় গর্ত সৃষ্টি হয়। পরে এটি সংস্কারও করা হয়।  কিন্তু সংস্কারের পরও ট্র্যাকের করুণ হাল। বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামের ট্র্যাকের অনেক জায়গায় ফাটল ধরেছে। ট্র্যাক দেখলে মনে হয় সবুজ ঘাসের ওপর যেন ছেঁড়া কার্পেট! উপায়ও নেই ফেডারেশনের। এমন অনুপযোগী ট্র্যাকেও দেশ সেরার আয়োজন করতে হচ্ছে। ঢাকার বাইরে প্রতিযোগিতা করার ট্র্যাক কোথায়। সুতরাং ছেঁড়া কার্পেটেই দৌড়াতে হবে অ্যাথলেটদের। এমন ট্র্যাকে ইনজুরির শঙ্কাও উড়িয়ে দেওয়া যায় না। যাক এমন অচলাবস্থায় ফেডারেশনের কর্মকা  থেমে যে নেই এটাই স্বস্তি। ৬৪টি জেলা ৮ বিভাগ, বিশ্ববিদ্যালয়, শিক্ষা বোর্ড, বিকেএসপি ও ফায়ার সার্ভিসের দলগুলোর মধ্যে ৫০০ পুরুষ ও ১৫০ জন নারী অ্যাথলেট প্রতিযোগিতায় অংশ নেবে। এর মধ্যে পুরুষদের ২২ ও নারীদের ১৪টি ইভেন্টে লড়াই হবে। ইলেকট্রনিক্স বোর্ড ও ফটো ফিনিশেরও ব্যবস্থা থাকবে। পদক ছাড়াও যারা নতুন রেকর্ড গড়বে তাদের দেওয়া হবে নগদ অর্থের পুরস্কার।

সর্বশেষ খবর