বুধবার, ৩০ জানুয়ারি, ২০১৯ ০০:০০ টা

ঘরের মাঠে একি পরিণতি ভাইকিংসের

কুমিল্লার সহজ জয়

ক্রীড়া প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম থেকে

ঘরের মাঠে একি পরিণতি ভাইকিংসের

আফ্রিদির মধ্যে এক ভিন্ন রকমের আনন্দ কাজ করছিল সম্ভবত। নাহলে তিনি বাচ্চাদের মতো মাঠেই খেলতে শুরু করেন! উল্টো দিকে মুখ করে বল ছুঁড়ে দিচ্ছেন পাশেই দাঁড়িয়ে থাকা তামিমের দিকে। কখনো ক্যাচ প্র্যাকটিস করাচ্ছেন। পুরো দলটার মধ্যে অন্যরকম বুনো উত্তেজনা এনে দিয়েছেন যেন তিনি। এর অবশ্য যথেষ্ট কারণ আছে। চিটাগং ভাইকিংসের ইনিংসে ধ্বস নামাতে বড় ভূমিকা রেখেছেন তিনি। চার ওভারে মাত্র ১০ রান দিয়ে শিকার করেছেন ক্যামেরন ডেলপোর্ট এবং সিকান্দার রাজার দুটি গুরুত্বপূর্ণ উইকেট। সবমিলিয়ে বিপিএল সিক্সে আফ্রিদির শিকার ১৫টি। কেবল আফ্রিদি নন, গতকাল ওয়াহাব রিয়াজ এবং সাইফুদ্দিনও দারুণ বোলিং করেছেন। দুজনেই ৪ ওভার করে ২৩ রান দিয়ে দুটি করে উইকেট নিয়েছেন। চিটাগং ভাইকিংসের ইনিংসে বলার মতো রান করেছেন কেবল মোসাদ্দেক। ২৫ বলে ৩টি ছক্কা ও ৩টি চারে ৪৩ রান করেন তিনি। এছাড়া মোহাম্মদ শেহজাদ ৩৩ ও জাদরান ১৩ রান করেন। বাকিরা কেউই দুই অঙ্কের রান করতে পারেননি। জবাব দিতে নেমে ১১৭ রানের গন্তব্যে পৌঁছে যায় কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স ১৬.৪ ওভার খেলে ৩ উইকেট হারিয়ে। তামিম করেন ৫১ বলে ৫৪ রান। শামসুর রহমান ৩৬ রান করেন মাত্র ২২ বলে। তবে ম্যাচসেরা হন শহিদ আফ্রিদিই। অবশ্য পুরস্কারটা নিতে গিয়ে আফ্রিদি ঘোষণা করেন, ‘আমি পুরস্কারটা তামিমকে দিয়ে দিলাম।’

চিটাগং ভাইকিংস ঘরের মাঠে খেলতে নেমে দর্শকদের আশা পূরণ করতে পারল না। ঢাকা ও সিলেটে ৭ ম্যাচের ৬টিতেই জিতেছিল তারা। কিন্তু ঘরোয়া দর্শকদের সামনে খেলতে নেমে কী যে হলো দলটার। টানা তিনটা ম্যাচ হেরে গেল। রংপুর রাইডার্স (৭২ রানে), রাজশাহী কিংস (৭ রানে) এবং কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের (৭ উইকেটে) কাছে হেরে বেশ খানিকটা নিচে নেমে যেতে হলো তাদের। অবশ্য শীর্ষ চারে থেকে ডাবল রাউন্ড রবিন পর্ব শেষ করার সুযোগ থাকছেই তাদের।

ঘরের মাঠে খেলতে নেমে বরাবরই চিটাগং ভাইকিংস ব্যর্থ হয়েছে। চট্টগ্রামে বিপিএলের ছয়টা আসরে এখনো পর্যন্ত ২১টা ম্যাচ খেলেছে চিটাগং। এর মধ্যে ১৪টাতেই হেরেছে। জয় মাত্র ৭টিতে। চলতি মৌসুমে তো একটা ম্যাচও জিততে পারেনি। তিনটা খেলে হেরেছে তিনটাতেই। আজ ঢাকার বিপক্ষে কী করে তাই এখন দেখার বিষয়। অবশ্য তামিম ইকবাল চিটাগংয়ের জার্সিতে খেলার সময় একবার বলেছিলেন, বিপিএলে আসলে ঘরের মাঠ বলতে কিছু নেই। এখানে সব মাঠই সবার কাছে চেনা। হোম ভেন্যূর সুবিধা এই কারণেই বিপিএলে কেউই খুব একটা নিতে পারে না। তামিমের বক্তব্যই হয়ত ঠিক! সিলেট সিক্সার্সও তো সিলেটের মাটিতে এবার চার ম্যাচের মাত্র একটিতে জিতেছে।

কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স টানা তিন জয়ে শীর্ষ চার প্রায় নিশ্চিত করে নিল। ৭ জয়ে তাদের সংগ্রহ ১৪ পয়েন্ট। কিন্তু তবুও থেমে থাকার নয় তারা। পরের দুই ম্যাচে মুখোমুখি হবে ঢাকা ডায়নামাইটস ও রংপুর রাইডার্সের।

সর্বশেষ খবর