মঙ্গলবার, ৫ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ ০০:০০ টা

নতুন দল ঢাকা সিটি এফসি

ক্রীড়া প্রতিবেদক

নতুন দল ঢাকা সিটি এফসি

রোকনুজ্জামান কাঞ্চন

১০ ফেব্রুয়ারি চ্যাম্পিয়নশিপ ফুটবল লিগের পর্দা উঠছে। নতুন লিগে নতুন দল হিসেবে অভিষেক হবে ঢাকা সিটি এফসি। পুরো নাম ঢাকা সিটি ফুটবল ক্লাব। বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের কাছে আবেদন করলে ক্লাবটির সবকিছু পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে পেশাদার ফুটবলের দ্বিতীয় স্তরের লিগ খেলার অনুমতি পায়। বসুন্ধরা কিংস গতবার চ্যাম্পিয়নশিপ লিগে অংশ নেয়। নতুন দল হিসেবে চ্যাম্পিয়ন হয়ে তারা বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ খেলছে। সেই ধরনের চমক দেখাতে পারবে কি ঢাকা সিটি এফসি?

ক্লাবটির সাধারণ সম্পাদক মো. শামসুদ্দোজা খান তুহিন জানান, বাফুফেকে আমরা ধন্যবাদ জানাই তারা আমাদের আবেদনে সাড়া দিয়ে চ্যাম্পিয়নশিপ লিগ খেলার অনুমতি দিয়েছে। সাবেক নৌ, সেনা ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা মিলে ক্লাবটি প্রতিষ্ঠিত করেছেন। একটা দল যখন কোনো আসরে অংশ নেয় তাদের একটা লক্ষ্য থাকে শিরোপা। আমরাও এই বাইরে নই। তবে বাস্তবতা হচ্ছে শুরুতে আমরা সেই মানের শক্তিশালী দল গড়তে পারিনি।

তুহিন বলেন, ‘আসলে আমরা সেই সময়টাও পায়নি। বাফুফের কাছ থেকে যখন অনুমতি পেলাম তখন অন্যরা ভালোভাবে ঘর গুছিয়ে নিয়েছে। তারপরও দেশের মাঠ কাঁপানো স্ট্রাইকার রোকনুজ্জামান কাঞ্চন ভাইসহ বেশ কজন তরুণ খেলোয়াড়কে নিয়েছি। আশা করি আমরা দর্শকদের ভালো কিছু দিতে পারব। এবার চ্যাম্পিয়ন রানার্স আপ না হলেও আগামীতে আমরা প্রস্তুত হয়ে মাঠে নামব। ঢাকা সিটি এফসির টার্গেট পেশাদার লিগে নাম লেখানো।

এক সময়ে নন্দিত স্ট্রাইকার কাঞ্চনই সম্ভবত লিগে নতুন দলকে নেতৃত্ব দেবেন। গতবার কাঞ্চনের অধিনায়কত্বে বসুন্ধরা কিংস চ্যাম্পিয়ন্স লিগে চ্যাম্পিয়ন হয়। এবারও কি তার জাদুর ছোঁয়ায় ঢাকা সিটি এফসি দর্শকদের চমক দেবেন। এ ব্যাপারে গতকাল কাঞ্চনের সঙ্গে কথা হলে তিনি বলেন, ‘প্রথমে আমি ধন্যবাদ জানাই বসুন্ধরা কিংসের সভাপতি শ্রদ্ধেয় ইমরুল হাসান ভাইকে। তিনিই আমাকে গতবার বসুন্ধরা কিংসে খেলার সুযোগ করে দেন। এবারও আমি প্রিমিয়ার লিগে কিংসের হয়ে নাম লেখাই। দলে তারকার ছড়াছড়ি। দেশি ও বিদেশি ফুটবলার নিয়ে শক্তিশালী দল গড়েছে। আমি দেখলাম এখানে সুযোগ পাওয়াটা কঠিন। অধিকাংশ সময় সাইড বেঞ্চে বসে থাকতে হবে। আমি ইমরুল ভাইকে ঢাকা সিটি এফসির কথা খুলে বলি। বললাম আপনি যদি অনুমতি দেন তাহলে দলটির হয়ে চ্যাম্পিয়ন লিগে খেলতে চাই। ফুটবল ও ফুটবলারকে তিনি কতটা ভালোবাসেন অল্প দিনেই বুঝে ফেলেছিলাম। আমার বিষয়টি তিনি উপলব্ধি করলেন। ফুটবল তো অনেক দিন ধরেই খেলছি। কম কষ্ট তো পাইনি। কিন্তু ইমরুল ভাইয়ের সহযোগিতার কথা ভুলব না। তিনি আমাকে না করেনি। ক্যারিয়ারের কথা চিন্তা করে ক্লিয়ারেন্স দিয়ে দিলেন। নতুন দলে এসেও সবার সহযোগিতা পাচ্ছি। আশা করি শিরোপা লড়াইয়ে আমরা থাকতে পারব। সময়ের কারণে হয়তো শক্তিশালী দল গড়া সম্ভব হয়নি। তারপর আমার বিশ্বাস মাঠে যোগ্যতার প্রমাণ দিয়ে দর্শকদের বড় কিছু উপহার দিতে পারব।’ জাতীয় দলের সাবেক ফুটবলার আবু নোমান নান্নু ঢাকা এফসির প্রশিক্ষকের দায়িত্বে আছেন।

 

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর