ছন্দ বা গতি কখনো এক থাকে না। বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে তা কমতে থাকে। এক সময় ফুটবলে মাঠ কাঁপিয়েছেন ব্রাজিলের পেলে। জাদুকরি নৈপুণ্য কারণে তিনি পেয়ে যান ফুটবল সম্রাটের খেতাব। পেলের পর দিয়াগো ম্যারাডোনার পালা। তার নেতৃত্বে ১৯৮৬ সালে আর্জেন্টিনা বিশ্বকাপ জয় করে। ১৯৯০ সালে হয় রানার্সআপ। দুনিয়া কাঁপিয়ে তিনিও হয়ে যান ফুটবলের রাজা। এত খ্যাতি ও জনপ্রিয়তা তবু বয়সের কারণে প্রিয় ফুটবলের মায়া কাটিয়ে ক্যারিয়ারের ইতি টানেন পেলে ও ম্যারাডোনা।
সেই বাস্তব সত্যটা এখন লিওনেল মেসিকেও হয়তোবা ভাবতে হচ্ছে। মেসির নেতৃত্বে আর্জেন্টিনা বিশ্বকাপ জেতেনি। এই আশা তার পূরণ কখনো হবে কি না তা সময়ই বলে দেবে। কারণ ২০২২ সালে মেসির বয়স বেড়ে দাঁড়াবে ৩৫। এই বয়সে অনেকে বিশ্বকাপ খেলেছেন। মেসিরও খেলার সম্ভাবনা উড়িয়ে দেওয়া যায় না। হয়তো আগামী বিশ্বকাপে তিনি নতুনভাবে জ্বলে উঠতে পারেন।
মেসি বিশ্বকাপ খেলবে কি খেলবে না তা সময় বলে দেবে। তবে বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে তার অবসরের কথাটা আলোচিত হচ্ছে। বিশেষ করে স্প্যানিশ জায়ান্ট বার্সেলোনার ম্যানেজমেন্টকে এখনই বিষয়টি নিয়ে ভাবতে হচ্ছে। আর্জেন্টাইন এ জাদুকর বার্সাকে কম দেননি। সব ট্রফিই উপহার দিয়েছে। এবারও লা লিগায় শিরোপা জয়ের সম্ভাবনা বেশি।সেই ৯ বছর বয়স থেকে বার্সায় মেসি। দুরারোগ্য গ্রোথ হরমোন নিয়ে ভর্তি হয়েছিলেন বার্সার ফুটবল একাডেমি লা মাসিয়ায়। সেখান থেকে চিকিৎসার সঙ্গে বেড়ে উঠতে থাকেন ফুটবলার হিসেবে। ২০০৪-২০০৫ মৌসুমে ফ্রাঙ্ক রাইকার্ডের হাত ধরে পথ চলা শুরু বার্সার সিনিয়র দলে। এরপর পথ চলা। পেছনে আর ফিরে তাকাতে হয়নি মেসিকে। লিওলেন মেসির কাছে বার্সা ঋণী। তবু বয়স বলে কথা। ৩০ পেরিয়ে মেসির বয়স এখন ৩১। বয়স বাড়ছে আর বার্সা কর্তৃপক্ষকে চিন্তা করতে হচ্ছে মেসির অবসরের পর তারা বিকল্প মেসিকে খুঁজে পাবে কিভাবে? এটাই বাস্তবতা একজন খেলোয়াড় তো সব সময় পারফরম্যান্স ধরে রাখতে পারবে না। একদিন ফুটবলকে বিদায় জানাতে হবেই। তাই বার্সা এখনই চিন্তায় পড়ে মেসি যখন থাকবে না তখন তাদের কি হবে?