বৃহস্পতিবার, ৭ মার্চ, ২০১৯ ০০:০০ টা

কোচ জেমি ডে কতটা স্বাধীন

ক্রীড়া প্রতিবেদক

কোচ জেমি ডে কতটা স্বাধীন

কোচ জেমি ডে

বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপের পর জাতীয় ফুটবল দল আন্তর্জাতিক ম্যাচে মুখোমুখি হচ্ছে। শনিবার কম্বোডিয়ার মাটিতে স্বাগতিক জাতীয় দলের বিপক্ষে লড়বেন জামাল ভূইয়ারা। ম্যাচে অংশ নিতে জাতীয় দল ইতিমধ্যেই কম্বোডিয়ায় পৌঁছে গেছে। বাংলাদেশের ইংলিশ কোচ জেমি ডে এই ম্যাচে অংশ নিতে চূড়ান্তভাবে ২৩ জনকে বাছাই করেছেন। অবশ্য প্রাথমিকভাবে প্রথমে ২৭ জনের নাম ঘোষণা করা হয়েছিল। সেখান থেকে বাদ পড়েছেন ঢাকা আবাহনীর মামুনুল ইসলাম, সোহেল রানা, আরামবাগের গোলরক্ষক মাজহারুল ইসলাম হিমেল ও আরিফুর রহমানকে। কোচ জেমি ডে ঢাকা ছাড়ার আগে মঙ্গলবার সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, পেশাদার লিগে খেলোয়াড়দের পারফরম্যান্স দেখে নিজেই চূড়ান্ত দল গড়েছেন। এখানে অন্য কারও পরামর্শে কাউকে দলে নেওয়া হয়নি। স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারায় তিনি খুশি। যাক কোচ নিজেই সবকিছু করেছেন কিনা তাতো অন্য কারও জানার কথা নয়। তবে দল গঠন নিয়ে বিতর্ক উঠেছে। বিশেষ করে আবাহনীর গোলরক্ষক শহিদুল আলম সোহেলের ঠাঁই পাওয়া নিয়েই মূল বিতর্ক।

বাংলাদেশের সব পজিশনেই মান সম্পন্ন খেলোয়াড়ের দীর্ঘদিন ধরেই দেখা মিলছে ন্ াবিশেষ করে ভালো মানের গোলরক্ষক নেই বললেই চলে। তারপর যে কজন দৃষ্টি কাড়ছেন তাদের মধ্যে অন্যতম ছিলেন সোহেল। সাম্প্রতিক সময়ে লক্ষ্য করলে দেখা যাবে জাতীয় দলে গোলরক্ষক হিসেবে সোহেল আস্থার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করতে পারছেন না। গত বছর ঘরের মাঠে নেপালের কাছে হেরেই বাংলাদেশ সাফ চ্যাম্পিয়নশিপে সেমিফাইনালে খেলতে পারেনি। ০-২ গোলে হেরে যায় স্বাগতিকরা। এই হারের পেছনে সোহেলকেই দায়ী করা হয়। বিশেষ করে প্রথম গোলটি তিনি যেভাবে হজম করেন তাতে দেশ জুড়ে বিতর্কের ঝড় বয়ে যায়। এর আগে নীলফামারীতে শ্রীলঙ্কার কাছে প্রীতি ম্যাচে বাংলাদেশের হারের জন্য গোলরক্ষক সোহেলকে দায়ী করা যায়।

তাহলে কম্বোডিয়ার বিপক্ষে সোহেলকে রাখা হলো কোন যুক্তিতে? পেশাদার লিগেও সোহেল যে আবাহনীর হয়ে নজর কাড়া পারফরম্যান্স প্রদর্শন করছেন তাও বলা যাবে না। সেই তুলনায় আরামবাগের হিমেলতো ভালোই খেলছেন। সোহেলকে রাখার পেছনে কি কোচই ভূমিকা রেখেছেন? না এর পেছনে নেপথ্যে কোনো কাহিনী আছে? এখানে কি বড় দলে খেলাটায়        মূল যোগ্যতা। পারফরম্যান্সের কোনো গুরুত্ব নেই। ২৭ জনের তালিকায় যখন মামুনুল ইসলামের ঠাঁই হলো তখনই বিতর্ক উঠে কোনো যোগ্যতায় তাকে ডাকা হলো? কেননা জেমি ডে আগেই ঘোষণা দিয়েছিলেন কম্বোডিয়া যাওয়ার আগে অনুশীলনের সুযোগ নেই। লিগের পারফরম্যান্স দেখেই খেলোয়াড় ডাকব। মামুনুল দেশের অন্যতম তারকা ফুটবলার এ নিয়ে সংশয় নেই। দীর্ঘদিন জাতীয় দলকে নেতৃত্বও দিয়েছেন। বাস্তবতা হচ্ছে মামুনুলের পারফরম্যান্সে সেই জৌলুস নেই। ঢাকা আবাহনীতে যোগ দিয়েও রিজার্ভ বেঞ্চে বসে থাকতে হচ্ছে। কোচ অবশ্য বলেছে অভিজ্ঞতা থাকার কারণে তাকে প্রথমে ডেকেছিলাম। শেষ পর্যন্ত চূড়ান্ত দলে নেওয়া যায়নি। এর পেছনেও নাকি রহস্য লুকিয়ে আছে। মামুনুলকে রাখার জন্য কোচ নাকি চাপ দেওয়া হয়েছিল। পরে কোচ বিরক্তি প্রকাশ করায় ঘটনাটা বেশিদূর এগোয়নি। মূল দলে স্ট্রাইকার পজিশনে এমন একজন ডাক পেয়েছেন যিনি লিগে দলের হয়ে নিয়মিত সুযোগ পাচ্ছেন না। কি যোগ্যতায় তাকে নিয়ে যাওয়া হলো। জেমি ডে বলেছেন তিনি স্বাধীনভাবে দল গড়েছেন। এখানে কেউ হস্তক্ষেপ করেনি। বাস্তবে তিনি কি পূর্ণ স্বাধীনতা পেয়েছেন এটাই প্রশ্ন হয়ে দেখা দিয়েছে।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর