ইংল্যান্ড-দক্ষিণ আফ্রিকা এবং বাংলাদেশ-স্কটল্যান্ড ম্যাচ দিয়ে টি-২০ নারী বিশ্বকাপ শুরু হবে ৩ অক্টোবর। ১০ দলের টুর্নামেন্টের আয়োজক বাংলাদেশ। মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় স্টেডিয়াম ও সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হবে এ আসর। ১৭ ও ১৮ অক্টোবর সেমিফাইনাল দুটি এবং ২০ অক্টোবর ফাইনাল অনুষ্ঠিত হবে মিরপুরে। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে দেশে যে ঘটনা প্রবাহের জন্ম নিয়েছিল, তাতে নারী টি-২০ বিশ্বকাপ আয়োজন নিয়ে শঙ্কার তৈরি হয়েছিল। আইসিসি বিকল্প ভেন্যু হিসেবে সংযুক্ত আরব আমিরাত (ইউএই), ভারত ও শ্রীলঙ্কার কথা ভেবে রেখেছে। অবশ্য অন্তর্বর্তী সরকারের যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া নারী টি-২০ বিশ্বকাপ নিয়ে আশার কথা শুনিয়েছেন। দেশের একটি জাতীয় দৈনিককে ক্রীড়া উপদেষ্টা বলেছেন, ‘আমি এখন থেকেই তৎপরতা শুরু করেছি। আশা করি, নারী টি-২০ বিশ্বকাপ বাংলাদেশের বাইরে যাবে না। দেশ গঠনের সময়ে যদি এ রকম কিছু ঘটে, তাহলে সেটা আমাদের ভাবমূর্তি খুবই ক্ষতিকর হবে।’ টি-২০ বিশ্বকাপের নিরাপত্তাব্যবস্থা ঠিক রাখতে সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান বরাবর চিঠি দিয়েছে বিসিবি।
১০ দলের টুর্নামেন্টে বাংলাদেশ খেলবে ‘বি’ গ্রুপে। গ্রুপের বাকি ৪ দল- ইংল্যান্ড, স্কটল্যান্ড, দক্ষিণ আফ্রিকা ও ওয়েস্ট ইন্ডিজ।
নিগার সুলতানা জ্যোতিদের খেলাগুলো যথাক্রমে ৩ অক্টোবর স্কটল্যান্ড, ৫ অক্টোবর ইংল্যান্ড, ৯ অক্টোবর ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও ১২ অক্টোবর দক্ষিণ আফ্রিকা ম্যাচ। ‘এ’ গ্রুপে খেলবে অস্ট্রেলিয়া, ভারত, নিউজিল্যান্ড, শ্রীলঙ্কা ও পাকিস্তান। টুর্নামেন্টটি নিয়ে শঙ্কার তৈরি হলেও পরিস্থিতি শান্ত হয়ে আসছে। গঠন হয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। ক্রীড়া উপদেষ্টা জানিয়েছেন, মূল ভরসা প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূস। তিনি বলেন, ‘আমাদের সৌভাগ্য, ইউনূস স্যার আছেন সঙ্গে। আমাদের যেসব বিনির্মাণ করা প্রয়োজন, সচিবের কাছে কিছু কিছু শুনেছি। সেসব সংস্কারের জন্য আমরা রবিবারই (আজ) বসব। আমি সচিবের সঙ্গে বসব। মন্ত্রণালয়ে বসে আমরা সিদ্ধান্ত নেব। আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন ব্যক্তিত্ব ড. মুহাম্মদ ইউনূস স্যার আমাদের নেতৃত্বে আছেন, যিনি নিজেও ক্রীড়াপ্রেমী। তিনি কয়দিন আগে অলিম্পিকের সঙ্গেও সম্পৃক্ত ছিলেন। তাঁর সঙ্গে কথা বলে আশা করি নারী টি-২০ বিশ্বকাপ আমাদের দেশেই ঠিকঠাক আয়োজন করতে পারব। এটা আয়োজনে সর্বোচ্চ চেষ্টা করব।’