কোনো খেলায় চ্যাম্পিয়ন হলে ঢাকা আবাহনী ক্লাবে আনন্দের ভাগিদার হতে দলের সাবেক খেলোয়াড়রা ছুটে আসেন। এমন কালচার দীর্ঘদিন ধরে চলছে। গতকালও আবাহনীর সাবেক খেলোয়াড়রাও ক্লাবে উপস্থিত হয়েছিলেন। কিন্তু এ আসার মধ্যে পার্থক্য অনেক। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পদত্যাগ করার পরই আবাহনী ক্লাবে ধ্বংসের লীলাখেলা চলে। ভাঙচুর তো ছিলই, সেই সঙ্গে লুটপাট হয়েছে। সোনা, বা টাকা-পয়সা না হয় এক শ্রেণির দুর্বৃত্তরা লুটপাট করে। তাদের অভ্যাস এটা। কিন্তু ট্রফি হরিলুট হবে একি ভাবা যায়। ১৯৭২ সালে ক্রীড়াঙ্গনে আবাহনীর আবির্ভাব। ৫২ বছরে ফুটবল, ক্রিকেট, হকি, টেবিল টেনিসসহ কত ট্রফি যে জিতেছে তার হিসাব নেই। চ্যাম্পিয়ন-রানার্সআপ মিলিয়ে তো ১০০ ছাড়িয়ে যাবেই। অথচ সব ট্রফি লুটপাট হয়ে গেছে। বিজয়ের কোনো স্মৃতি আর নেই। আবাহনী ফুটবল ও হকি দলের প্রথম অধিনায়ক আবদুস সাদেকও এসেছিলেন তাঁর প্রিয় ক্লাবে। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের দিনই বিকালে আবাহনী ক্লাবে ভাঙচুর চালানো হয়। সেই সঙ্গে নিয়ে যাওয়া হয় শোকসে সাজিয়ে রাখা সব ট্রফি। অস্থায়ী ক্লাবের ভবনের সামনে ক্লাব প্রতিষ্ঠাতা শেখ কামালের প্রতিকৃতিও ভাঙচুর হয়। আবাহনী তো খেলাধুলার ক্লাব, কোনো রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠান নয়। এরপরও হামলার শিকার কেন? তবে আমার মতো সবারই আহ্বান থাকবে শ্রেষ্ঠত্বের স্মারক ট্রফিগুলো যেন ক্লাবে ফিরিয়ে দেওয়া হয়।’
দুঃখ-ভারাক্রান্ত মনে এর চেয়ে বেশি কিছু বলার নেই।’