পনেরো সেশনের চেন্নাই টেস্ট শেষ হয়েছে পাঁচ সেশন আগে। ব্যাটিং ব্যর্থতায় সোয়া তিন দিনেই হেরেছে নাজমুল বাহিনী। আইসিসি টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের দুটি টেস্ট খেলতে ভারত সফর করছে বাংলাদেশ। চেন্নাইয়ে ২৮০ রানে হারের পর কানপুরে টেস্ট খেলার অপেক্ষায় টাইগাররা। ২৭ সেপ্টেম্বর মাঠে গড়াবে টেস্ট। ম্যাচটিকে সামনে রেখে স্কোয়াডে কোনো পরিবর্তন আনেনি স্বাগতিকরা। কিন্তু কানপুর টেস্ট শুরুর আগে টাইগার টিম ম্যানেজমেন্টকে বাড়তি ভাবনা চেপে ধরেছে। দলের সেরা ক্রিকেটার সাকিব আল হাসানকে নিয়ে নতুন করে ভাবতে হচ্ছে টিম ম্যানেজমেন্টকে। ৭০ টেস্টে ৪৬০০ রান ও ২৪২ উইকেট নেওয়া সাকিবকে এখন তার ছায়া হিসেবে খেলছেন। চিদাম্বরমে ব্যাটিংয়ে আত্মবিশ্বাসী সাকিব বোলিংয়ে ছিলেন ছন্দহীন। চীপকের লাল মাটির উইকেটে দেশসেরা ক্রিকেটার খেলেছেন যথাক্রমে ৩২ ও ২৫ রানের ইনিংস। রান পেলেও বোলিংয়ে ছিলেন উইকেটশূন্য। প্রথম ইনিংসে ৮ ওভারে ৫০ রান এবং দ্বিতীয় ইনিংসে ১৩ ওভারে রান দেন ৭৯। রাওয়ালপিন্ডি টেস্টের দ্বিতীয় ইনিংসেও ছিলেন উইকেটশূন্য। টানা তিন ইনিংসে উইকেটশূন্য! বিশ্বসেরা অলরাউন্ডারের এমন বাজে সময় কখনোই দেখা যায়নি। টেস্ট হারের পর সাকিবকে বাদ দেওয়ার প্রশ্নটি উঠে আসে আলোচনায়। টাইগার অধিনায়ক নাজমুল এ প্রসঙ্গে বলেন, ‘খুব সাহসী প্রশ্ন! অধিনায়ক হিসেবে আমি দেখি, শুধু সাকিব ভাই বলে বলছি না, আমি দেখি যে কে কতটুকু কষ্ট করছে। কামব্যাক করার জন্য যা যা দরকার, সে কাজগুলো করছে কি না।’
কয়েকদিন ধরে চোখের সমস্যায় ভুগছেন সাকিব। বোলিং আঙুলেও সমস্যা রয়েছে। এসব জেনেও ভারত সফরে সাকিবকে স্কোয়াডভুক্ত করে বিসিবি। চেন্নাইয়ে ব্যাটিং ভালো হলেও বোলিং ছিল নখদন্তহীন। চেন্নাইয়ে মিডিয়ার মুখোমুখিতে সাকিবের সর্বশেষ অবস্থা নিয়ে গতকাল কথা বলেন নির্বাচক প্যানেলের অন্যতম সদস্য হান্নান সরকার। তিনি বলেন, ‘সাকিবকে নিয়ে ম্যাচে যাওয়ার আগে আমাদের সবসময় চিন্তা করে নিতে হয়। পরের ম্যাচের আগে (কানপুর টেস্ট) আমাদের সেই চিন্তার সময় আছে। আমরা দেখব তার কী অবস্থা। আমরা জানি সাকিবের হাতের ব্যথা নিয়ে বেশ আলোচনা হচ্ছে। এটা কিন্তু ম্যাচের আগে ছিল না। অনেকেই অনেকভাবে ব্যাখ্যা করার চেষ্টা করছে। কিন্তু আমরা ম্যাচের আগে ফিজিওর ১০০ ভাগ ক্লিয়ারেন্স নিয়েই তাকে দলে রেখেছি। তখন ১০০ ভাগ ফিটই ছিল। পরের ম্যাচের আগে সময় আছে, আমরা তাকে নিয়ে চিন্তা করব।’