সাফ অনূর্ধ্ব-১৭ চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে আজ মুখোমুখি হচ্ছে বাংলাদেশ-ভারত। ভুটানের রাজধানী থিম্পুর চাংলিমিঠাং স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে ফাইনাল। সাফের অনূর্ধ্ব-১৭ ফরম্যাটের এই টুর্নামেন্টে ভারত ২০২২ সালে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে। অন্যদিকে প্রথমবারের মতো ফাইনাল খেলছে বাংলাদেশ। জাতীয় ফুটবল দল সফলতার মুখ না দেখলেও সাফের বয়সভিত্তিক টুর্নামেন্টগুলোতে বাংলাদেশ ২০১৫ সাল থেকে সাফল্য বয়ে আনছে। সাফ অনূর্ধ্ব-১৬ চ্যাম্পিয়নশিপে বাংলাদেশ ২০১৫ সালে ভারতকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার গৌরব অর্জন করে। এর পর ২০১৮ সালে সাফ অনূর্ধ্ব-১৫ চ্যাম্পিয়নশিপে পাকিস্তানকে হারিয়ে ট্রফি জয় করে বাংলাদেশ।
২০২৩ সালে অনূর্ধ্ব-১৬ চ্যাম্পিয়নশিপে ফাইনাল খেললেও ভারতের কাছে হেরে শিরোপাবঞ্চিত হয় তরুণ ফুটবলাররা। তবে কিছুদিন আগে নেপালে অনুষ্ঠিত অনূর্ধ্ব-২০ চ্যাম্পিয়নশিপে স্বাগতিক নেপালকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়ে দেশের ফুটবলে সাড়া জাগায় বাংলাদেশ। ফাইনালে ৪-১ ব্যবধানে জয় পেয়েছিল তারা। ২০২২ সালে এই টুর্নামেন্টে ফাইনাল খেলে ভারতের কাছে হেরে ট্রফি জিততে পারেনি বাংলাদেশ। এ ছাড়া সাফ অনূর্ধ্ব-১৮ চ্যাম্পিয়নশিপে ২০১৭ ও ২০১৯ সালে রানার্সআপ হয় লাল-সবুজের জার্সিধারীরা। ২০১৭ সালে নেপাল চ্যাম্পিয়ন হয়। ২০১৯ সালে ভারতের কাছে হেরে শিরোপা জিততে পারেনি বাংলাদেশ।
বয়সভিত্তিক টুর্নামেন্টগুলোর সাফল্যই ফুটবলে আনন্দ বয়ে আনে বাংলাদেশ। বিশেষ করে মেয়েদের ফুটবলে গত কয়েক বছরে বাংলাদেশ বেশ ভালো ফল করেছে। একের পর এক জয় করেছে সাফের বয়সভিত্তিক টুর্নামেন্ট। ২০২২ সালে সিনিয়র দলও জয় করে সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ। সেবার ফাইনালে স্বাগতিক নেপালকে ৩-১ গোলে পরাজিত করে বাংলাদেশের মেয়েরা। এবার কী অপেক্ষা করছে বাংলাদেশের সামনে!
অনূর্ধ্ব-১৭ দলের ফুটবলাররা এবার বেশ ভাগ্যবান। কোনো ম্যাচ না জিতেই ফাইনালে পৌঁছে গেছে বাংলাদেশ। এ গ্রুপে নিজেদের প্রথম ম্যাচে ভারতের বিপক্ষে ১-০ গোলে পরাজিত হয় তারা। এর পর মালদ্বীপের সঙ্গে ১-১ গোলে ড্র করে। ভারত মালদ্বীপকে ৩-০ গোলে পরাজিত করায় গোল ব্যবধানের সুযোগে সেমিফাইনাল নিশ্চিত করে বাংলাদেশ। এর পর শেষ চারে পাকিস্তানের বিপক্ষে খেলতে নেমে ২-০ ব্যবধানে পিছিয়ে পড়ে দলটা। তবে মানিকের দুই গোলে সমতায় ফিরে শেষ মুহূর্তে। টাইব্রেকারে ৮-৭ ব্যবধানে জিতে ফাইনালে পৌঁছে যায় বাংলাদেশ। এই ভাগ্য কী ফাইনালেও সঙ্গী হবে ফয়সালদের! ভারতের বিপক্ষে গ্রুপ পর্বে পরাজিত হয়েছে তারা। এবার ফাইনালে জিততে পারলে সেই পরাজয়ের একটা মোক্ষম প্রতিশোধও নেওয়া হবে বাংলাদেশের।