অবনমন হলেও ব্রাদার্স ইউনিয়ন এবারও পেশাদার লিগে খেলছে। শুধু খেলছে বললে ভুল হবে। আসরে দারুণ দলও গড়েছে তারা। বলা যায়, পেশাদার লিগ ইতিহাসে ব্রাদার্স এবারই সেরা দল গড়তে সমর্থ হয়েছে। এটা সম্ভব হয়েছে ম্যানেজমেন্টে বড় পরিবর্তন আসায়। নতুন সভাপতি হয়েছেন ইশরাক হোসেন। যার বাবা সাদেক হোসেন খোকা ছিলেন দেশের ক্রীড়াঙ্গনে সুপরিচিত মুখ। ব্রাদার্স ইউনিয়ন প্রতিষ্ঠা ও জনপ্রিয় করার পেছনে যার অবদান স্মরণীয় হয়ে থাকবে। নতুন কমিটি দায়িত্ব নেওয়ার পরই ঝিমিয়ে থাকা পরিবেশ থেকে বের হয়ে শক্তিশালী দল গড়তে সমর্থ হয়েছে ক্লাবটি। এ ক্ষেত্রে অবশ্য ব্রাদার্স সুযোগটা ভালোই কাজে লাগিয়েছে শেখ জামাল ধানমন্ডি ও শেখ রাসেল ক্রীড়াচক্র আচমকা না খেলায়। তাদের বেশ কয়েকজনকে দলে ভিড়িয়েছে গোপীবাগের দলটি।
জাতীয় দলের অধিনায়ক জামাল ভূঁইয়াকে কেউ গুরুত্ব না দিলেও ব্রাদার্স তাকে নিতে ভুল করেনি। গোলরক্ষক পজিশনে আছেন অভিজ্ঞ আশরাফুল ইসলাম রানা ও তরুণ পাপ্পু। রহমত মিয়া, সুশান্ত ত্রিপুরা, আলমগীর মোল্লা, ইমন মাহমুদ, সাজ্জাদ হোসেন ও সুফিল ঘরোয়া ফুটবলে পরিচিত মুখ। স্থানীয় ছাড়াও ব্রাদার্স এবার বাছাই করে বিদেশি ফুটবলাদের দলভুক্ত করেছে। জাপানের হিরোক মিসু, সেনেগালের মোহাম্মদ বিকারে, শেখ সিলে, গাম্বিয়ার মোস্তফা দ্রামোহ, জাকারিয়া দারবো ও ম্যাক্সির সিসের নাম রেজিস্ট্রেশন করেছে। মাঠে খেলতে পারবেন চারজন বিদেশি।
এক সময়ে ফেনী সকার ও শেখ জামালের প্রশিক্ষক ওমর সিসে এবার ব্রাদার্সের কোচ হয়েছেন। সবমিলিয়ে ব্রাদার্স যে দল তাতে চমক দেখানোর সামর্থ্য রয়েছে। সেরা দল গড়েছে বসুন্ধরা কিংস। এরপর মোহামেডান ও ব্রাদার্স অনেকটা এক মানের দল গড়েছে বলা যায়। প্রথম লেগে বিদেশি ছাড়াই আবাহনী মাঠে নামবে। তারপরও তাদের ছোট করে দেখার উপায় নেই।
লিগে কে কোন পজিশনে থাকবে তা বলা যায় না। তবে শিরোপা যদি চার দলের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকে তাহলে ব্রাদার্সের নাম আসবেই। ’৭০, ’৮০ ও ’৯০ দশকে চেনা ব্রাদার্সের দেখা মিলবে কি তা সময়ই বলে দেবে। পেশাদার লিগে ব্রাদার্সের সেরা প্রাপ্তি একবার তৃতীয় হওয়া। এবার উঠবে না নামবে তা শুধু সময়ই বলে দেবে।