ক্রীড়াঙ্গনে অদ্ভুত চরিত্রের লোকের সংখ্যা একেবারে কম নয়। এমন কজন আছেন যারা একাধিকবার বাফুফের নির্বাচন করেও জিততে পারেননি। অন্যদিকে তরফদার রুহুল আমিনের চিত্র ভিন্ন। টানা দুবার সভাপতি পদে নির্বাচন করার ঘোষণা দিয়েও পিছু হটেছেন। ২০২০ সালে কাজী সালাউদ্দিনের বিরুদ্ধে মনোনয়নপত্র কিনেও শেষ মুহূর্তে সরে দাঁড়ান। এবার তিনিই প্রথম ঘোষণা দেন সভাপতি পদে প্রার্থী হওয়ার। সেই অনুষ্ঠানের শোডাউন ছিল চোখে পড়ার মতো। শেষ পর্যন্ত তিনি এ পদে মনোনয়নপত্রই কিনলেন না। কিনেছেন সিনিয়র সহসভাপতির ফরম। জমাও দিয়েছেন। এ পদে আরেক প্রার্থী জনপ্রিয় সংগঠক ইমরুল হাসান। যিনি ২০২০ নির্বাচনে সর্বোচ্চ ভোটে সহসভাপতি নির্বাচিত হন। বর্তমান বাফুফের কমিটির সবচেয়ে পরিশ্রমী ও পরিক্ষীত সংগঠক।
প্রশ্ন হচ্ছে, তরফদার এবার কেন সভাপতি পদে নির্বাচন করলেন না? ২০২০ সালে তার অভিযোগ ছিল সালাউদ্দিন তাকে নির্বাচন করতে দেননি। ভয়ভীতি প্রদর্শন করেছেন, তার ব্যবসাবাণিজ্যের ক্ষতি করেছেন। এবার তো সালাউদ্দিন নেই, আওয়ামী লীগ বা বিএনপি ক্ষমতায় নেই। এমন পরিবেশ থাকার পরও সভাপতি পদে প্রার্থী হলেন না কেন? কথা দিয়ে কথা রাখলেন না কেন? সিনিয়র সহসভাপতির মনোনয়ন জমা দিয়েই বলেছেন সভাপতি প্রার্থী তাবিথ আউয়ালকে সমর্থন দিতেই সভাপতি পদে নির্বাচন করছেন না। এটাও বলেছেন, তাবিথের সঙ্গে ঐক্যর প্যানেল গড়েই নির্বাচন করবেন। কিন্তু এ নিয়ে তাবিথের তো কোনো মন্তব্য নেই। তা ছাড়া তাবিথ বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হতে চলেছেন। তার কি প্যানেল করার প্রয়োজন রয়েছে? তাহলে কি তরফদার নির্বাচনের পরিবেশ ঘোলাটে করছেন? বলেছেন, তিনি দেশ ও ফুটবলের উন্নয়ন চান। যিনি পেশাদার লিগ থেকে নিজের দল প্রত্যাহার করে ফুটবলে ক্ষতি করেন, তার মুখে এসব কথা কি মানায়?
ডাব মার্কার ছয়ফুর রহমান নির্বাচনি প্রচারে অনেক কিছুই বলতেন, যা নিয়ে রসিকতা তৈরি হতো। তাহলে কি ফুটবলেও ছয়ফুরের আগমন ঘটল?