১ ডিসেম্বর, ২০১৫ ১৮:০৭

চিটাগংকে ৯ উইকেটে হারাল রংপুর

অনলাইন ডেস্ক

চিটাগংকে ৯ উইকেটে হারাল রংপুর

ঘরের মাঠে টানা দ্বিতীয় ম্যাচ হারলো দলটি। মঙ্গলবার সাগরিকায় রংপুর রাইডার্স ৯ উইকেটে হারিয়েছে চিটাগং ভাইকিংসকে।

এই হারের পর কার্যত টুর্নামেন্ট থেকে ছিটকেই পড়লো বন্দরনগরীর দলটি। সেরা চারে যাওয়ার সুযোগও শেষ হয়ে আসলো। ছয় ম্যাচে তামিম বাহিনীর এটি পঞ্চম পরাজয়। সমান ম্যাচে রংপুরের চতুর্থ জয়।  

প্রথমে ব্যাট করে ৮ উইকেটে ১১১ রান করেছ চিটাগং ভাইকিংস। ওপেনারদের ব্যাটে ১৭ ওভারেই ১ উইকেটে ১১৩ রান তুলে ম্যাচ জিতে নেয় রংপুর রাইডার্স। সৌম্য সরকার ম্যাচ সেরা হন।

চিটাগংয়ের কম স্কোরই ম্যাচের আবেদনটা কমিয়ে দিয়েছিল। তার উপর রংপুরের দুই ওপেনার সৌম্য সরকার-জহুরুল ইসলামের শতরানের জুটি ১১২ রানের টার্গেটটাকে আরও মামুলি করে দেয়। প্রাণান্ত চেষ্টার পরও রংপুরের ওপেনিং জুটিতে ভাঙন ধরাতে পারছিল না চিটাগং। শেষ পর্যন্ত জহুরুল আউট হয়েছেন। তখন জয় থেকে মাত্র ১০ রান দূরে তার দল। শফিউলের বলে তামিমের হাতে ক্যাচ দেয়ার আগে জহুরুল ৪৪ বলে ৪৭ রান (৪ চার, ১ ছয়) করেন।

বিপিএলের শুরু থেকে ইনিংস বড় না করতে পারার হতাশায় ভোগা সৌম্য এবার সফল হয়েছেন। জহুরুল মিস করলেও বাঁহাতি এ ব্যাটসম্যান হাফ সেঞ্চুরি করেছেন। মাঠও ছেড়েছেন দলের জয় নিশ্চিত করে। সৌম্য ৫৬ বলে ৫৮ রান (৮ চার, ১ ছয়) করে অপরাজিত ছিলেন।  সাকিব অপরাজিত ১ রান করেন।

টি-২০’র মেজাজ ধারণ করে শুরু না হলেও চিটাগংয়ের টপঅর্ডার ব্যাটসম্যানরা দরকে ভালো ভিত গড়ে দিয়েছিলেন। কিন্তু যখনই ব্যাট হাতে প্রতিপক্ষের উপর চড়াও হওয়ার কথা তখনই পথ হারিয়ে বসে দলটি। ১২.২ ওভারে ২ উইকেটে ৮০ রান ছিল চিটাগংয়ের। ১৮.১ ওভারে স্কোর দাঁড়ায় ৭ উইকেটে ৯৬ রান। ১৬ রানে পাঁচ উইকেটের পতন কক্ষপথ চ্যুত করে চট্টলার দলটিকে। শেষ দিকে নাঈম ইসলামের অপরাজিত ১৬ রানে একশো পার হয় চিটাগংয়ের স্কোর।

তামিম-দিলশানের ওপেনিং জুটি ভাঙে ৩৯ রানে। প্রতি ম্যাচের মতোই দলের টান ভুলে দিলশান সাজঘরে ফিরেন ১৮ রান করেন। আগের ম্যাচে শিশুতোষ ভুলে রান আউট হওয়া কামরান আকমল আরাফাত সানির বলে বোল্ড হন ১২ রান করে। দলীয় ৮০ রানে লং অফে সহজ ক্যাচ দেন এনামুল হক বিজয় (১৪)। তিন রানের ব্যবধানেই চিটাগং অধিনায়ক তামিম নবীর শিকার হন। একপ্রান্ত আগলে খেলা তামিম ইনিংস সর্বোচ্চ ৩৬ রান করেন।

দুবাই থেকে ঢাকা এবং ম্যাচের দুই ঘন্টা আগে ঢাকা থেকে হেলিকপ্টারে সাগরিকায় উড়ে আসা উমর আকমল (১) স্থায়ী হয়েছেন ৮ বল। ছক্কা হাঁকানোর চেষ্টায় ব্যর্থ জিয়াউর ৩ রান করেন। আমের ২, শফিউল ৬ রান করেন। রংপুরের সাকিব-আরাফাত সানি ২টি করে উইকেট পান।

বিডি-প্রতিদিন/ ০১ ডিসেম্বর ১৫/ সালাহ উদ্দীন

 

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর