১৫ বছরের এক নাবালিকার সঙ্গে যৌন সম্পর্ক করে একূল-ওকূল সবই হারালেন ইংল্যান্ড জাতীয় দলের ফুটবলার অ্যাডাম জনসন। বহিষ্কার হলেন ফুটবল ক্লাব সান্ডারল্যান্ড থেকে। চুক্তি বাতিল করেছে তার স্পন্সরও।
যদিও সব অভিযোগ শুরুতে অস্বীকার করেছিলেন তিনি। কিন্তু অস্বীকার করলেই তো আর সব হয় না। প্রমাণ যেখানে হাজির, সেখানে সাজা তো পেতেই হবে। নাবালিকার সঙ্গে যৌন সম্পর্ক করায় নতুন করে আবার আদালতে হাজিরা দিতে হচ্ছে অ্যাডামকে। সব তথ্য তার বিরুদ্ধে যাওয়ায় ২৮ বছরের এই মিডফিল্ডারের সঙ্গে সব রকম চুক্তি বাতিল করে দিয়েছে ক্লাব।
শনিবার ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের বিরুদ্ধে ম্যাচে দল থেকে বাদ পড়ার পরদিনই চুক্তি বাতিল করে দেওয়া হলো তার। সঙ্গে বাতিল হয়ে গেল তার স্পনসরের সঙ্গে চুক্তিও। জামিনে মুক্তি পেয়ে সান্ডারল্যান্ডের হয়ে জনসন শেষ খেলেছেন অ্যানফিল্ডে লিভারপুলের বিরুদ্ধে। ২-২ এর ড্র ম্যাচে গোলও করেছিলেন তিনি। ব্র্যাডফোর্ড ক্রাউন আদালতে আগামী দুই সপ্তাহ ট্রায়াল চলবে অ্যাডাম জনসনের। এর পরই নির্ধারিত হবে তার ভাগ্য।
সান্ডারল্যান্ডে জন্ম নেওয়া জনসন ফুটবল জীবন শুরু করেছিলেন মিডলসবরো ক্লাব দিয়ে। এরপর ম্যানচেস্টার সিটি হয়ে ২০১২তে যোগ দেন সান্ডারল্যান্ডে। ইংল্যান্ড ফুটবলে সাড়া জাগিয়ে উঠে আসা এই মিডফিল্ডারকে নিয়ে অনেক স্বপ্ন দেখেছিল একসময় ইংলিশ ফুটবল। কিন্তু এক যৌন কেলেঙ্কারিই ডুবিয়ে দিয়েছে সম্ভাবনার তরী।
গত বছর নির্বাসিত করেও তাকে ফিরিয়ে নিয়েছিল ক্লাব। ২০১৫ সালের মার্চে ১৫ বছরের নাবালিকার সঙ্গে যৌন সম্পর্কে লিপ্ত হওয়ার জন্য জেল খাটতে হয়েছিল। সেই মেয়ে নাবালিকা বলেই তার বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু তারপর ফুটবলারস অ্যাসোসিয়েশন ও জনসনের মুখপাত্রের কথায় আবার তাকে সান্ডারল্যান্ড দলে ফিরিয়ে নেওয়া হয়। কিন্তু এবার আর বাঁচতে পারলেন না তিনি। আপাতত ফুটবলের সঙ্গে সব সম্পর্ক ছিন্ন জনসনের।
তথ্যসূত্র : ইন্টারনেট
বিডি-প্রতিদিন/১৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৬/ এস আহমেদ