২৬ নভেম্বর, ২০১৬ ১৭:২৯

ক্যাস্ত্রোর মৃত্যুতে বাকরুদ্ধ ম্যারাডোনা

অনলাইন ডেস্ক

ক্যাস্ত্রোর মৃত্যুতে বাকরুদ্ধ ম্যারাডোনা

সংগৃহীত

দীর্ঘ ২০ বছরের সম্পর্ক ছিল তাদের মধ্যে। কিন্তু গতকাল সে সম্পর্ক শেষ হয়ে গেল। তাই ম্যারাডোনা আজ বন্ধুহীন। ফিদেল ক্যাস্ত্রোর প্রয়াণের পর বাকরুদ্ধ হয়ে পড়েছেন তিনি। এতটাই যে কাস্ত্রোর নামের আগে কিংবা পরে ‘‌ছিলেন’‌ শব্দটা লিখতে তার বাধছে। 

৮৬-‌তে মেক্সিকো বিশ্বকাপ মাতিয়েছিলেন ৫ ফুট ৫ ইঞ্চির একটি ছেলে। তাঁর বা পা কথা বলত। তার খেলা পছন্দ করতেন কিউবার প্রেসিডেন্টও। পরের বছরই কিউবায় পা রেখেছিলেন ম্যারাডোনা। দেখা করেছিলেন ক্যাস্ত্রোর সঙ্গে। আবেগে আপ্লুত হয়ে কিউবা প্রেসিডেন্ট বলেছিলেন, ‘‌দিয়াগো খুব ভাল বন্ধু। অত্যন্ত সৎ। দুরন্ত অ্যাথলিট। কিউবার মানুষদের ও ভালোবাসে।’‌ 
 
৯৪ বিশ্বকাপে ম্যারাডোনার বিরুদ্ধে উঠেছিল ডোপিংয়ের অভিযোগ। বিশ্বকাপ থেকে ছিটকে যেতে হয়েছিল তাকে। চারিদিকে সমালোচনায় জর্জরিত তিনি চলে গিয়েছিলেন কিউবায়। সে সময়ে বেশ কিছুদিন কাটিয়েছিলেন ক্যাস্ত্রোর সঙ্গে। তৎকালীন কিউবা প্রেসিডেন্ট তাকে সঠিক পথে ফিরিয়ে এনেছিলেন। যা কোনওদিন ভুলতে পারবেন না দিয়েগো। 

তাই তো ম্যারাডনা কতবার যে বলেছেন, ‌আমি ফিদেল কাস্ত্রোর কত বড় ভক্ত‌ তার ইয়ত্তা নেই। নিজের বাঁ পায়ে কাস্ত্রোর ট্যাটু বানিয়েছেন। আত্মজীবনী উৎসর্গ করেছিলেন ফিদেলকে। কয়েকবছর আগেও ফিদেল যখন গুরুতর অসুস্থ, গোটা দুনিয়া উদগ্রীব তার খবর জানার জন্য। গুজবও রটে গিয়েছিল যে ক্যাস্ত্রো আর বেঁচে নেই। তিনি ছুটে গিয়েছিলেন কিউবায়। পরে তিনি জানিয়েছিলেন ক্যাস্ত্রো ভালো আছেন। 
  

বিডি-প্রতিদিন/২৬ নভেম্বর, ২০১৬/তাফসীর-১৭

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর