১৬ জানুয়ারি, ২০১৭ ১৭:২৭

জয়ের আনন্দে ভাসলো বাংলাদেশের মেয়েরা

অনলাইন ডেস্ক

জয়ের আনন্দে ভাসলো বাংলাদেশের মেয়েরা

পাঁচ ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজের তৃতীয় ম্যাচে দারুণ জয় তুলে নিয়েছে বাংলাদেশের মেয়েরা। সফরকারী দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে টাইগ্রেসদের জয়টি ১০ রানের। প্রথম দুই ম্যাচ হেরে তৃতীয় ম্যাচে জয় পাওয়ায় সিরিজে ঘুরে দাঁড়িয়ে ২-১ এ ব্যবধান কমিয়ে আনলো স্বাগতিকরা।

 ৯৬ রানে ৯ উইকেট ফেলে দেওয়ার পরও বাংলাদেশকে ভোগাচ্ছিল শেষ উইকেটে গড়া দক্ষিণ আফ্রিকার ৩০ রানের জুটি। সালমা খাতুনই শেষ উইকেট তুলে নিয়ে আনন্দে ভাসান দলকে।

জয়ের মূল নায়িকা খাদিজাতুল কুবরা। ৩৩ রানে নিয়েছেন ৪ উইকেট। আগের ম্যাচেও দুর্দান্ত বোলিং করেছেন বাংলাদেশের এই অফ স্পিনার। আজ ছাড়িয়ে গেছেন সেটিকেও। ১৫তম ওভারে হ্যাটট্রিকের সুযোগও পেয়েছিলেন। সেটি না হলেও দলের জয়ের সম্ভাবনা উঁকি দেয় ওই ওভারের পর থেকেই। ৭ রানের মধ্যে ৪ উইকেট হারিয়ে দক্ষিণ আফ্রিকার স্কোর হয়ে যায় ৬৭/৭। এরপর গড়ে ওঠে ২০ রানের একটা জুটি। খাকাকে রান আউটে ফিরিয়ে স্বস্তি এনে দেন লতা মন্ডল। খাদিজা কারস্টেনকেও ফেরালে জয় থেকে বাংলাদেশ তখন এক উইকেট আর দক্ষিণ আফ্রিকা ৪১ রান দূরে।

প্রোটিয়া অধিনায়ক খেলেছেন অপরাজিত ৪২ রানের দুর্দান্ত এক ইনিংস। অবশ্য নিকর্ক একটা সুযোগ দিয়েছিলেন, রুমানার বলে যখন মিডঅনে সানজিদা ইসলামের হাতে তিনি ক্যাচ তুলে দেন দক্ষিণ আফ্রিকার দরকার ২২ রান। নিকর্ককে ফেরাতে পারলেই জয় নিশ্চিত। কিন্তু প্রোটিয়া অধিনায়কের সহজ ক্যাচটাই লুফে নিতে পারেননি সানজিদা। অবশেষে জয় নিশ্চিত হলো ৩৭ ওভারে, সালমা খাতুন যখন তুলে নিলেন দক্ষিণ আফ্রিকার শেষ উইকেট।

টস জিতে আগে ব্যাটিং করা বাংলাদেশকে ভালো শুরু এনে দেন দুই ওপেনার শারমিন সুলতানা ও শারমিন আক্তার। দুই শারমিনের ওপেনিং জুটিতে এসেছে ৪২ রান। সুলতানার ব্যাটিং দেখে মনেই হয়নি এ ম্যাচ দিয়ে তাঁর আন্তর্জাতিক ক্রিকেট শুরু। মার্সি লেতসোয়ালার বলে কাভারে লিজলে লির ক্যাচ হওয়ার আগে শারমিনের রান ১৭। ৫ রানের মধ্যে অডিন কারেস্টেনের বলে মিডঅনে স্টেইনের ক্যাচ হয়েছেন সুলতানা (২১)।

দুই ওপেনার ফিরে যাওয়ার পর দলকে পথ দেখান তৃতীয় উইকেটে রুমানা আহমেদ-সানজিদা ইসলামের ৪২ রানের জুটি। ছন্দে থাকা বাংলাদেশ অধিনায়কের ব্যাট থেকেই এসেছে দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ২৮ রান। লুসের বলে রুমানা বোল্ড হওয়ার পরই ধসে পড়েছে বাংলাদেশের ব্যাটিং অর্ডার। ৩ উইকেটে ১০৪ ছিল বাংলাদেশের স্কোর। শেষ ৭ উইকেট পড়েছে মাত্র ৩২ ​রানে।

বিডি-প্রতিদিন/ ১৬ ডিসেম্বর, ২০১৬/ সালাহ উদ্দীন

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর