১৮ জানুয়ারি, ২০১৮ ০২:০২

'মিরপুর স্টেডিয়ামের শততম ম্যাচে বাংলাদেশ খেললে ভালো হতো'

অনলাইন ডেস্ক

'মিরপুর স্টেডিয়ামের শততম ম্যাচে বাংলাদেশ খেললে ভালো হতো'

ফাইল ছবি

মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামের শততম ম্যাচে মুখোমুখি হয়েছিল শ্রীলঙ্কা ও জিম্বাবুয়ে। অথচ নিজেদের হোম ভেন্যু হবার পরও মিরপুরের মাঠে শততম ম্যাচে দর্শক ছিল বাংলাদেশ ক্রিকেট দল। তবে এমন মাইলস্টোনের ম্যাচে বাংলাদেশ থাকলে ভালো হতে বলে মনে করেন বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন। 

ত্রিদেশীয় সূচিতে মঙ্গলবার বাংলাদেশের খেলা না থাকার কারণও জানিয়েছেন পাপন, ‘সিরিজ ছিলো অনিশ্চিয়তায়। তাড়াহুড়ার কারণে এটা হয়নি। তবে মিরপুরের শততম ম্যাচে বাংলাদেশ থাকতে পারলে খুবই ভালো হতো।’ 

২০০৬ সালের ৮ ডিসেম্বর মিরপুরের ভেন্যুতে ওয়ানডের অভিষেক হয়। ওই ম্যাচে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে মাঠে নেমেছিল বাংলাদেশ। ৮ উইকেটে বাংলাদেশের জয় দিয়ে মিরপুরের ভেন্যুর যাত্রাও শুরু হয়। স্বাগতিক হিসেবে মিরপুরের প্রথম ওয়ানডেতে বাংলাদেশ থাকলেও, দুর্ভাগ্যবশত এই ভেন্যুর শততম ওয়ানডেতে খেলা হলো না বাংলাদেশের। 

তবে এমন স্মরণীয় ম্যাচে বাংলাদেশ থাকলে ভালো হতো বলে মনে করেন পাপন, ‘আজকের এই শততম ওডিআইতে আমরা বাংলাদেশের খেলাও রাখতে পারতাম। আমরা শততম টেস্ট ম্যাচটাও তো বাইরে খেলেছি, শ্রীলঙ্কা গিয়ে খেলে এসেছি। তবে বাংলাদেশ খেললে আরও ভালো হতো।’

মিরপুরের ওয়ানডেতে বাংলাদেশ না খেললেও ইতিহাসের সাক্ষী হতে পেরে ভালো লাগছে পাপনের, ‘আসলে এই ভেন্যুটায় একশতম ওডিআই আজকে হচ্ছে। সেটা তো সত্যিই একটা মাইলস্টোন। তবে আমি মনে করি যে, আমার ব্যক্তিগতভাবে এই ভেন্যুটা অবশ্যই অনেক ভালো লাগে। এর পেছনে কয়েকটা কারণ আছে। প্রথমত হচ্ছে যে আমাদের তো খুব একটা অপশন নেই। বিশেষ করে আমাদের নতুন যে স্টেডিয়ামটা করেছি, সিলেটে আমরা একটা ভালো স্টেডিয়াম করেছি, চিটাগাংয়ে আমাদের একটা নতুন স্টেডিয়াম হয়েছে। এগুলা তো নতুন। কিন্তু প্রথম থেকে যদি দেখে থাকেন, আমাদের ক্রিকেট স্টেডিয়াম হোম অব ক্রিকেট বলতে যা বুঝিয়ে থাকে সেটা এটাই। এই যে মিরপুরের এই স্টেডিয়াম শেরে বাংলা। তো সেদিক থেকে এটার প্রতি সব সময়ই আমাদের আকর্ষণ ছিল। খেলাও সবচেয়ে বেশি এটাতেই হয়েছে। পৃথিবীতে এটা ষষ্ঠ স্টেডিয়াম একশতম যেটা ছুঁয়েছে ওডিআই। কিন্ত এতো কম সময়ে। আমার মনে হয় সময়ের দিক দিয়ে এটা আরও কম। কারণ অব্যাহতভাবে খেলা হচ্ছে এ মাঠে। সেজন্যই আমি মনে করি যে এটা তাৎপর্যপূর্ণ। শুধু এখানেই না, যেভাবে চলছে এখানে একশ না, দু’শ হতেও খুব বেশি সময় লাগবে না।’

বিডি প্রতিদিন/১৮ জানুয়ারি ২০১৮/এনায়েত করিম

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর