২৫ ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ ১৩:২৫

বিখ্যাত হতে অলিম্পিকে!

অনলাইন ডেস্ক

বিখ্যাত হতে অলিম্পিকে!

আফ্রিকা বরফ বা তুষারপাতের জন্য পরিচিত নয়। তারপরও আফ্রিকার বিভিন্ন দেশের ক্রীড়াবিদরা শীতকালীন অলিম্পিকে আসছেন। দক্ষিণ কোরিয়ায়  দু' সপ্তাহ ধরে চলছে শীতকালীন অলিম্পিক। এ আসরে আলোচনায় চলে এসেছেন আফ্রিকান ক্রীড়াবিদরা। তারা বিখ্যাত হতেই অলিম্পিকে আসছেন এমন অভিযোগ উঠছে।

নাইজেরিয়ান ববস্লেড টিম দর্শকদের সবার প্রিয় হয়ে উঠেছে। কোন শীতকালীন অলিম্পকে এই প্রথম নাইজেরিয়ার কোন দল প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে। এই দলের তিন জন নারী। তারা ইতিমেধ্যেই নাইজেরিয়ায় 'রোল মডেল' হয়ে উঠেছেন।অলিম্পিকে আসার স্বপ্ন পূরণ তাদের জন্য সহজ ছিল না। এজন্য তাদের ক্রাউডফান্ডিং অর্থাৎ জনগণের কাছ থেকে চাঁদা তুলতে হয়েছে। এদের কারো জন্মই নাইজেরিয়ায় নয়, বরং আমেরিকায়। কিন্তু তারা তাদের বাবা-মায়ের দেশের প্রতিনিধি হয়ে অলিম্পিকে এসেছেন। আর এটা নিয়েই প্রশ্ন উঠেছে।

নাইজেরিয়ার জনসংযোগ বিশেষজ্ঞ কোরেড ওলুওলে বলছেন, যে দেশের শীতকালীন অলিম্পিকে যাবার কোন ইতিহাস নেই, যে ক্রীড়াবিদরা সেদেশের মাঠে প্রশিক্ষণও নেয়নি কখনো - তাদেরকে কেন নাইজেরিয়া অলিম্পিকে তাদের প্রতিনিধিত্ব করতে দেয়া হচ্ছে?

এলিজাবেথ সোয়ানির জন্ম যুক্তরাষ্ট্রে । কিন্তু তিনি শীতকালীন অলিম্পিকে এসেছেন হাঙ্গেরির প্রতিনিধি হয়ে - যা তার বাবা-মায়ের আদি দেশ। সাব্রিনা সিমানডার কেনিয়ার হয়ে দুটি ইভেন্টে অংশ নিয়েছেন। তার জন্ম কেনিয়ায় হলেও তিনি বড় হয়েছেন অস্ট্রিয়ায়। তার কথা, আমার মায়ের দেশ কেনিয়া, আমি আমার মাতৃভূমিকে কখনো ত্যাগ করতে চাই না।

ঘানার আকওয়াসি ফ্রিমপং শীতকালীন অলিম্পিকের আরেক ফেভারিট। তিনি ঘানায় বাস করেছেন তার আট বছর বয়স পর্যন্ত। তার পর তার মা তাকে নিয়ে যান নেদারল্যান্ডসে। তিনি নেদারল্যান্ডসের হয়েই শীতকালীন অলিম্পিকসে এসেছেন।

নাইজেরিয়ার জনসংযোগ বিশেষজ্ঞ কোরেড ওলুওলের দাবি, সেলিব্রিটি হবার তাড়নায় অনেকেই এভাবে অলিম্পিকে আসার পথ করে নিচ্ছেন।

স্পোর্টস মার্কেটিং কর্মকর্তা টিনুওলা আকিনোলা মনে করেন, অলিম্পিকে আরও আফ্রিকান দেশের অংশগ্রহণ থাকা উচিত। তিনি বলেন, এখানে যারা আসছে তারা নামা কামাতে আসছে, বা তারা স্বার্থপর, এমন কথা বলা বা এরকম ইঙ্গিত করা অন্যায়।
সূত্র: বিবিসি বাংলা

বিডি প্রতিদিন/২৫ ফেব্রুয়ারি, ২০১৮/ফারজানা

সর্বশেষ খবর