২৬ সেপ্টেম্বর, ২০১৮ ১২:৫০

বাংলাদেশ-পাকিস্তান লড়াইয়ের পাঁচটি দিক

অনলাইন ডেস্ক

বাংলাদেশ-পাকিস্তান লড়াইয়ের পাঁচটি দিক

বাংলাদেশ ও পাকিস্তান দু'দলই আফগানিস্তানের সঙ্গে সুপার ফোর পর্বে জয় পেয়েছে এবং ভারতের কাছে হেরেছে।

ফাইনালে ওঠার জন্য এটি এখন বাঁচা-মরার লড়াই উভয় দলের জন্য। তাই পাকিস্তান ও বাংলাদেশের ম্যাচটি ২০১৮ এশিয়া কাপের সেমিফাইনালে রূপ নিয়েছে।

বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের সাবেক ক্রিকেটার হান্নান সরকারের মতে, খুব বেশি পরীক্ষা-নিরীক্ষার জায়গা নেই বাংলাদেশের ব্যাটিং লাইনআপের।

আফগানিস্তানের সঙ্গে ম্যাচটিতে ইমরুল কায়েস মাঝে নামার কারণ হিসেবে তিনি বলেন, টিম ম্যানেজমেন্ট খুব বিচক্ষণ ছিল। রশিদ খান ও ইমরুল কায়েস কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সে খেলেছেন একসঙ্গে। রশিদের বল ইমরুল খেলবেন এ পরিকল্পনা মাথায় রেখে ইমরুলকে নিচে খেলানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

সৌম্য সরকার কী ধরনের ফর্মে আছেন, সেটি একটি বিবেচনার বিষয় হতে পারে বলে মনে করেন হান্নান সরকার। সে ক্ষেত্রে নাজমুল হোসেন শান্তর পরিবর্তে তাকে নামানো যেতে পারে।

শ্রীলংকার বিপক্ষে মুশফিকুর রহিমের ১৪৪, আফগানিস্তানের বিপক্ষে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ৭৪ ও ইমরুল কায়েস ৭২ রান তোলেন।

হান্নান সরকার বলেন, মূলত অভিজ্ঞরাই পারফরম করছেন। যারা একটু সিনিয়র তারাই খুব ভালো খেলছে। যেমন লিটন দাস আফগানিস্তানের সঙ্গে কিছু রান করেছেন এবং শান্ত তেমন খেলতে পারছেন না। এসব বিবেচনা করেই একাদশ করা হবে।

পাকিস্তানের স্বভাবজাত শক্তির জায়গা বোলিং। যদিও হংকংয়ের সঙ্গে একটি ম্যাচ ছাড়া পাকিস্তান তেমন ভালো বোলিং করতে পারেনি এ টুর্নামেন্টে।

মূলত মোহাম্মদ আমিরের ফর্ম না থাকা ভোগাচ্ছে এ দলটিকে। ২০১৭ সালের চ্যাম্পিয়নস ট্রফি জয়ে বড় ভূমিকা রেখেছিলেন মোহাম্মদ আমির।

হান্নান সরকারের মতে, বাংলাদেশের তুলনায় পাকিস্তানের বোলিং বেশ শক্তিশালী। তাদের বোলিংয়ে বৈচিত্র্য রয়েছে।

হান্নান সরকার মনে করছেন, পাকিস্তানের এশিয়া কাপ তেমন ভালো যাচ্ছে না।

তিনি বলেন, হংকংয়ের সঙ্গে জয় ছাড়া পাকিস্তান এ এশিয়া কাপে খানিকটা নেতিবাচক অবস্থানে রয়েছে। ভারতের সঙ্গে দুটি ম্যাচেই একদম বড় ব্যবধানে হেরেছে।

ভারতের কাছে পাকিস্তান একটি ম্যাচে ৮ উইকেটে ও একটি ম্যাচে ৯ উইকেটে হেরেছে। দুই ম্যাচ মিলিয়ে মাত্র ৩ উইকেট নিয়েছেন পাকিস্তানের বোলাররা।

হান্নান সরকারের মতে, এমন ব্যবধানে হার যে কোনো দলের মানসিক শক্তিতে আঘাত হানে।

পাকিস্তানের সঙ্গে শেষ তিন বছরে বাংলাদেশ কোনো ওয়ানডে ম্যাচ খেলেনি। শেষবার ২০১৫ সালে দুদল একটি তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজে মুখোমুখি হয়। যেখানে ৩-০ ব্যবধানে জয় পায় বাংলাদেশ।

সেই সিরিজে দুটি শতক হাঁকান তামিম ইকবাল, যিনি ইনজুরির কারণে এখন মাঠের বাইরে রয়েছেন।

এর আগে ২০১৪ ও ২০১২ এশিয়া কাপে পাকিস্তান এবং বাংলাদেশ মুখোমুখি হয়, ওই দুটি ম্যাচ খুব সামান্য ব্যবধানে হেরে যায় বাংলাদেশ।

আরব আমিরাতে কী পাকিস্তান হোম কন্ডিশনের সুবিধা পাবে, এমন প্রশ্নের জবাবে হান্নান সরকার বলেন, এখানে ঘরের মাঠের সুবিধা তেমন নিতে পারবে না তারা। বাংলাদেশও চারটি ম্যাচ খেলে ফেলেছে। এখানে পরিস্থিতি মানিয়ে নেয়ার ব্যাপারটি চলে এসেছে।

তবে গরমের বিষয়টি দুদলের জন্যই কঠিন হবে। হোমগ্রাউন্ডের ব্যাপারটায় খুব বেশি সুবিধা পাকিস্তান নিতে পারবে বলে মনে করছেন না হান্নান সরকার।-বিবিসি

বিডি প্রতিদিন/২৬ সেপ্টেম্বর ২০১৮/আরাফাত

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর