১৪ ডিসেম্বর, ২০১৮ ১০:১৪

ফৌজদারি অপরাধ হচ্ছে ম্যাচ ফিক্সিং?

অনলাইন ডেস্ক

ফৌজদারি অপরাধ হচ্ছে ম্যাচ ফিক্সিং?

ক্রিকেট ঐতিহাসিকভাবে ভদ্রলোকের খেলা হিসেবে বিবেচিত। কিন্তু ম্যাচ ফিক্সিং এই খেলার একটি কলঙ্কজনক ইতিহাস। ক্রিকেটে ম্যাচ ফিক্সিংকে গণ্য করা হয় বড় ধরনের অপরাধ হিসেবে। তবে এটিকে ‘অপরাধ’ হিসেবে দেখা হয় শুধু ক্রিকেট অঙ্গনেই।

ক্রিকেট খেলুড়ে দেশগুলোর বাজিকরদের প্রতি রাষ্ট্রীয়ভাবে কঠোর কোনো আইন না থাকায় তাদের শাস্তি প্রদানের ক্ষেত্রে কিংবা দৌরাত্ম্য দমনে আইসিসির অনেক সীমাবদ্ধতা রয়েছে।

আর এ কারণে ফিক্সিংকে ফৌজদারি অপরাধ হিসেবে গণ্য করার জন্য আহ্বান জানিয়েছে আইসিসি। সংস্থাটির প্রধান নির্বাহী ডেভ রিচার্ডসন জানিয়েছেন, ক্রিকেট খেলুড়ে দেশ কিংবা যেসব দেশের বাজিকরদের দৌরাত্ম্য রয়েছে সেসব দেশে ফিক্সিংকে ফৌজদারি অপরাধ হিসেবে গণ্য করার জন্য আন্তরিকভাবে প্রস্তাব করবে আইসিসি। খবর ক্রিকইনফোর।

প্রসঙ্গত, অপরাধীকে ফৌজদারি অপরাধের আওতাভুক্ত হলে তাকে রাষ্ট্রীয়ভাবে দণ্ড বা শাস্তির আওতায় নিয়ে আসা হয়।

সম্প্রতি ভারতের নয়াদিল্লীতে সংবাদমাধ্যমের সাথে আলাপকালে আইসিসি সিইও ডেভ রিচার্ডসন বলেন, ‘ফিক্সিংয়ের মাধ্যমে ক্রিকেটকে কলুষিত করতে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে পরিভ্রমণ করে বেড়ানো বাজিকরদের দৌরাত্ম্য থামাতে আকসু (আইসিসি অ্যান্টি করাপশন ইউনিট) আরও কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণ করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। আমরা বিভিন্ন দেশের সরকারকে আহ্বান করবো যাতে ক্রিকেটে ফিক্সিং করাকে ফৌজদারি অপরাধের আওতায় নিয়ে আনা হয়।’

সাম্প্রতিক সময়ে ফিক্সিংয়ের বিষয়ে বড় ঝড় বয়ে চলেছে আইসিসিতে। আইসিসির সাথে সংশ্লিষ্ট একাধিক ব্যক্তির নাম জড়িয়েছে ফিক্সিংয়ের কেলেঙ্কারিতে। এমনকি ফিক্সিংকে প্রশ্রয় দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে শ্রীলঙ্কান কিংবদন্তী সনাথ জয়াসুরিয়ার বিরুদ্ধেও। তাছাড়া ফ্র্যাঞ্চাইজিভিত্তিক টি-২০ লিগের ছড়াছড়ি আর আকাশচুম্বী চাহিদার কারণে বাজিকরদের দৌরাত্ম্যও ক্রমশ বাড়ছে। আর তাই ক্রিকেটকে দুর্নীতি থেকে মুক্ত রাখতে আইসিসিকে কঠোর পদক্ষেপেরে দিকেই যেতে হচ্ছে।

বর্তমানে ফিক্সিং করেও ধরাছোঁয়ার বাইরে থেকে যান পেশাদার বাজিকররা। ফিক্সিংকে ক্রিকেট সংশ্লিষ্ট দেশগুলোতে ফৌজদারি আইনের আওতায় আনা হলে কোথাও গিয়ে স্বস্তি পাবে না বাজিকররা।

বিডি প্রতিদিন/কালাম

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর