১৭ মার্চ, ২০১৯ ১৫:০৩

ক্রাইস্টচার্চে হামলার ঘটনায় কিউই ক্রিকেটাররা কে কী বলছেন?

অনলাইন ডেস্ক

ক্রাইস্টচার্চে হামলার ঘটনায় কিউই ক্রিকেটাররা কে কী বলছেন?

সংগৃহীত ছবি

নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চে দুটি মসজিদে হামলায় ৫০ জনকে হত্যা করেছে অস্ট্রেলিয়ার নাগরিক ব্রেন্টন হ্যারিসন ট্যারেন্ট নামের এক সন্ত্রাসী। এ হামলার পর স্তব্ধ পুরো বিশ্ব, উঠেছে নিন্দার ঝড়। দেশটির ক্রিকেট অঙ্গনে দেখা দিয়েছে শঙ্কা। নিউজিল্যান্ড ক্রিকেট বোর্ডের (এনজেডসি) প্রধান নির্বাহী ডেভিড হোয়াইট, এখন কেউ আর নিউজিল্যান্ডকে নিরাপদ বলে গণ্য করবে না।

তার ভাষায়, আন্তর্জাতিক ক্রীড়াঙ্গনে এর বিরূপ প্রভাব পড়বে। গোটা বিশ্বে খেলা আয়োজকদের মনোভাব পাল্টে যাবে। এখন সর্বত্রই পরিবর্তন আসবে। সবাই আগেভাগে আরও বেশি ভাববে। সফর করার ব্যাপারে চিন্তা করবে। শুধু ক্রিকেট নয়, যে কোন খেলা আয়োজন করার ক্ষেত্রেই এখন নিউজিল্যান্ডকে অনিরাপদ ভাবা হবে।'

ভয়াবহ ওই হামলার পর স্বাভাবিকভাবেই শান্তির দেশ নিউজিল্যান্ডের নিরাপত্তা ব্যবস্থাকে সহজভাবে নিতে পারবে না কোনো দেশ। সেটা বুঝে গেছেন কিউই ক্রিকেটাররাও। এ ব্যাপারে পেসার মিচেল ম্যাক্লেনাঘান টুইটারে লিখেছেন, যতই পড়ছি, ততই কান্না পাচ্ছে। ঘৃণায় আমার বমি চলে আসছে। দেশের সব মানুষের প্রতি আমার ভালোবাসা।

সমবেদনা জানিয়েছেন অলরাউন্ডার জিমি নিশামও। তিনি লিখেছেন, আগে বিশ্বের নানা প্রান্তে লোমহর্ষক জঙ্গি হামলার কথা শুনেছি। আর ভেবেছি আমরা একটু নিরাপদ আছি। ওই দিনটা ছিল ভয়াবহ, ভীতিকর ও দুঃখজনক।

আর কিংবদন্তী বেন্ডন ম্যাককালাম লিখেছেন, এটি আমাদের দেশের ইতিহাসের একটি কালো অধ্যায়। দেশের মানুষ ও মুসলিম ভাই-বোনদের প্রতি আমি সহমর্মিতা জানাই।

প্রসঙ্গত, ক্রাইস্টচার্চের আল নূর মসজিদে নৃশংস সন্ত্রাসী হামলা থেকে অল্পের জন্য বেঁচে যান বাংলাদেশ ক্রিকেটাররা। সেই মসজিদেই জুমার নামাজ আদায় করতে গিয়েছিলেন টাইগাররা।

উল্লেখ্য, ফুলেল শ্রদ্ধায় নিহতদের স্মরণ করছেন ক্রাইস্টচার্চবাসী। এরই মধ্যে এ ঘটনায় দেশটির অস্ত্র আইনে ব্যাপক পরিবর্তন আনার কথা জানিয়েছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী জাসিন্দা আরডার্ন। এছাড়া হামলায় প্রধান অভিযুক্ত ব্রেন্টন ট্যারান্টকে ২০ দিনের রিমান্ডে দিয়েছেন দেশটির আদালত।


বিডি প্রতিদিন/ ওয়াসিফ

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর