যুক্তরাষ্ট্রের প্রথম টেনিস খেলোয়াড় হিসেবে অলিম্পিকের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে জাতীয় দলের পতাকা বহন করেছিলেন কোকো গফ। তবে সেই আনন্দ ক্ষণস্থায়ী হলো। তৃতীয় রাউন্ডে হেরে কান্নায় কোর্ট ছাড়তে হলো তাকে।
সিন নদীর প্যারেড অনুষ্ঠানে বাস্কেটবল কিংবদন্তি লেব্রন জেমসের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের পতাকা বহন করেছিলেন গফ। এরপর দুই রাউন্ড ভালোভাবেই জিতে এসেছেন তিনি। কিন্তু তৃতীয় রাউন্ডে গিয়ে ডোনা ভেকিকের কাছে হেরেছেন এই মার্কিন টেনিস তারকা। হারের পর ভেজা চোখে মাঠ ছাড়ার পর আঙুল তুলেছেন আম্পায়ারের বিরুদ্ধে। তার অভিযোগ, তার সঙ্গে প্রতারণা করা হয়েছে।
কোয়ার্টার ফাইনালে ওঠার ম্যাচে আজ কাছে সরাসরি ৭-৬ (৯/৭), ৬-২ গেমে হেরেছেন গফ। বিতর্কিত সিদ্ধান্তের ঘটনাটি ঘটে দ্বিতীয় সেটের ষষ্ঠ গেম চলার সময়। ভেকিকের একটি শটকে আউট বলেন আম্পায়ার। তাতে ঠিকমতো র্যাকেট চালাতে পারেননি গফ। কিন্তু চেয়ার আম্পায়ার পরে সিদ্ধান্ত দেন, বল কোর্টের ভেতরেই ছিল। ফলে পয়েন্ট পেয়ে যান ভেকিক।
চেয়ার আম্পায়ারের ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গে প্রতিবাদ জানান গফ। এ নিয়ে বেশ কিছুক্ষণ তর্কও করেন তিনি। ম্যাচ শেষে ২০ বছর বয়সী টেনিস তারকা বলেন, 'আমি হিট করার আগেই আউট বলে ডাক দেওয়া হয়। তাতে আমি বলের উপরে উঠে গিয়েছিলাম। তবে হিট করার আগে আউট না বললে এ নিয়ে বিতর্কে জড়াতাম না।'
এ পর্যন্ত ঠিক ছিল। কিন্তু গফ এটা মেনে নিতে পারছেন না আরেক কারণে। ২০২২ সালের ফাইনালেও তার সঙ্গে এমন একটি ঘটনা ঘটেছিল। সে কথা মনে করিয়ে দিয়ে তিনি বলেন, 'আমার মনে হচ্ছে, প্রতিনিয়ত আমি প্রতারণার শিকার হচ্ছি। এ নিয়ে তিনবার আমার সঙ্গে এমন ঘটনা ঘটলো। আমার সময় তারা (আম্পায়াররা) নিরপেক্ষ থাকেন না।'
লাইন আম্পায়ার অবশ্য ভুলের জন্য ক্ষমা চেয়েছিলেন। কিন্তু গফের মন গলেনি। তার কথা, 'পয়েন্ট পেলেই ম্যাচ জিততাম, এমন নয়। তবে আবার খেলা হলে গেমটি অন্যরকম হতে পারতো।'
বিডি প্রতিদিন/ ওয়াসিফ