রাওয়ালপিন্ডি টেস্টে পাকিস্তানের বিপক্ষে জয়ের জন্য বাংলাদেশকে করতে হবে ৩০ রান। এটা করতে পারলে ইতিহাসে নাম লেখাবে টাইগাররা।
এর আগে সাকিব-মিরাজ তোপে সবকটি উইকেট হারিয়ে ১৪৬ রানে থামে শান মাসুদের দল। স্বাগতিকরা লিড নিতে পেরেছে কেবল ২৯ রান। ফলে জয়ের জন্য বাংলাদেশকে করতে হবে ৩০ রান।
শেষদিনের শুরুটা দারুণ হয় বাংলাদেশের। দ্বিতীয় ওভারের শেষ বলে শান মাসুদকে আউট করেন হাসান মাহমুদ। শুরুতে অবশ্য আম্পায়ার আউট দেননি। পরে রিভিউ নিলে রিপ্লেতে দেখা যায় মাসুদের ব্যাট ছুঁয়েই বল যায় উইকেটের পেছনে দাঁড়ানো লিটন দাসের গ্লাভসে। ৩৭ বলে ১৪ রান করেছিলেন মাসুদ।
এরপর ওপেনার আব্দুল্লাহ শফিককে নিয়ে দলের হাল ধরেন বাবর আজম। এবার দলকে সাফল্য এনে দেন নাহিদ রানা। তার বল ইনসাইড এজ হয়ে চলে যায় ৫০ বলে ২২ রান করা বাবরের স্টাম্পে। পরের ওভারে এসে পাকিস্তানকে আরও চাপে ফেলে দেন সাকিব।
তার বলে স্টাম্পিং হন চার বলে কোনো রান না করা সৌদ শাকিল। নিজের আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারে প্রথমবারের মতো ডাক মারেন এই ব্যাটার। তাকে ফেরানোর পর মরিয়া হয়ে ওঠেন নানাদিক থেকে চাপের মুখে থাকা সাকিব। প্রতিটি বলই তিনি করছিলেন ভীষণ মনোযোগ দিয়ে।
৩৩তম ওভারের প্রথম বলে রিজওয়ানের প্যাডে বল লাগলে এলবিডব্লিউয়ের আবেদন করে বাংলাদেশ। আম্পায়ার আউট না দিলে রিভিউ নিতে চায় তারা, কিন্তু ততক্ষণে শেষ হয়ে গেছে ১৫ সেকেন্ড সময়।
সাকিব পরের বল করতে গেলে উইকেট থেকে সরে যান রিজওয়ান। তখন হাওয়ায় বল ছুড়ে মারেন সাকিব, সেটি লিটন ধরেন। আম্পায়ার এরপর এ নিয়ে অসন্তোষও জানান। ওই ওভারের শেষ বলে বোল্ড হয়ে যান আব্দুল্লাহ শফিক। ৮৬ বলে ৩৭ রান করে সাজঘরে ফেরত যান তিনি।
এই চাপ আরও বেড়ে যায় এক বল পরই সালমান আগা আউট হলে। কোনো রান করার আগেই স্লিপে দাঁড়ানো সাদমান ইসলামের হাতে ক্যাচ দেন তিনি। এরপর বেশ লম্বা সময় বাংলাদেশের পথের কাটা হয়ে থাকেন মোহাম্মদ রিজওয়ান। ক্যারিয়ার দশম ফিফটিও তুলে নেন ডানহাতি এই ব্যাটার। কিন্তু তা টেনে বড় করতে পারেননি। মিরাজ সুইপ করার সময় বল তার ব্যাটের কানায় লেগে আঘাত হানে স্টাম্পে। তাই ৫১ রানেই থামতে হয় তাকে।
শেষ উইকেট হিসেবে মোহাম্মদ আলীকে এলবিডব্লিউর ফাঁদে ফেলে পাকিস্তানকে ১৪৬ রানেই গুটিয়ে দেন মিরাজ। বাংলাদেশের হয়ে সর্বোচ্চ ৪ উইকেট নেন তিনি। এছাড়া সাকিব নেন ৩ উইকেট।
বিডি-প্রতিদিন/বাজিত