বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের ভারত সফরের শুরু থেকেই সেখানকার কয়েকটি উগ্র সংগঠন হুমকি দিয়ে আসছিল। দুই টেস্টের সিরিজে এর কোনো প্রভাব না পড়লেও টি-টোয়েন্টি সিরিজের আগে ফের সক্রিয় হয়েছে তারা। গোয়ালিয়রে বাংলাদেশ-ভারত সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টি আয়োজন নির্বিঘ্ন করতে কঠোর অবস্থান নিয়েছে স্থানীয় প্রশাসন।
৬ অক্টোবরের ম্যাচটি ঘিরে বিক্ষোভ মিছিল এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে উসকানিমূলক প্রচারণায় নিষেধাজ্ঞা জারি করেছেন স্থানীয় জেলা ম্যাজিস্ট্রেট।
ভারতের সংবাদ সংস্থা পিটিআইয়ের খবরে বলা হয়েছে, আগামী ৬ অক্টোবরের ম্যাচ ঘিরে বিক্ষোভ মিছিল এবং সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে উসকানিমূলক প্রচারণায় নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছেন স্থানীয় জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ও কালেক্টর রুচিকা চৌহান। বাংলাদেশ-ভারত ম্যাচ নিয়ে বিক্ষোভের জেরে এমন নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
স্থানীয় পুলিশ প্রশাসন জানিয়েছে, বাংলাদেশ-ভারত ম্যাচ ঘিরে গোয়ালিয়রে নিরাপত্তা ও পরিবহন ব্যবস্থাপনায় প্রায় ১৬০০ পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
গত আগস্টে বাংলাদেশে গণঅভ্যুত্থানে সরকার পতনের পর হিন্দুদের ওপর হামলা-নির্যাতনের অভিযোগে আগামী রবিবারের ম্যাচটি বাতিলের দাবি তুলেছিল হিন্দু মহাসভা ও কয়েকটি সংগঠন।
ম্যাচটি হবে গোয়ালিয়রের শ্রীমন্ত মাধবরাও সিন্ধিয়া ক্রিকেট স্টেডিয়ামে। ৩০ হাজার দর্শক ধারণক্ষমতার এই মাঠে এটিই হবে প্রথম আন্তর্জাতিক ম্যাচ। এরমধ্যেই হিন্দু মহাসভা ‘গোয়ালিয়র বন্ধ’–এর ডাক দেয়। এছাড়া আরও কয়েকটি সংগঠন ম্যাচ বাতিলের দাবি জানায়।
এসব ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে মধ্যপ্রদেশ ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন (এমপিসিএ) ও স্থানীয় প্রশাসন দুই দলের জন্য কঠোর নিরাপত্তার ব্যবস্থা করেছে। এছাড়া খেলোয়াড়দের হোটেল ছেড়ে বাইরে বের হওয়ার ক্ষেত্রে সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে। ভারতীয় নাগরিক সুরক্ষা সংহিত (বিএনএসএস) আইনের ১৬৩ ধারা অনুযায়ী আগামী ৭ অক্টোবর পর্যন্ত গোয়ালিয়র জেলায় বিক্ষোভ ও উসকানিমূলক কার্যক্রমে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।
পিটিআই জানিয়েছে, ম্যাচ আয়োজনে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে কিংবা ধর্মীয় বিদ্বেষ ছড়ায় এমন কোনো ভিডিও, ছবি, অডিও, ব্যানার, পোস্টার, পতাকা, কাটআউট বহন বা প্রচার করা যাবে না। এছাড়া পাঁচজনের বেশি একত্র হওয়া, আতশবাজী, ধারালো অস্ত্রপাতি ও দাহ্য পদার্থ বহন করাও নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
বিডি-প্রতিদিন/বাজিত